দুই লাল কার্ড দেখে হার হ্যারি কেইনদের

নিজেদের অবস্থাটা ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না হ্যারি কেইনের।ছবি: রয়টার্স

ইংল্যান্ডের হয়ে আগে দুই ম্যাচ খেলেছেন রিস জেমস। কিন্তু গ্যারেথ সাউথগেটের মূল একাদশের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পাননি। নেমেছিলেন বদলি খেলোয়াড় হয়ে। কাল নেশনস কাপে ডেনমার্কের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো মূল একাদশের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন এই তরুণ রাইটব্যাক। কিন্তু এই ম্যাচটা তিনি সম্ভবত ভুলে যেতে চাইবেন।

ডেনমার্ক জয় পেয়েছে ক্যাসপার এরিকসনের গোলে।
ছবি: রয়টার্স

ইংল্যান্ড ১-০ গোলে হেরেছে—শুধু এ কারণেই জেমস ম্যাচটি ভুলে থাকতে চাইবেন না। কারণ, লালকার্ড দেখেছেন তিনি। তবে খেলেছেনও নজর কেড়ে নেওয়ার মতো। তাঁর সতীর্থ ডেক্লান রাইসের ভাষায়, ‘রিস জেমসকে দেখে মনে হয়েছে ৩০-৪০ ম্যাচ খেলে ফেলেছে।’ সতীর্থের এ প্রশংসাবাণীতেও সম্ভবত রিসের মন ভালো হবে না। ম্যাচটা যে তাঁর শেষ হয়েছে লাল কার্ড দেখেই।রেফারি গিল মারজানোর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেন ২০ বছর বয়সী এ ডিফেন্ডার। তার আগে প্রথমার্ধে লাল কার্ড দেখেছেন তারকা ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়ার।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধিনায়কের জন্য এ মৌসুমটা মোটেও ভালো কাটছে না। কাল প্রথমার্ধেই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ম্যাগুয়ারকে। প্রথমে ইউসুফ পোলসেনকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ম্যাগুয়ার। এরপর ৩১ মিনিটে ক্যাসপার ডোলবার্গকে ফেলে দিয়ে দেখেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। এর ৪ মিনিট পর পেনাল্টি থেকে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের গোলে এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। শেষ পর্যন্ত গোলটা আর শোধ করতে পারেনি ইংল্যান্ড।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখেছিলেন ইংল্যান্ড ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার। কাল এক ম্যাচে আরও দুজন লাল কার্ড দেখায় অনাকাঙ্ক্ষিত এক নজিরের সম্মুখীন হতে হলো ইংল্যান্ডকে। এক বর্ষপঞ্জিতে এর আগে কখনো তিন খেলোয়াড়ের লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়া দেখতে হয়নি ইংল্যান্ডকে।

দুর্দান্ত খেলা জেমসের ম্যাচটা শেষ করেছেন লাল কার্ড দেখে।
ছবি: রয়টার্স

ইংল্যান্ডের তারকা স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনের মতে, কাল জয় পেতে মরিয়া হয়ে ওঠার জন্যই লাল কার্ড দেখতে হয়েছে দুই খেলোয়াড়কে, ‘এটা সেসব ম্যাচগুলোর একটি যেখানে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে আপনি হৃদয় দিয়ে খেলেও কিছু বিষয় বিপক্ষে চলে যায়। এটা শেখার প্রক্রিয়া। আমি নিশ্চিত রিস এখান থেকে শিখবে। যখন নিজের ১২০ শতাংশ ঢেলে দেবে এবং কোনো কিছু নিজের পক্ষে না গেলে হতাশ লাগবেই।’