নিজেকে ‘পপুলার’ ভাবেন কাজী সালাউদ্দিন

সালাউদ্দিন মনে করেন তিনি জনপ্রিয় বলেই তাঁকে নিয়ে এত সমালোচনাফাইল ছবি, প্রথম আলো

আসন্ন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনকে সামনে রেখে গেল কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশ সরগরম। ‘সেইভ ফুটবল’ ও ‘সালাউদ্দিন আউট’ হ্যাশট্যাগে সয়লাব ফেসবুক। বাফুফের অফিশিয়াল পেজের যে কোনো পোস্টেই সালাউদ্দিন বিরোধী মত প্রকাশ করছেন ফুটবল সমর্থকেরা। গত সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হয়েছে মানববন্ধন, যাতে উপস্থিত ছিলেন জনা পঞ্চাশেক ফুটবলপ্রেমী। ঢাকার বাইরেও সালাউদ্দিন বিরোধী মানববন্ধন হয়েছে বলে খবর মিলেছে।

ফেসবুকে নেই সালাউদ্দিন। কিন্তু বিষয়গুলো ঠিকই জানা আছে বাফুফে সভাপতির। তবে বরাবরের মতোই এগুলোকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চান না তিনি। তাঁর কথা, ‘আমি পপুলার। তাই আমাকে নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা। আমার ফেসবুক নেই। আমি এসবের কথা অফিসের মাধ্যমে জানি। এগুলোকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাই না।’

চতুর্থবারের মতো বাফুফে সভাপতি হতে নির্বাচন করছেন সালাউদ্দিন
ছবি: প্রথম আলো

ফেসবুক তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারণাকে সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্রই মনে করেন তিনি, ‘আমার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে এসব করা হচ্ছে। এটা আমি বুঝতে পারি কিছু জিনিস দেখে। ধরুন, এক হাজার মানুষ আমার নাম লিখছে কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ। আমার নাম তো কাজী সালাউদ্দিন। এত মানুষ তো একই ভুল লিখতে পারে না। তার মানে একটা প্ল্যাটফর্ম থেকেই এগুলো করা হচ্ছে।’

২০০৮ সালে প্রথম বাফুফের সভাপতির চেয়ারে বসে সালাউদ্দিন। সে বছর বাংলাদেশের ফিফা র‍্যাঙ্কিং ছিল ১৫০-এর নিচে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৭। কিছুদিন আগে যেটি নেমে গিয়েছিল ১৯৭-তে। বাফুফে সভাপতিকেই এ জন্য দায়ী করছেন সাধারণ ফুটবলপ্রেমীরা। চাইছেন তাঁর পদত্যাগ। কিন্তু সালাউদ্দিনের বক্তব্য, যাঁরা তাঁর পদত্যাগ চাচ্ছেন, তাঁরা পারলে নির্বাচনে জিতে আসুন, ‘ তাঁরা আমাকে বলছে পদত্যাগ করতে। ১৫ দিন পর নির্বাচন, আমি কেন পদত্যাগ করব। তাঁরা নির্বাচনে জিতে আসুক। আমি যদি সঠিক সময়ে নির্বাচন না দিতে পারতাম, তাহলে পদত্যাগের প্রশ্ন আসত। আমি তো নির্বাচন দেওয়ার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছি।’

আগামী ৩ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন। ব্যালটে সভাপতি পদে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নাম থাকছে সাবেক ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক ও বাদল রায়ের। যদিও বাদল রায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলছেন। কিন্তু সে ঘোষণা সময়মতো না আসায় কাগজে-কলমে তিনি থাকছেন। তবে সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, এসব ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।

ফেসবুক প্রচারণাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না সালাউদ্দিন।
ফাইল ছবি, প্রথম আলো