টাকা-পয়সা নিয়ে এবার মেসিদের বুরোফ্যাক্স বার্সাকে

বেতন নিয়ে আবারও বোর্ডের মুখোমুখি মেসিরা।ছবি : রয়টার্স

অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে, ব্যুরোফ্যাক্স ব্যাপারটাকেই এখন হয়তো বার্সেলোনা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউর অসহ্য ঠেকবে।

মাস দুয়েক আগে এই ব্যুরোফ্যাক্স পাঠিয়েই বার্সেলোনা ছাড়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। পরে হাজারো কাণ্ডের পর মেসি দলে থেকে গেলেও, ক্লাব সভাপতির সঙ্গে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছে।

মেসি-কান্ডের পর আবারও আলোচনায় ব্যুরোফ্যাক্স। তবে বার্সেলোনা সমর্থকদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অন্য কোনো খেলোয়াড় ব্যুরোফ্যাক্স পাঠিয়ে ক্লাব ছাড়ার বার্তা পাঠাননি বার্তোমেউকে। তবে এবার কোনো একজন নয়, সব খেলোয়াড় মিলেই বুরোফ্যাক্স পাঠিয়েছেন। জানিয়েছেন বেতন কমানোর জন্য খেলোয়াড়দের উদ্দেশে বার্তোমেউর করা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের কথা।

করোনাভাইরাসের কারণে এমনিতেই ক্লাবগুলো আর্থিকভাবে সমস্যায় আছে। বার্সেলোনার অবস্থাও ব্যতিক্রম নয়। ক্লাবকে সাহায্য করার জন্য বার্তোমেউ আবারও খেলোয়াড়দের বেতন কমানোর কথা বলেছিলেন। মেসিরা রাজি হননি সেই প্রস্তাবে।

করোনাভাইরাসের কারণে মেসিরা যে একেবারেই বেতন কমাননি, তা কিন্তু নয়। মহামারির কারণে ক্লাবের অন্য কর্মীদের বেতন যেন আটকে না যায়, সবাই যেন এই বিপদে অর্থকষ্টে না ভোগেন সেটা নিশ্চিত করতে মার্চেও ৭০ ভাগ বেতন কম নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মেসিরা।

বার্তোমেউর সঙ্গে মেসির সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয় বলেই গুঞ্জন।
ছবি : টুইটার

পাশাপাশি নিজেদের পকেট থেকেও আরও কিছু অর্থ সেবার দিয়েছিলেন ক্লাবের তহবিলে। মূল একাদশের সব খেলোয়াড় এভাবে ৭০ ভাগ বেতন কম নেওয়ায় বার্সেলোনা প্রায় ১০ কোটি ইউরো ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল সেবার।

সে সিদ্ধান্তের কথা মেসি নিজেই জানিয়েছিলেন ইনস্টাগ্রামে। বলেছিলেন, ‘একটি ঘোষণা দেওয়ার সময় হয়েছে মনে হয়। সংকটকালে আমরা আমাদের বেতনের ৭০ ভাগ কেটে রাখার ব্যাপারে একমত হয়েছি। সঙ্গে আরও অর্থ যোগ করে নিশ্চিত করতে চাই, ক্লাবের স্টাফরা যেন সংকট শেষ হওয়া পর্যন্ত পুরোপুরি বেতন পান।’

এবার অবশ্য ৭০ শতাংশ নয়, বার্তোমেউ চেয়েছিলেন খেলোয়াড়েরা যেন ৩০ শতাংশ বেতন কমান। জানিয়েছিলেন, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য খেলোয়াড়েরা চাইলে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় নিতে পারেন। মেসিরা অত দিন অপেক্ষা করেননি। আগেই ব্যুরোফ্যাক্স পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, বার্তোমেউর অনুরোধ রাখছেন না তাঁরা। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম আরএসিওয়ান জানিয়েছে খবরটা।

বার্তোমেউ সঙ্গে আরেকটা শর্তও জুড়ে দিয়েছিলেন। বেতন কমানোর জন্য অন্য কোনো ব্যবস্থার শরণাপন্ন হতে চাইলে সে ব্যাপারেও খেলোয়াড়েরাও নভেম্বরের পাঁচ তারিখ পর্যন্ত সময় পাবেন, জানিয়ে দিয়েছিলেন বার্সা সভাপতি। প্রস্তাব ছিল, বেতন কমিয়ে চাইলে খেলোয়াড়েরা চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে পারবেন।

কিন্তু কোনো প্রস্তাবেই আগ্রহ নেই বার্সার খেলোয়াড়দের। তবে মেসিরা শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবে রাজি না হলে একতরফাভাবে বেতন কমাতে বার্সেলোনা পিছপা হবে না।

সে ক্ষেত্রে বার্সেলোনার বোর্ড বনাম খেলোয়াড় নাটকের আরেক পর্ব হয়তো দেখা যাবে!