তাঁদের ফিরতে পারার আনন্দ

বাফুফে ভবনে প্রবেশের আগ মুহূর্তে মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমা।ছবি: প্রথম আলো

প্রায় সারা বছরই বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত হয় নারী জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প। ভবনের চার তলায় থাকেন আর দুই বেলা অনুশীলন করেন ভবন সংলগ্ন অ্যাস্ট্রো টার্ফে। অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে মূল জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য দৃশ্যটা একেবারেই পরিচিত। প্রথমে মেয়েদের লিগ ও পরবর্তীতে করোনার কারণে এত দিন বন্ধ ছিল বাফুফে ভবনের ক্যাম্প। আজ থেকে সেখানে আবার দেখা গেল উৎসব মুখর পরিবেশ। শনিবার থেকে শুরু হবে অনুশীলন।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে দলে দলে মেয়েরা বাফুফে ভবনে প্রবেশ করছেন, আর জ্বলে উঠছে ক্যামেরার ফ্লাশ। অনেক দিন পরে ক্যাম্পে ফিরে আসতে পারায় মেয়েদের চোখে-মুখে খেলা করছিল আনন্দের ঝিলিক। আগামী বছরের মার্চে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ ও এপ্রিলে অনূর্ধ্ব-২০ বাছাইপর্বের জন্য ক্যাম্পে উঠেছেন মোট ৩৩ জন ফুটবলার। অনূর্ধ্ব-১৭ এর জন্য ১৫ জন ও ২০ এর জন্য ডাকা হয়েছে ১৮ খেলোয়াড়কে। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য দলে ২৩ জন খেলোয়াড় রাখা হলেও করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে কম খেলোয়াড় নিয়ে শুরু করা হয়েছে ক্যাম্প। ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে খেলোয়াড়ের সংখ্যা। মাঝে মাঝেই মেয়েদের করানো হবে করোনা পরীক্ষা।

ক্যাম্পে ফুটবলাররা।
ছবি: প্রথম আলো

মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমাদের নিয়ে গড়া অনূর্ধ্ব-২০ দলটি অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ। দলটির বেশির ভাগ খেলোয়াড়েরই মূল জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৭ দলটি কিছুটা আনকোরা। এই দলে মাত্র দশ জন খেলোয়াড়ের আছে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। সর্ব শেষ অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে খেলা দশজন ছাড়া বাকি খেলোয়াড়েরা অনভিজ্ঞ। অর্থাৎ ২৩ জনের চূড়ান্ত দল হওয়ায় নতুন করে গড়ে তুলতে হবে তেরো খেলোয়াড়কে। এটাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন, ‘আমাদের অনূর্ধ্ব-১৭ দলটা নতুনই বলা যায়। কেবল মাত্র দশজনের অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। বাকিরা অনভিজ্ঞ। নতুনদের নিয়ে দল তৈরি করাটাই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আমরা আগেও হয়েছি এবং তাতে সফলও হয়েছি।’

করোনার কারণে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল মেয়েদের লিগ। বাফুফের ক্যাম্পও বন্ধ। অগত্যা নিজ ঘরে ফিরে যাওয়া। সেখানে ব্যক্তিগতভাবে কোচ গোলাম রাব্বানীর নির্দেশনা অনুযায়ী অনুশীলন করলেও দলীয় অনুশীলনের খিদেটা থেকেই যায়। তাই অনেক দিন পরে ক্যাম্পে ফিরতে পারায় আনন্দিত অনূর্ধ্ব-২০ দলের মিডফিল্ডার মনিকা চাকমা, ‘বাড়িতে কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী অনুশীলন করেছি। তবে ক্যাম্পের অনুশীলনটাই আসল। ক্যাম্পে এসে সবাইকে অনেক দিন পরে দেখলাম। ভালো লাগছে।’

এএফসির দুইটি টুর্নামেন্টের গ্রুপিং ঠিক না হলেও চূড়ান্ত হয়েছে দিনক্ষণ। ১৩-২১ মার্চ হবে অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব ও অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৩-১১ এপ্রিল।