নারী নির্যাতনের মামলা, পরে অভিযোগ বদল

ইবারা ও তাঁর স্ত্রীর পারিবারিক ঝামেলা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। ফাইল ছবি
ইবারা ও তাঁর স্ত্রীর পারিবারিক ঝামেলা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। ফাইল ছবি

বড় ঝামেলায় ফেঁসে গিয়েছিলেন রেনাতো ইবারা। ইকুয়েডরের এই উইঙ্গার খেলেন মেক্সিকোর লিগে। গত ৫ মার্চ নারী নির্যাতনের মামলায় আটক করা হয়েছিল তাঁকে। বড় ধরনের শাস্তিই অপেক্ষা করছিল তাঁর জন্য। কিন্তু এক সপ্তাহ যেতে না যেতে নিজের অভিযোগ বদলে ফেলেছেন ইবারার স্ত্রী। ফলে নিরুপায় হয়ে আদালতকে মামলা প্রত্যাহার করতে হয়েছে। বৃহস্পতিবারই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এই ফুটবলার। 


মামলার ঘটনা প্রকৃতি বেশ কৌতূহল–উদ্দীপক। ৫ মার্চ ইবারার স্ত্রী লুসলি চালা দাবি করেছেন, ইবারা ও তাঁর শ্বশুরপক্ষের চারজন মিলে চালা ও তাঁর বোনকে শারীরিকভাবে নিপীড়ন করেছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালতে চালা জানিয়েছেন, এমন কিছু বলেননি। ফলে ইবারার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ তুলে নিয়েছেন বিচারক। বৃহস্পতিবার চালা বলেছেন, ‘আমার তো এমন কিছু (শারীরিক নির্যাতন) বলেছি বলে মনে পড়ে না। স্বামী ও আমার মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল। ওর পরিবার ও আমার বোন এতে জড়িয়ে পড়ে। একসময় সব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আমরা একে অপরকে ধাক্কা দিই। এরপর আমি আমার গর্ভের বাচ্চাকে বাঁচানোর জন্য ঘুরে যাই। এরপর আর কিছু দেখিনি আমি।’

মজার ব্যাপার, এর আগে ৫ মার্চ নিজেই একটি ভিডিও দেখিয়েছিলেন চালা। সেখানে দেখা গিয়েছিল হাতে ধাতব এক বস্তু নিয়ে হুমকি দিচ্ছেন ইবারা। আর ইবারার পরিবার তাঁকে আটকাচ্ছে। চালা তখন বলেছিলেন, ‘সে আমার চুল ধরে টেনেছে, দেওয়ালের দিকে ধাক্কা দিয়ে পাঠিয়েছে। এ সময় আমার বোনকে নিয়ে আমি দেয়াল আলমারির মধ্যে ঢুকে পড়ি। আমি দরজা বন্ধ করে ফেলি। ইবারা তখন চিৎকার করে ওর ভাইদের বলছিল ওদের উচিত এসে আমাদের মারা।’ চালা আরও বলেছিল তাঁর ছোট ছেলে সব দেখেছে এবং চিৎকার করছিল, ‘আমার মাকে মেরো না। তাকে ছেড়ে দাও।’

চালা দাবি করেছেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঝামেলার শুরু। ইবারার কাছে বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন। এরপর থেকেই নাকি অত্যাচার করা শুরু করেছেন এই খেলোয়াড়। তাই চালা বোনকে মেক্সিকোতে ডেকে পাঠিয়েছেন। কিন্ত তাঁর বোনকেও নাকি অত্যাচার করা হয়েছে। একই ভিডিওতে চালা দাবি করেছিলেন, ‘খোদাকে ধন্যবাদ, আমি বেঁচে আছি। মেয়েদের উচিত কারও অত্যাচার সহ্য না করা। আমাদের এ বিষয়ে উচ্চকণ্ঠ হতে হবে।’

ভয়াবহ সব অভিযোগ করে পরে আবার প্রত্যাহার তুলে নিয়েছেন চালা। ফলে ছাড়া পেয়ে গেছেন ইবারা। অবশ্য এর মাঝেই ক্ষতি হয়ে গেছে বেশ। নারী নির্যাতনের ঘটনায় নাম ওঠায় ইয়াবারর সঙ্গে চুক্তি শেষ করে দিয়েছে তাঁর ক্লাব।