টোকিও অলিম্পিক ও কাতার বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ রাশিয়া

২০২২ বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ রাশিয়া।
ছবি: এএফপি

আন্তর্জাতিক ডোপিং–বিরোধী সংস্থা (ওয়াডা) এর আগে চার বছর নিষিদ্ধ করেছিল রাশিয়াকে। কিন্তু আজ খেলাধুলা নিয়ে মামলা–মোকদ্দমা সমাধানের সর্বোচ্চ আদালত আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত (সিএএস) সেই শাস্তি কমিয়ে দুই বছরে নামিয়ে এনেছেন।

পরিকল্পিত ডোপপাপের শাস্তি হিসেবে এতেও ক্ষতি খুব একটা কমছে না রাশিয়ার। আগামী বছর ২০২০ টোকিও অলিম্পিক, ২০২২ বেইজিং প্যারা অলিম্পিক এবং ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারবে না দেশটি। ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর থেকে কাতারে শুরু হওয়ার কথা আগামী বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট।

সিএএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়ার শাস্তি কমিয়ে আনায় তাদের পরিকল্পিত ডোপ নেওয়াকে ‘বৈধতা দেওয়া হলো’—এমন চোখে যেন দেখা না হয়। ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা।

তবে করোনার কারণে আগামী বছর পিছিয়ে নেওয়া ইউরোপিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে (ইউরো) অংশ নিতে পারবে রাশিয়া। কারণ, আগামী দুই বছর কোনো বড় ইভেন্টে অংশ নিতে পারবে না রাশিয়া—এই শাস্তি দিয়েছে সিএএস। এদিকে ডোপ-নীতিমালার অধীনে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফাকে ‘বড় আসর আয়োজনের সংস্থা’ হিসেবে দেখা হয় না।

২০২০ অলিম্পিকেও নিষিদ্ধ রাশিয়া।
ছবি: এএফপি

সিএএস রায়ে জানিয়েছেন, ‘নীতিমালার ভয়াবহ লঙ্ঘনের ফল হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্যানেল। ডোপিংয়ের বিরুদ্ধে খেলাধুলার নৈতিকতা নিশ্চিতের ধারাবাহিকতা রাখা হবে। যদিও ওয়াডার মতো শাস্তিটা এত ব্যাপক নয়, কিন্তু এটাকে যেন রাশিয়ার ডোপিং–বিরোধী সংস্থার (আরইউএসএডিএ) কিংবা তাদের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের পরিকল্পিতভাবে নীতিমালা লঙ্ঘনকে বৈধতা দেওয়া হলো—এমন চোখে না দেখা হয়।’

গত বছরের জানুয়ারিতে আরইউএসএডিএর বিপক্ষে পরীক্ষাগারে খেলোয়াড়দের তথ্য গড়াপেটার অভিযোগ তুলেছিল ওয়াডা। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ক্রীড়াবিদদের অবাধে ডোপপাপে সাহায্য করায় এর আগে তিন বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছিল আরইউএসএডিও বা রুশাদাকে। ২০১৮ সালে তাদের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে ক্রীড়াবিদদের সব রকম তথ্য ওয়াডার কাছে হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছিল।

দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে রাশিয়া কোনো আন্তর্জাতিক আসর আয়োজন করতে পারবে না। তবে রাশিয়ার যেসব ক্রীড়াবিদ ডোপ নেননি কিংবা পরীক্ষায় নেগেটিভ হবেন, তাঁরা নিরপেক্ষ পতাকার অধীনে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন। দুই বছর আগে শীতকালীন অলিম্পিকে ১৬৮ জন রাশিয়ান ক্রীড়াবিদ নিরপেক্ষ পতাকার অধীনে অংশ নিয়েছিলেন। অ্যাথলেটিকসে রাশিয়া দেশ হিসেবে অংশ নিতে পারবে না, এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ২০১৫ সাল থেকে।

গত মাসে একটি গোপন জায়গায় ওয়াডা ও রুশাদার মধ্যে চার দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয় সিএএসের অধীনে।