ডিফেন্ডারের ভুলে ও সাবেক মিডফিল্ডারের গোলে হার বার্সার

বার্সার জালে গোলের পর সেভিয়া ডিফেন্ডার কুন্দের উল্লাসছবি: এএফপি

স্যামুয়েল উমতিতির নামটা আসবেই। কাল দুটি গোলেই যে রয়েছে তাঁর অবদান (!)। না, বার্সার করা গোলে নয়, কাল কোপা ডেল রে সেমিফাইনাল প্রথম লেগে বার্সেলোনা কোনো গোল করতে পারেনি।

উল্টো উমতিতির ভুলে সেভিয়ার কাছে হজম করেছে দুই গোল। ২–০ ব্যবধানের এ হারে ক্যাম্প ন্যু তে ফিরতি লেগ কঠিন করে তুলল কাতালান ক্লাবটি।

বার্সা কোচ কোমান অবশ্য উমতিতির পাশে দাঁড়িয়েছেন। ম্যাচের ২৫ মিনিটে সেভিয়ার ফরাসি ডিফেন্ডার ইউলেস কুন্দের করা গোলটি বার্সাকে হজম করতে হতো না যদি উমতিতি নিজের কাজটা ঠিকভাবে করতেন।

কিংবা অন্যভাবে বলা যায়, কুন্দের করা দর্শনীয় গোলটি হতো না যদি উমতিতি তাঁকে বাধা দিতে পারতেন।

নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে দৌড়ে উঠে সতীর্থকে একটা পাস দিয়েছিলেন কুন্দে। ফিরতি পাস ধরে বেশ ভালো গতিতে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বার্সার বক্সের সামনে উমতিতিকে পেয়েছিলেন কুন্দে।

আশ্চর্য, তাঁকে কী অবলীলায়–ই না ড্রিবলিং করে গেলেন! এরপর কোনাকুনি শটে গোলটি করেন। প্রতিপক্ষকে ঠেকানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর দৌড়ে তাঁকে ধরার চেষ্টাও করেননি উমতিতি।

নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে বার্সা দ্বিতীয় গোলটি হজম করেছে তাদেরই সাবেক মিডফিল্ডারের কাছ থেকে—ইভান রাকিতিচ!

হারের পর হতাশ বার্সা তারকা লিওনেল মেসি
ছবি: এএফপি

উমতিতির অনিচ্ছাকৃত অবদান রয়েছে এ গোলেও। বাঁ প্রান্ত থেকে উড়ে আসা পাসটা রাকিতিচ অনসাইড হয়ে ধরতে পেরেছেন উমতিতির জন্য। একটু নিচে নেমেছিলেন উমতিতি।

পেছন থেকে ক্রোয়াট মিডফিল্ডার পাসটা ধরতে দৌড়ে গেলেও টের পাননি এ ফরাসি সেন্টারব্যাক। যখন টের পেয়েছেন ততক্ষণে রাকিতিচ অনসাইড হয়ে পাসটা ধরে ফেলেছেন। এরপর দৌড়াতে গিয়ে একবার পড়েও গেছেন উমিতিতি।

বাঁ প্রান্ত থেকে কোনাকুনি শটে জয়ের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বার্সায় ছয় মৌসুম কাটানো রাকিতিচ। প্রথমার্ধের শেষ দিকে সেভিয়ার সের্হিও এসকুয়েদোর দারুণ এক চেষ্টা নসাৎ করে দেন বার্সা গোলরক্ষক টের–স্টেগেন।

ম্যাচে ১–০ গোলে পিছিয়ে থাকতে একবার পেনাল্টির আবেদন করেছিল বার্সা। জর্দি আলবাকে ফেলে দেন সেভিয়ার ডিফেন্ডাররা।

বার্সার খেলোয়াড়েরা পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি ফ্রি কিক দেন। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সাহায্য নিয়ে তিনি দেখেননি ফাউলটা বক্সের ভেতরে না বাইরে ছিল।

বার্সা কোচ কোমান ম্যাচ শেষে এ নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন, ‘ওটা যে পেনাল্টি ছিল তা সবাই বলেছে আমাকে। মাঠে আমরা যেমন খেলেছি সে তুলনায় এ ফলটা নির্মম।’

উমতিতির ভুল নিয়ে কোমানের ব্যাখ্যা, ‘প্রথম গোলে প্রচুর ফাঁকা জায়গা পেয়েছে প্রতিপক্ষ। শুধু রক্ষণ না মাঝমাঠেও ফাঁকা জায়গা ছিল। আর দ্বিতীয় গোলে আমরা অফ সাইডের জায়গা তৈরি করতে পারিনি। উমতিতি ভালো খেলেছে। অন্যরা যেমন ভুল করে সে–ও ভুল করেছে। এটা ফুটবলেরই অংশ। তাকে দোষারোপ করাটা ঠিক হবে না। আমরা সবাই একসঙ্গে জিতি, একসঙ্গেই হারি।’

৩ মার্চ ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল।