টানা ১৯ জয়, ২৬ ম্যাচ অপরাজিত, তারপরও খুশি নন গার্দিওলা!

সিটি জিতল টানা ১৯ ম্যাচ।ছবি: রয়টার্স

এ নিয়ে টানা ১৯ ম্যাচ জিতল ম্যানচেস্টার সিটি, সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে টানা ২৬ ম্যাচে হারেনি পেপ গার্দিওলার দল। কিন্তু এরপরও খুশি নন কোচ। কাল চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে বরুসিয়া ম’গ্লাডবাখকে ২-০ গোলে হারিয়ে টানা ১৯তম জয় তুলে নেওয়ার দিনেও গার্দিওলা বললেন, যেভাবে জিতলে সত্যিকারের তৃপ্ত হওয়া যায়, তাঁর দল সেটি করে দেখাতে পারেনি।

অথচ ম্যানচেস্টার সিটি কিন্তু বেশ অনায়াসেই ম’গ্লাডবাখকে হারিয়েছে। মৌসুমের একটা পর্যায়ের পর থেকে ইংলিশ লিগে দুর্দান্ত খেলে যাওয়া সিটি পারফরম্যান্সের সেই ধারাটা দারুণভাবে ধরে রেখেছে কাল। ম’গ্লাডবাখ কিন্তু তেমন দুর্বল কোনো প্রতিপক্ষ নয়। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে জার্মান এই ক্লাবটি গ্রুপ পর্বে গোলের পর গোল করেছে। কিন্তু কাল তারা সেভাবে কোনো সুযোগই পায়নি। ভাবা যায়, গোল স্কোরিংয়ে দক্ষতা দেখিয়ে শেষ ষোলোতে পা রাখা একটা দল গোল দূরে থাক, সিটির পোস্টে প্রথম শটই নিয়েছে ম্যাচের একেবারে অন্তিম সময়ে এসে!

সিটি ২৯ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায়। গোলটি করেন বার্নার্দো সিলভা। কানসেলো দারুণ এক ক্রস দিয়েছিলেন ম’গ্লাডবাখের গোলমুখে। তাতেই মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন সিলভা। ৬৫ মিনিটে ম্যানচেস্টার সিটি পেয়ে যায় দ্বিতীয় গোল। এই গোলেও ছিল কানসেলো আর সিলভার সহায়তা। গোলটি অবশ্য করেছেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস।

বার্নার্দ সিলভা নিজে একটি গোল করেছেন, সহায়তা করেছেন দ্বিতীয়টিতে।
ছবি: রয়টার্স

সিটি অবশ্য প্রথম গোলটা পেয়ে গেছে ২৯ মিনিটে। কানসেলোর ডান পায়ের দারুণ ক্রস থেকে হেড করে এগিয়ে দিয়েছেন বার্নার্দো সিলভা। ৬৫ মিনিটে আবার কানসেলো আর সিলভার যুগলবন্দী, এবার কাজটা শেষ করেছেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। শেষ দিকে আগুয়েরো নেমেছিলেন বদলি হয়ে। কোভিডের জন্য মনশেনগ্লাডবাখও ম্যাচটা খেলতে পারেনি জার্মানিতে নিজেদের মাঠে। পরের পর্বে উঠতে হলে এখন তাদের অলৌকিক কিছুই করতে হবে। করোনার কারণে জার্মানিতে নিজেদের মাঠে ম্যাচটা খেলতে পারেনি ম’গ্লাডবাখ। ম্যাচটি হয়েছে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে। এই ম্যাচে দুই গোল খেয়ে হেরে যাওয়ায় সিটির মাঠে পরের লেগটা বড় কঠিন হয়েই আসবে তাদের জন্য।

এত কিছুর পরও গার্দিওলার কথা শুনলে অবাকই হতে হয়, ‘প্রথম লেগ সব সময়ই কিছুটা কঠিন। তবে এই ম্যাচে আমাদের আরও ধারালো হওয়া উচিত ছিল।’

জেসুস গোল করলেও তিনি একটা দারুণ সুযোগ নষ্ট করেছেন। ম’গ্লাডবাখের গোলরক্ষককে একা পেয়েও তিনি ব্যর্থ হন। ব্রাজিল-তারকার মিসটি যে গার্দিওলাকে ক্ষুব্ধ করেছে, সেটি ম্যাচ শেষে বলতে ভোলেননি স্প্যানিশ কোচ, ‘ওয়ান টু ওয়ান পরিস্থিতিতে এ ধরনের ম্যাচে যেকোনো খেলোয়াড়কেই আরও ক্ষুরধার হতে হবে।’