দুবাইয়ে মাঠে হার্ট অ্যাটাকে ফুটবলারের মৃত্যু

আলফি নানছবি: সংগৃহীত

হঠাৎ করেই ফুটবল মাঠে যেন হৃদ্‌যন্ত্রবিষয়ক জটিলতার খবর বেড়ে গেছে!

গত ইউরোতে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়ে ডেনমার্কের ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার পর এ রকম খবর যেন নিয়মিত হয়ে উঠেছে! গত অক্টোবরে হৃদ্‌যন্ত্রের অনিয়মিত স্পন্দনের সমস্যা নিয়ে মাঠ থেকে উঠে যাওয়া বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সের্হিও আগুয়েরো পরে আর মাঠেই ফিরতে পারলেন না, ৩৩ বছর বয়সেই বিদায় বলে দিয়েছেন ফুটবলকে।

আগুয়েরো-এরিকসেনদের মতো বিশ্বজুড়ে পরিচিত নন—এমন অনেক ফুটবলারেরও হৃদ্‌যন্ত্রের জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। আজ নতুন করে ফুটবল–বিশ্বকে শোকগ্রস্ত করছে দুবাই থেকে আসা খবর। দুবাইয়ে মাঠে খেলার সময়েই ৩৫ বছর বয়সী ব্রিটিশ ফুটবলার আলফি নান হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়ে মারা গেছেন!

গত তিন-চার মাসে এমন হার্ট অ্যাটাকের খবর অনেকবারই শোনা গেছে। এর মধ্যে কেউ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে কোনোরকমে বেঁচে ফিরতে পেরেছেন, কারও সে সৌভাগ্য হয়নি। গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে এক সপ্তাহের মধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চার ফুটবলারের হার্ট অ্যাটাকের খবর মিলেছে।

প্রথমে ২৩ বছর বয়সী ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলার মারিন চাচিচ মারা গেলেন, তার পরের দিন ওমানে ম্যাচের আগে গা গরমের সময়েই মাঠে পড়ে যান মাসকাট এফসির ২৯ বছর বয়সী ফুটবলার মুখালেদ আল-রাকাদি।

ইউরোতে হার্ট অ্যাটাকের শিকার এরিকসেন মাঠে পড়ে যাওয়ার পর হতবিহ্বল ডেনিশ সতীর্থরা
ছবি: রয়টার্স

এরপর মিসরের তৃতীয় বিভাগের ক্লাবের গোলকিপার আহমেদ আমিন দলের অনুশীলনে মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন, হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। তার দুই দিন পর এল ৩০ বছর বয়সী আলজেরিয়ান ফুটবলার সোফিয়ান লুকারের মৃত্যুসংবাদ।

আজ সেই তালিকায় যোগ হলো আলফি নানের নাম। একসময় ইংল্যান্ডের অপেশাদার, আধা পেশাদার লিগগুলোতে খেলতেন। ক্যান্টারবুরি সিটি, ক্রয়ডন, ফিশার, বেকেনহাম টাউনের মতো ক্লাবে খেলেছেন।

বুকে ব্যথা নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন আগুয়েরো
ফাইল ছবি: রয়টার্স

বাড়ি ও জমির কেনাবেচার ‘এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করার উদ্দেশ্যে কয়েক বছর আগে দুবাই যান নান। সেখানেই একটি ম্যাচ খেলতে গিয়ে গত পরশু বৃহস্পতিবার মাঠে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন। আর ফেরা হয়নি তাঁর।

তাঁর সাবেক এক ক্লাব ফিশার এফসি টুইটে লিখেছে, ‘দুবাইয়ে ফুটবল খেলার সময় আমাদের সাবেক খেলোয়াড় আলফি নানের মৃত্যুর সংবাদ শুনে খুব খারাপ লাগছে। আলফির পরিবার ও বন্ধুদের সমবেদনা জানাই।’ বেকেনহাম টাউন টুইট করেছে, ‘তাঁর অধিনায়কত্বের সময়েই আমাদের ক্লাবের সবচেয়ে ভালো সময়টা কেটেছে। সবার সঙ্গেই ছিল তাঁর বন্ধুত্ব। আলফি নান এভাবে চলে গেলেন শুনে হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে।’