ট্রফি জেতা হলো না বাংলাদেশের

খালি হাতেই নেপাল থেকে ফিরছে বাংলাদেশবাফুফে

মুখে নেপালের পতাকার সঙ্গে মিলিয়ে লাল রং মেখে উৎসবের প্রস্তুতি ছিল পুরো মাত্রায়। পুরো সময় জুড়ে নেপাল...নেপাল...গলা ফাটানোও বৃথা যায়নি দর্শকদের। কাঠমান্ডুর রঙ্গশালা স্টেডিয়াম থেকে তিন জাতি টুর্নামেন্টে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেই মাঠ ছেড়েছেন প্রায় ৮-১০ হাজার দর্শক।
বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনকে পারেনি সেই ১৯৯৯ সালের স্মৃতি। নেপালের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে শেষ হয়েছে তিন জাতি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট, বাংলাদেশ কোচ জেমি ডের চোখে যা ছিল পরীক্ষা-নিরীক্ষার টুর্নামেন্ট। প্রথমার্ধে নেপাল ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের হয়ে একটি গোল শোধ করেছেন বদলি নামা মাহবুবুর রহমান।

ফাইনালের একাদশে চমক এনেছিলেন জেমি ডে। কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে ম্যাচ সেরা হওয়া মিডফিল্ডার সোহেল রানাকে রাখা হয়নি একাদশে। এই টুর্নামেন্টের মধ্যে দিয়ে জাতীয় দলে অভিষিক্ত হওয়া রিমন হোসেন, মেহেদী হাসান ও মেহেদী হাসান রয়েলের ওপর আস্থা রেখেছিলেন বাংলাদেশ কোচ। কিন্তু ফাইনালের চাপ নিতে পারেননি তাঁরা।

মাঠের লড়াইয়ে আবার ব্যর্থ বাংলাদেশ
বাফুফে

শুধু নতুনরাই কেন, অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও গোলরক্ষক আনিসুর রহমান ছাড়া কারও খেলাতেই পাওয়া যায়নি আত্মবিশ্বাসের ছাপ। অল্প চাপের মুখেই বল হারিয়ে ফেলেছেন রাকিব হোসেন, মতিন মিয়ারা। প্রথমার্ধে একটি বারের জন্যও কেউ নিতে পারেননি নেপাল গোলরক্ষক কিরণ চেমজংয়ের পরীক্ষা। দ্বিতীয়ার্ধের গোলটি ছাড়া তো বাংলাদেশের বলার মতো কোনো মুহূর্তই নেই ম্যাচে। বরং বাংলাদেশের ভুলের সুযোগগুলো নিতে পারলে অন্তত আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত নেপাল।

১৩ মিনিটে রাইটব্যাক দিনেশ রাজবংশীর ক্রসে দূরের পোস্টে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন তিরদেভ গুরুং। গোল মুখে এই লেফট উইঙ্গার ঠিকমতো বলের নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারায় বাংলাদেশের রক্ষা। ১৮ মিনিটে এগিয়ে যায় নেপাল। সুনীল বালের কর্নার থেকে হেডে বল বিপদমুক্ত করেছিলেন সেন্টার ব্যাক মেহেদী হাসান। ফিরতি বলে বক্সের মধ্যে থেকে সনজোগ রায় জোরালো শট নিলে বাংলাদেশের মিডফিল্ডার মানিক হোসেনের দু পায়ের ফাঁক গলে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে চলে যায়। ৩০ মিনিটে নেপালি স্ট্রাইকার অঞ্জন বিসতা রিয়াদুল হাসানের ভুলের সুযোগটি নিতে পারলে তখনই ২-০ হয়ে যায়। বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুরকে একা পেয়ে ক্রসবাররে ওপর দিয়ে বল মারেন অঞ্জন।

হতাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রায় সব খেলোয়াড়
বাফুফে

ব্যবধান বাড়ে ৪২ মিনিটে। নেপাল লেফটব্যাক রঞ্জিত ধিমাল, মিডফিল্ডার সনজোগ ও ফরোয়ার্ড বিশাল রায়ের রসায়নে ফাঁকা হয়ে যায় বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে আসা আনিসুরের পাশ দিয়ে জোরালো শটে জালে জড়িয়েছেন বিশাল।

দ্বিতীয়ার্ধে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঁচটি বদল আনেন বাংলাদেশ কোচ। ৮৩ মিনিটে ব্যবধান কমান বদলি মাহবুবুর রহমান, জামাল ভূঁইয়ার কর্নার থেকে হেডে গোল করে। এর পর কিছুক্ষণ নেপালকে চাপে রাখা গিয়েছিল, এই যা। লাভ হয়নি কিছুই।