‘দক্ষিণ এশিয়ার মেসি’র বিপক্ষে লড়াইয়ে ভোট চাইলেন বাংলাদেশের সোহেল

গোলের পর দুই হাত উঁচিয়ে ধরেছেন সোহেল।প্রথম আলো ফাইল ছবি

এএফসি কাপে দশকসেরা গোলের লড়াইয়ে আছে বাংলাদেশের সোহেল রানার গোল। কয়েক দিন আগে অনলাইন ভোটের লড়াইয়ে শেষ ষোলোতে উঠে এসেছে জাতীয় দলের মিডফিল্ডারের গোলটি। শেষ আটে যাওয়ার পথে সোহেলের প্রতিপক্ষ এবার ‘দক্ষিণ এশিয়ার মেসি’খ্যাত মালদ্বীপের আলী আশফাক।

২০১৯ সালে এএফসি কাপে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে প্রথমবারের মতো আন্ত-আঞ্চলিক সেমিফাইনালে খেলে আবাহনী লিমিটেড। সেখানে প্রথম পর্বে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের বিপক্ষে ৪-৩ ব্যবধানে জয়ের পথে দুর্দান্ত এক গোল করেছিলেন সোহেল।

প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে এসেছিল গোলটি। তখন সমর্থকদের ভোটে এএফসি কাপে সপ্তাহসেরা গোল হয়েছিল সেটি। এরপর এএফসি কাপের গত এক দশকে সেরা ৩২ গোলের তালিকায় জায়গা করে নেয় সোহেলের গোল।

আবাহনীর জার্সিতে সোহেল রানা।
প্রথম আলো ফাইল ছবি

প্রথম পর্বে সেরা ৩২ থেকে সেরা ১৬-র ঘরে ঢোকার লড়াইয়ে সোহেল হারিয়েছেন সিঙ্গাপুরের হোম ইউনাইটেডের ফরোয়ার্ড খাইরুল নিজামকে। সেরা আটে ঢুকতে ভোটের লড়াইয়ে জাতীয় দলের মিডফিল্ডারকে এবার হারাতে হবে আলী আশফাককে। এএফসির ওয়েবসাইটে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ভোট।

কোয়ার্টার ফাইনালের পর ধারাবাহিকভাবে ভোটে বেছে নেওয়া হবে সেরা ৪, ২ ও ১ নম্বর গোল। প্রতিপক্ষ আশফাকের গোলটি কেমন ছিল? ২০১৩ সালে ইন্দোনেশিয়ার পারসেবি বোজোনেগোরকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল আশফাকের নিউ রেডিয়েন্ট ক্লাব। আশফাক একাই করেছিলেন ৫ গোল। এর মধ্যে একটি গোল ছিল একাই দুই ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে পেছনে ফেলার পর গোলরক্ষককে মাটিতে শুইয়ে ফেলে।

মালদ্বীপ জাতীয় দলের জার্সিতে ৮০ ম্যাচ খেলে ৫৩ গোল করা আশফাক বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে যথেষ্ট পরিচিত। ২০১১ সালে দিল্লি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপের এই ফরোয়ার্ড জোড়া গোল করে একাই শেষ করে দিয়েছিল বাংলাদেশকে।

তখন বাংলাদেশ দলে অভিষেকও হয়নি সোহেলের। ২০১৩ সালে প্রথম জাতীয় দলে খেলেন এই মিডফিল্ডার। ফুটবলবিষয়ক ওয়েবসাইট সকারনেটের তথ্য, সোহেল এখন পর্যন্ত ১৮টি ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশের জার্সিতে।

নেপালের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে বর্তমানে জাতীয় দলের ক্যাম্পে আছেন সোহেল। ব্যক্তিগত লড়াইয়ে মালদ্বীপের আশফাকের বিপক্ষে জয়ের জন্য ভিডিওবার্তায় ভোট চেয়েছেন সোহেল, ‘আপনারা যাঁরা আমাকে ভোট দিয়ে শেষ ষোলোতে নিয়ে এসেছেন, আপনারা চাইলে আমাকে কোয়ার্টার ফাইনালেও জেতাতে পারেন। আমাকে সব সময় সমর্থন দিন।’