টুইটার, টিকটক, ট্রিলারেও বাজিমাত নেইমারের

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খেলার বাইরে নেইমারের এমন ছবি লুফে নেন ভক্তরাছবি: টুইটার

নেইমারের সময়টা এখন খারাপ। পায়ের চোটে আবারও মাঠের বাইরে যেতে হয়েছে। তাঁর সৌভাগ্য, হাড়ে কোনো চোট ধরা পড়েনি। অন্যান্য পরীক্ষায় খারাপ কিছু না পেলে দ্রুতই মাঠে ফিরবেন পিএসজি ফরোয়ার্ড।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে আজ ‘দ্রুতই, দ্রুতই’ লিখে আশাব্যঞ্জক একটি পোস্টও করেছেন ব্রাজিল তারকা। যদিও তাঁর পোস্টটি মাঠে ফেরা নিয়ে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেইমার কিন্তু ভালোই সরব।

ফুটবলারদের মধ্যে এ আঙিনায় তাঁর জনপ্রিয়তাও ঈর্ষণীয়। টুইটারে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ৫ কোটির বেশি। ফেসবুকে ৫.৯ কোটি এবং ইনস্টাগ্রামে ১৪.৩ কোটি অনুসারী।

হাল আমলে ভিডিও অ্যাপস টিকটক ভীষণ জনপ্রিয়। নেইমার অনলাইনে এই আঙিনাও জয় করেছিলেন চলতি বছর। সেটিও পাঁচ মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে!

নেইমারকে ধরা হয় বিশ্বের সেরা তিন খেলোয়াড়ের একজন। ভীষণ জনপ্রিয় এ ফুটবলার কিন্তু টিকটক জয় করে সেখানে থাকেননি, চলে যান নতুন রোমাঞ্চকর অভিযানে—ভিডিও বানানোয় যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নেটওয়ার্ক ‘ট্রিলার’।

গত নভেম্বরে টিকটক ছেড়ে নেইমারের ট্রিলারে যোগ দেওয়া খবর জানিয়েছিল সংবাদমাধ্যম। টিকটকে নিজের অনুসারীদেরও ট্রিলারে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন নেইমার। তাঁদের সঙ্গে লোভনীয় অঙ্কের চুক্তি এবং দূত হিসেবেও কাজ করছেন তিনি।

নেইমার টিকটকের আঙিনায় পা রেখেছিলেন গত জুলাইয়ে। নিজের সন্তান ডেভি লুকার সঙ্গে নাচের একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন টিকটকে। সবাই তা লুফে নিয়েছিল।

নিজের বল্গাহীন জীবনযাপন ও তারুণ্যের প্রতীক হয়ে ওঠায় টিকটকে অনুসারীসংখ্যায় সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবলার হয়ে যান ২৮ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড। জুলাই থেকে নভেম্বরের মধ্যে তাঁর অনুসারীসংখ্যা বাড়ার হার ছিল রীতিমতো বিস্ময়কর—৪৪ লাখ থেকে ১ কোটি ৬ লাখ!

অর্থাৎ টিকটকে জনপ্রিয়তায় স্রেফ ঝড় বইয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ইএসপিএন জানিয়েছে, ফুটবল–সংশ্লিষ্ট নানা তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান কেপিএমজির হিসাব অনুযায়ী, টিকটকে নেইমার থাকতে জনপ্রিয়তায় ফুটবলারদের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন রিয়ালের স্প্যানিশ তারকা সার্জিও রামোস (৪৫ লাখ)।

কিন্তু নেইমারের জীবনে বিতর্ক ও চমক তো নতুন কিছু না। গত ১৮ নভেম্বর টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে নেইমার টিকটক ছেড়ে ট্রিলারে যোগ দেওয়ার খবর জানিয়ে চমকে দেন সবাইকে।

নিজের ওয়েবসাইটেও নেইমার বলেছিলেন, ‘বৈচিত্র্য ও সংস্কৃতিতে ট্রিলারের জুড়ি নেই। গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি চিরতরে টিকটক ছেড়ে ট্রিলার পরিবারে যোগ দিচ্ছি। ট্রিলারে দেখা হবে।’

পিএসজি তারকা ট্রিলারে যোগ দেওয়ার তিন সপ্তাহ পর দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা ভিডিও বানানোর অ্যাপসে নেইমারকে সবাই যেভাবে লুফে নিয়েছে, ট্রিলারে তা হয়নি।

মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার অনুসারী, যেখানে টিকটকে যোগ দেওয়ার পর এক মাসের ব্যবধানে নেইমারের অনুসারীসংখ্যা ছিল ৫২ লাখ।

তবে ট্রিলারের যাত্রা শুরু হয়েছে মাত্র ৫ বছর হলো। এর জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে নেইমারের অনুসারীসংখ্যাও যে বাড়বে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

গত বছর টুইটারে নেইমারকে ‘মেনশন’–এর হার ছিল সর্বোচ্চ। ব্রাজিলের অনলাইন–জগতেও নেইমার সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত অ্যাথলেট।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সব প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে নেইমারের অনুসারীসংখ্যা ২০ কোটির বেশি। ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের করা বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায়ও আছেন নেইমার।

অর্থাৎ ব্রাজিলিয়ান তারকা ‘গোল’ করে চলেছেন মাঠের বাইরেও।