জোড়া 'পজিটিভ' - 'নেগেটিভ' শনাক্ত হবে জাতীয় দলে

করোনার থাবায় দিশেহারা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ছবি: ফাইল ছবি
করোনার থাবায় দিশেহারা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ছবি: ফাইল ছবি

জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ২৪ ফুটবলারের ১৮জনই করোনায় আক্রান্ত। সহকারী কোচও আক্রান্ত হয়েছেন। রীতিমতো দিশেহারা অবস্থা জাতীয় দলের। তবে ফুটবল দলের করোনা পরীক্ষা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যেমন ৫ আগস্ট করোনা ‘নেগেটিভ’ নিয়ে ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার দুই দিনের মধ্যেই সেই একই নমুনার ভিত্তিতে সাত খেলোয়াড়কে গতকাল বলা হয়েছে করোনা ‘পজিটিভ’! তাহলে ৫ আগস্ট কীভাবে তাঁদের ‘নেগেটিভ’ ধরে নিয়ে ক্যাম্পে তোলা হয় সেই প্রশ্ন উঠছে জোরালোভাবে।

৬ আগস্ট দুই ফুটবলার ‘নেগেটিভ’ ফল জেনে বাসে গাজীপুরের ক্যাম্পে রওনা হওয়ার পর মাঝপথে গিয়ে জানতে পারেন ‘পজিটিভ’। উইঙ্গার রবিউলকে মাঝপথে বাস থেকেই নেমে যেতে হয়। যা বিরল এক ঘটনা। এসবই করোনা পরীক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে অব্যবস্থাপনার ফল।

এই পরিস্থিতিতে সোমবার আবারও দলের ৩১ খেলোয়াড়ের করোনা পরীক্ষা করাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যদেরও এই পরীক্ষা করতে হবে। তবে এতেই শেষ নয়। ক্যাম্প চলমান থাকা অবস্থায় কয়েক দিন পর পরই খেলোয়াড় ও অন্যদের করোনা পরীক্ষা করার কথা বলছে বাফুফে।
আজ বাফুফে আয়োজিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘সোমবার একই দিনে দলের প্রতিটি খেলোয়াড় ও দল সংশ্লিষ্ট সবাইকে দুইটি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করানো হবে। দুইটি হাসপাতাল থেকেই যদি কারও ব্যাপারে পাওয়া যায় ‘পজিটিভ’, তাহলে সে করোনা আক্রান্ত। দুইটি হাসপাতাল থেকে ‘নেগেটিভ’ আসলে, সে করোনা আক্রান্ত নয়। দুই হাসপাতালের ফলের মধ্যে গরমিল থাকলে দুই তিন দিন তাঁকে আবারও করোনা পরীক্ষা করানো হবে।’