তিন দিন না যেতেই আবার আইসিইউতে পেলে

ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলেছবি: পেলের ফেসবুক পেজ

৮০ বছরের বয়স্ক শরীরটা যেন দুদণ্ড শান্তিতেও থাকতে দিচ্ছে না পেলেকে! বাড়ির চেয়ে হাসপাতালেই ইদানীং বেশি দিন কাটাতে হচ্ছে ব্রাজিল কিংবদন্তিকে।

এই তো, গত মঙ্গলবারই আইসিইউ থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু তিন দিনও হয়নি, আজ কিছুক্ষণ আগে আবার আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে পেলেকে!

আজ শুক্রবার অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণে তাঁর শরীর কিছুটা খারাপ হওয়ায় পেলেকে আইসিইউতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে ‘ফুটবলের রাজা’কে।

তবে ইএসপিএন ব্রাজিল জানাচ্ছে, এখন পর্যন্ত স্থিতিশীলই আছে পেলের শারীরিক অবস্থা। তাঁর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে রাখতেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পেলেকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।

পেলের কাছের মানুষ বা আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের কেউই এখনো অবশ্য কোনো বিবৃতি দিয়ে কিছু জানায়নি। ব্রাজিলের স্থানীয় সময় শুক্রবারের মধ্যে কোনো বিবৃতি আসার সম্ভাবনা কম বলেই জানাচ্ছে ইএসপিএন ব্রাজিল।

গত ৩১ আগস্ট থেকেই হাসপাতাল-বাড়ি করে দিন কাটছে পেলের। ব্রাজিলের জার্সিতে ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি আগস্টের শেষ দিকে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন, সেখানে চেকআপে তাঁর কোলন টিউমার ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত, ৪ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচার করা হয়।

সর্বকালের দুই সেরা ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা (বাঁয়ে) ও পেলে
ছবি: রয়টার্স

টিউমার পর্যালোচনা করে কী বোঝা গেছে, সেটি অবশ্য কখনো জনসমক্ষে জানানো হয়নি।

অস্ত্রোপচারের পর আইসিইউতেই ছিলেন পেলে। গত মঙ্গলবার ছাড়া পান। বাসায় ফেরার পর অবশ্য পেলে সেদিন নিজের শারীরিক অবস্থা বোঝাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মজা করে লিখেছিলেন, ‘প্রতিদিনই আরও আনন্দে কাটাচ্ছি। এখনো ৯০ মিনিটের পাশাপাশি অতিরিক্ত সময় খেলার মতো ফিট আছি।’ শেষে লিখেছিলেন, ‘আবার দেখা হবে আমাদের।’

সেই প্রার্থনাতেই আজ আবার নিশ্চিত বসে গেছেন লাখো ব্রাজিলিয়ান। দেশ, সমর্থন নির্বিশেষে শতকোটি ফুটবলপ্রেমীও কি বসেননি!