দল জেতেনি শিরোপা, তাই হোটেলে আটকে রাখা হলো ব্যালন ডি’অরজয়ীকে

ডিফেন্ডার হিসেবে ব্যালন ডি'অর জিতেছিলেন কানাভারো (বাঁয়ে)।ছবি : টুইটার

ঘটনাটা গত মাসের। এত দিন ধরে ধামাচাপা দেওয়া গেলেও কখনো না কখনো তো এত বড় কথা বের হতোই!

চায়নিজ ফুটবলের সঙ্গে ফাবিও কানাভারোর সম্পর্ক আজকের নয়। এই ব্যালন ডি’অরজয়ী ইতালিয়ান ডিফেন্ডারের দুর্দান্ত ফর্মে ইতালি জিতেছিল ২০০৬ বিশ্বকাপ। এই শতকের প্রথম ডিফেন্ডার হিসেবে হয়েছিলেন বিশ্বের সেরা ফুটবলার। সেই ২০১৪-১৫ মৌসুম থেকে দুই মেয়াদে কোচ হয়েছেন গুয়াংঝু এভারগ্রান্ডের। এর আগে ক্লাবটাকে চায়নিজ সুপার লিগ ও চায়নিজ এফএ সুপার কাপ জেতালেও দিন দিন ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপই হয়েছে কানাভারোর।

কতটুকু খারাপ? সেটারই একটা মাত্রা বোঝা গেল সম্প্রতি। জানা গেছে, সর্বশেষ চায়নিজ সুপার লিগ জিততে না পারা ও এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগে ব্যর্থতার জন্য কাতারের এক হোটেলে কানাভারো আর তাঁর কোচিং দলকে ১২ দিনের জন্য আটকে রেখেছিল গুয়াংঝু ক্লাব কর্তৃপক্ষ! ভাবা যায়!

ব্যালন ডি'অরজয়ী কানাভারো।
ছবি : টুইটার

এবার জিয়াংসু সুনিংয়ের কাছে লিগ শিরোপা হারিয়েছে গুয়াংঝু। একে তো লিগ জিততে পারেননি, তারপর এবার এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের পরের রাউন্ডেও উঠতে পারেনি। প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে। গুয়াংঝুকে টপকে একই গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে জাপানের ক্লাব ভিসেল কোবে (যেখানে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার মতো তারকারা খেলেন) ও দক্ষিণ কোরিয়ার ক্লাব সুসোন স্যামসাং ব্লুউইংস। সব শেষ ম্যাচে দোহাতেই এই ব্লুউইংসের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে পরের রাউন্ডে ওঠার সুযোগ খুইয়েছে গুয়াংঝু।

ফলাফল, এই মৌসুমে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে গুয়াংঝুকে। যে কোচের পেছনে বেতন বাবদ প্রতিবছর দেড় কোটি ইউরো করে গুনতে হচ্ছে, তাঁর এই ব্যর্থতা ঠিক হজম করতে পারেনি গুয়াংঝু। ব্যস, আর যায় কোথায়! ম্যাচের পরেই কানাভারো আর তাঁর কোচিং দলকে চীনে ফিরতে দেওয়া হয়নি। দোহার এক হোটেলে ১২ দিন ধরে আটকে ছিলেন সাবেক এই ব্যালন ডি’অরজয়ী।

ইতালির বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন এই তারকা।
ছবি : ফিফা

প্রথমে জানা গিয়েছিল, করোনাভাইরাস–সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কানাভারো তাঁর কোচিং দলের সঙ্গে আটকে গেছেন দোহায়, ফিরতে পারছেন না। খবরটা বের হতো না, যদি না কাতারে অবস্থিত ইতালিয়ান দূতাবাস সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসত। কানাভারোর সঙ্গে গুয়াংঝুর বর্তমান চুক্তি ২০২৩ সাল পর্যন্ত।

যে গতিতে দুই পক্ষের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে, কানাভারো তত দিন পর্যন্ত গুয়াংঝুর কোচ থাকেন কি না, দেখার বিষয়।