দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ মেসি

বার্সেলোনা তারকা লিওনেল মেসিছবি : টুইটার

লিওনেল মেসি লাল কার্ড দেখেছেন—এটাই ছিল সবার কাছে বিস্ময়কর এক ব্যাপার। মেসি–ভক্তদের জন্য এবার এল আরও এক হতাশার খবর।

যদিও সবারই এটা জানা ছিল যে মেসি একাধিক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন। এরপরও মাঠে ও মাঠের বাইরে অমায়িক আচরণের জন্য প্রায় সন্তর কাতারে পড়া আর্জেন্টাইন তারকার লাল কার্ড দেখা আর এর জন্য একাধিক ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়াটা মেনে নেওয়া তাঁর ভক্তদের জন্য একটু কঠিনই।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, তাদের এটা মেনে নিতে হচ্ছে যে আথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে দেখা লাল কার্ডের জের ধরে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন মেসি।

বার্সেলোনার হয়ে এটি মেসির প্রথম লাল কার্ড। লাল কার্ডটি তিনি দেখেছেন গত পরশু, আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে।

অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচটি ৩–২ গোলে হেরেছে। স্প্যানিশ পরিসংখ্যানবিদ মার্তিন তামায়ো অবশ্য নথি ঘেঁটে বের করেছেন, এর আগেও বার্সেলোনার জার্সিতে লাল কার্ড একটি দেখেছেন মেসি।

তবে সেটি সিনিয়র দলের হয়ে নয়। ১৫ বছর আগে সেই লাল কার্ডটি তিনি দেখেছিলেন তৃতীয় বিভাগের এক ম্যাচে, বার্সেলোনার রিজার্ভ দলের জার্সিতে।

বার্সেলোনার মূল দলের হয়ে ৭৫৩ ম্যাচ খেলে প্রথম লাল কার্ড দেখলেও আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসি লাল কার্ড দেখেছেন দুবার।

তা প্রথম বা দ্বিতীয়, বার্সেলোনার হয়ে মেসির যত নম্বর লাল কার্ডই হোক, এটির জন্য তিনি আগামী পরশু কোপা দেল রেতে করনেয়ার বিপক্ষে ম্যাচসহ খেলতে পারবেন না লা লিগায় আগামী রোববার এলচের বিপক্ষে ম্যাচেও।

লাল কার্ডটি মেসি দেখেছেন ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে। অতিরক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তের খেলা চলছিল তখন। দল ৩-২ গোলে পিছিয়ে ছিল।

এমন সময়ে আক্রমণে উঠে এসেছিলেন মেসি। মেসির কাছে হয়তো সেটা ছিল গোল করার শেষ সুযোগ। আথলেতিক বিলবাওয়ের বক্সের সামনে থেকে বাঁ প্রান্তে বল বাড়িয়েছিলেন তিনি।

এরপর দৌড় দেন, যেন বিলবাও বক্সের ভেতরে কিংবা বলের কাছাকাছি থাকতে পারেন। এমন সময় প্রতিপক্ষ স্ট্রাইকার আসিয়ের ভিয়ালিব্রে তাঁকে বাধা দিতে সামনে এসে পড়ায় মেজাজটা আর ধরে রাখতে পারেননি বার্সা তারকা। ডান হাত দিয়ে চাটি মেরে বসেন! ভিয়ালিব্রে মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছিলেন।

ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সাহায্যে বার্সা তারকাকে লাল কার্ড দেখান মাঠের রেফারি জেসাস গিল মানজানো। ভিয়ালিব্রের গায়ে হাত তোলার সময় মেসির পায়ে বল ছিল না। ‘অফ দ্য বল’ মুহূর্তে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে এমন আচরণ কোনোভাবেই বিধিসম্মত ছিল না।