নতুন ভূমিকায় সাবেক গোলরক্ষক বিপ্লব

বিপ্লব ভট্টাচার্য।
ছবি: প্রথম আলো

হাতে খাতা-কলম নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রেস বক্সে ঢুকলেন বিপ্লব ভট্টাচার্য। জাতীয় দলের সাবেক গোলরক্ষক আজ গভীর মনোযোগে দেখলেন প্রিমিয়ার লিগের শেখ জামাল ধানমন্ডি ও চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যাচটি। গোলরক্ষক বিপ্লব এবার আবির্ভূত হচ্ছেন নতুন ভূমিকায়।

ঘরোয়া ফুটবলে সর্বশেষ খেলেছেন ২০১৮ সালে, ব্রাদার্স ইউনিয়নের জার্সিতে। এরপর দায়িত্ব নেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের গোলরক্ষক কোচের। আজ থেকে শুরু করলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের গোলরক্ষক কোচের দায়িত্ব। ফুটবল ফেডারেশন তাঁকে গোলরক্ষক কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। বাফুফের তালিকাভুক্ত কোচ হিসেবে জাতীয় দলের পাশাপাশি বয়সভিত্তিক অনূর্ধ্ব-২৩ দলেও কাজ করবেন বিপ্লব। এ ছাড়া সারা দেশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা প্রতিভা অন্বেষণের দায়িত্বও থাকছে তাঁর হাতে।

এভাবে আর দেখা যাবে না তা৬কে।
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

বিপ্লবের সঙ্গে বাফুফের চুক্তি চলতি জানুয়ারি মাস থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন ১৯৯৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত। দীর্ঘ ১৬ বছরে টানা ৮ বার সাফ টুর্নামেন্টে খেলেছেন, যা একটা রেকর্ডই বটে। উপমহাদেশের আর কোনো গোলরক্ষকের এই অভিজ্ঞতা নেই। ১৯৯৯ কাঠমান্ডু এসএ গেমসে ফুটবলে সোনাজয়ী দলেও ছিলেন তিনি। বিপ্লবের অভিজ্ঞতা এবার কাজে লাগাতে চায় বাফুফে।
আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে বিপ্লব বলছিলেন, ‘সবারই স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করার। আমার সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। জাতীয় দলের জন্যই আমি ক্লাবের কোচিং ছেড়ে দিয়েছি। আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে ভবিষ্যতের বাংলাদেশের জন্য ভালো মানের গোলরক্ষক বের করে আনতে চাই। জেমি ডে ও স্টুয়ার্ট ওয়াটকিসের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে আমার।’

লিগের ম্যাচগুলো নিয়মিতই মাঠে বসে দেখেছেন বিপ্লব। প্রতিভাবান গোলরক্ষক খুঁজে ফিরছে বিপ্লবের চোখ, ‘আমার একটাই কথা, যারা মাঠে পারফর্ম করতে পারবে তারাই সুযোগ পাবে দলে। সারা বছর খেলবে না ও রকম কাউকে নেব না। আমি এরই মধ্যে লিগের পাঁচটা ম্যাচ দেখেছি। যাদের ডাকব তাদের জাতীয় দলে খেলার যোগ্যতা থাকতে হবে। আমি প্রতি জেলায় যাব, নতুন নতুন গোলরক্ষক খুঁজে খুঁজে বের করব।’
বিপ্লব এরই মধ্যে এএফসির গোলকিপিংয়ের লেভেল ওয়ান কোর্স শেষ করেছেন। দ্রুতই লেভেল ‌‘টু’ কোর্সও শেষ করতে চান তিনি। গোলরক্ষণে বিপ্লবের হাত ধরে উঠে আসবে নতুন প্রতিভা—এটাই আশা সবার।