দাদা, বাবা, ছেলে—মালদিনিদের তিনে তিন
সেজারে মালদিনি আর পাওলো মালদিনির নাম শোনেননি, এমন ফুটবলভক্ত খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। ইতালির হয়ে খেলেছেন, জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে এ দুজনের সঙ্গে এসি মিলানের নামটাই বেশি মানায়। ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা মিলানে কাটিয়েছেন সেজারে, সে দলের কোচিংও করিয়েছেন। পাওলো তো পুরো ক্যারিয়ারই কাটিয়ে দিয়েছেন সেখানে।
সেজারে ও পাওলোর দেখানো পথেই এসি মিলানের যুব দল থেকে মূল দলে এসেছে দানিয়েল মালদিনি। মিলানের জার্সিতে আজ সিরি ‘আ’তে মূল একাদশে অভিষেক হলো পাওলো মালদিনির ছেলের। আর তাতেই রাঙালেন, করলেন দারুণ এক গোল। স্পেৎসিয়ার বিপক্ষে মিলানও পেয়েছে ২-১ গোলের জয়।
১৯৫০ ও ৬০–এর দশকে মিলানের জার্সিতে আলো ছড়িয়েছেন সেজারে মালদিনি। তাঁর অবসরের পর এসে মিলানের হাল ধরেন তাঁরই ছেলে পাওলো মালদিনি। ২০০৯ সালে মিলানের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলেন পাওলো। কিন্তু মিলানে শেষ হয়নি মালদিনির যুগ। ইতালির ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটিতে নাম লেখান পাওলোর ছেলে দানিয়েল। এক ক্লাবের হয়ে তিন প্রজন্মের খেলাটাই ফুটবলপ্রেমীদের জন্য বিস্ময়কর কিছু। আর গোল? সে তো সোনায় সোহাগা!
আজ ৪৮ মিনিটে মিলানকে এগিয়ে নিয়েছেন দানিয়েল মালদিনিই। পিয়েরে কালুলুর ক্রসে বক্সের মধ্যে লাফিয়ে উঠে হেডে গোলটি করেন দানিয়েল। মাঠে উপস্থিত থেকে সে মুহূর্ত উপভোগ করেছেন ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার পাওলো মালদিনি। ছেলের প্রথম গোলের পর চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি।
এসি মিলানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত মালদিনি পরিবার। সেজারে মালদিনি এসি মিলানের ৪১২টি ম্যাচ খেলে লিগ জিতেছেন চারবার। পরে দুই দফায় কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন। তাঁর কীর্তিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন তাঁর ছেলে পাওলো মালদিনি।
খেলোয়াড় হিসেবে সোয়া শতাব্দী এই মিলানেই কাটিয়ে দিয়ে খেলেছেন ৯০২টি ম্যাচ। লিগ জিতেছেন সাতবার, চ্যাম্পিয়নস লিগ পাঁচবার। বাবা আর দাদার পর এবার পালা দানিয়েলের। দাদা সেজারে মিলানের হয়ে ৩টি গোল করেছিলেন আর বাবা পাওলোর গোল ছিল ৩৩টি। দানিয়েলের আজ শুরু হলো গোলের হিসাব। বাবা আর দাদার সঙ্গে একটু পার্থক্য আছে দানিয়েলের। পূর্বসূরিরা ডিফেন্ডার হিসেবে গোল আটকানোর কাজে ব্যস্ত থাকলেও দানিয়েল অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।