দোন্নারুম্মা বুঝতেই পারেননি ইতালি চ্যাম্পিয়ন

ইউরো ফাইনালে ইতালিকে টাইব্রেকার জেতানোর পর সতীর্থদের আনন্দের মধ্যমণি দোন্নারুম্মাছবি: এএফপি

ইউরো ফাইনালে টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডের বুকায়ো সাকার শট রুখে দিয়ে জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মার হেঁটে আসার দৃশ্যটি মনে আছে।

শীতল চোখে এমনভাবে গোলপোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এলেন, যেন কিছুই হয়নি। অথচ দোন্নারুম্মার ওই ‘সেভ’ করাতেই শিরোপা জয় নিশ্চিত হয়ে যায় ইতালির। সংবাদমাধ্যম থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলেছে।

স্নায়ুক্ষয়ী সে মুহূর্ত জয়ের পর তাঁর ইতালি সতীর্থদের বাকিরা যখন আনন্দে মাতোয়ারা, দোন্নারুম্মা তখন কীভাবে ঠান্ডা মাথায় হেঁটে বেরিয়ে এলেন!

স্কাই স্পোর্টস ইতালিয়াকে তা ব্যাখ্যা করেছেন ইউরোয় সেরা খেলোয়াড় হওয়া দোন্নারুমা। তাঁর ভাষায়, ইতালি যে জিতেছে সেটি তখন তিনি বুঝতে পারেননি। সতীর্থদের উল্লাসে ফেটে পড়া দেখে বুঝতে পেরেছেন দল চ্যাম্পিয়ন।

দোন্নারুমা বলেন, ‘সতীর্থদের উল্লাস দেখে টের পেয়েছি (ইতালি জিতেছে)।’ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়া এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ দোন্নারুমার ভাষায়, ‘আমরা সুখি। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছি। প্রায় ৫০ দিন হলো সবাই একসঙ্গে আছি, দারুণ লাগছে।’

ইউরো ট্রফি নিয়ে ইতালিতে ফেরার পর সতীর্থ জর্জো কিয়েল্লিনির সঙ্গে দোন্নারুম্মা।
ছবি: এএফপি

এসি মিলানের হয়ে ২৫০ ম্যাচ খেলার পর ক্লাবটির সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই গোলকিপার। পিএসজিতে নতুন অধ্যায় শুরুর অপেক্ষায় আছেন তিনি। মিলানকে যদিও কখনো ভুলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন, ‘রোজনেরিদের (এসি মিলান) সঙ্গে হৃদয়ের বন্ধনটা সব সময়ই থাকবে।’

২০১৩ সালে মিলানের বয়সভিত্তিক দলে যোগ দিয়ে ২০১৫ সালে মূল দলে সুযোগ পান দোন্নারুম্মা। মিলানের হয়ে জিতেছেন সুপার কোপা ইতালিয়া। আপাতত ইউরো জয়ের আনন্দ উপভোগ করছেন দোন্নারুম্মা।

ইউরোর ইতিহাসে এক টুর্নামেন্টে প্রথম দল হিসেবে ইতালিকে দুটি টাইব্রেকার জেতানো এই গোলকিপার বলেন, ‘আপাতত আনন্দটা উপভোগ করতে চাই। এরপর কাল থেকে ছুটি। যাঁরা আমাকে ভালোবেসেছেন এবং সমর্থন দিয়েছেন, আশা করি, তাঁদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি।’

টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডের উইঙ্গার বুকায়ো সাকার শট রুখে দিচ্ছেন বুকায়ো সাকা।
ছবি: এএফপি

ইতালিকে জিতিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্‌যাপন না করা প্রসঙ্গে দোন্নারুম্মার ব্যাখ্যা, ‘উদ্‌যাপন করিনি। কারণ, আমরা যে জিতে গেছি, তা বুঝতে পারিনি। রেফারির দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করেছি, ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) থেকে কোনো সমস্যা আছে কি না। সতীর্থদের উল্লাস দেখার পরই বুঝতে পেরেছি, আমরা জিতে গেছি।’