টটেনহামের খেলোয়াড়দের ‘মগজধোলাই’ করেছেন মরিনিও
জোসে মরিনিও টটেনহামের দায়িত্ব নিয়েছেন গত বছরের নভেম্বরে। এরপর খেলোয়াড় কেনার পেছনে ভালো অর্থই ব্যয় করেছেন পর্তুগিজ কোচ। আটঘাট বেঁধে নামলেও নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচটাই হেরে যায় টটেনহাম। এভারটনের কাছে সেই হারটিও আবার ছিল নিজেদের মাঠে। হারের যাত্রা সেখানেই অবশ্য শেষ। এরপর লিগে নয়টি ম্যাচ খেলেছে টটেনহাম, হারেনি একটিতেও।
৯ ম্যাচে লিভারপুলের সমান ২০ পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে শীর্ষে আছে মরিনিওর দল। শিরোপা লড়াইয়ে বড় দুই প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়েছে স্পাররা। ইউনাইটেডের মাঠ থেকে তো জিতে এসেছে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে।
জোসে তার খেলোয়াড়দের মগজধোলাই করে ফেলেছে। এটা বোঝাতে পেরেছে যে সাফল্য পেতে তাদের পরিশ্রম করতে হবে।
টটেনহামের এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারার রহস্য কী? দলটির সাবেক কোচ টিম শেরউড মনে করেন, মরিনিও তাঁর খেলোয়াড়দের মগজধোলাই করে ফেলেছেন! সবার মাথার মধ্যে খুব ভালোভাবে এটা ঢোকাতে পেরেছেন যে টটেনহাম এবার শিরোপা জিততে পারে। শেরউডের কথা, ‘তার হাতে যে খেলোয়াড় আছে, তাদের নিয়ে সাফল্যের একটা পথ খুঁজে বের করেছে। সে খেলোয়াড়ও ভালো কিনেছে। লেফট ব্যাক (সের্হিও) রেগিলনকে কেনাটা তো খুবই ভালো বিষয় ছিল। আমার কাছে অবশ্য (পিয়ের-এমিল) হইবিয়ার চুক্তিটাই সেরা। ’
টটেনহাম যে এবার সাফল্য পাবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই শেরউডের। টকস্পোর্টকে টটেনহামের সাবেক মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘জোসে তার খেলোয়াড়দের মগজধোলাই করে ফেলেছে। এটা বোঝাতে পেরেছে যে সাফল্য পেতে তাদের পরিশ্রম করতে হবে।’
মরিনিওর মতো হাইপ্রোফাইল একজন কোচের ওপর বিশ্বাস না রেখে উপায় নেই বলেও উল্লেখ করেছেন শেরউড, ‘আপনি তার ওপর বিশ্বাস রাখবেন নাই বা কেন? সে তার কোচিং ক্যারিয়ারে ২০টি বড় শিরোপা জিতেছে।’
১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে ব্ল্যাকবার্নের হয়ে লিগ শিরোপা জেতা শেরউড বলেছেন, ‘সন ও কেইনের মতো বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে আমাদের। তাদের মতো খেলোয়াড় থাকলে শিরোপা জয়ের সুযোগ তো থাকবেই। এখন পর্যন্ত অবশ্য চলতি মৌসুমে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারেনি তারা।’