নিষেধাজ্ঞার খবরে ক্ষুব্ধ নেইমার

নেইমার।ফাইল ছবি

এ মৌসুমে একটি ট্রফি জেতারই সবচেয়ে ভালো সুযোগ পিএসজির। লিগে দুই ম্যাচ বাকি থাকা অবস্থায় দুই পয়েন্টে পিছিয়ে আছে লিলের চেয়ে। চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হেরে গেছে। ফ্রেঞ্চ লিগ ক্লাব বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন ক্যুপ দ্য ফ্রান্স বা ফ্রেঞ্চ কাপই নেইমারদের একমাত্র ভরসা। আগামী বুধবার মোনাকোর বিপক্ষে স্তাদে দ্য ফ্রান্সে কাপের ফাইনাল খেলতে নামবে পিএসজি।

এদিকে কাপের সেমিফাইনালে একটা কাণ্ড করেছেন নেইমার। মঁপেলিয়ের এক খেলোয়াড়কে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেছেন। সাধারণত, একটি হলুদ কার্ডে কোনো রকমফের হয় না। কিন্তু নেইমারের অতীত আচরণের কথা মাথায় রেখেছেন ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ) তাঁকে ফ্রেঞ্চ কাপের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচে তাই খেলা হচ্ছে না নেইমারের।

এমনিতেই ফাইনালের মতো কোনো খেলা হাতছাড়া হওয়া মেনে নিতে পারেন না কোনো ফুটবলার; আর সেটা যদি হয় শুধু হলুদ কার্ড দেখার জন্য, তা নেইমারের মতো একজন কেন মানবেন? নিজের রাগ–ক্ষোভ কাল ঝেড়ে দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

রেফারিদের সঙ্গে নেইমারের ঝামেলায় জড়ানো নতুন নয়।
ফাইল ছবি

শুধু হলুদ কার্ড দেখে পরের ম্যাচে নিষিদ্ধ হওয়া যায় না, এমন নয়; তবে সেটি হতে হলে কোনো খেলোয়াড়কে নির্দিষ্টসংখ্যক হলুদ কার্ড দেখতে হয়। কিন্তু এফএফএফ নেইমারকে অতীত বিবেচনা করে শাস্তি দিয়েছে। ফাইল ঘেঁটে তাঁর আচরণ দেখে অসন্তুষ্ট, তাই এবার কড়া শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এক মাস আগে লিগ নির্ধারণ করে দেওয়া এক ম্যাচ লিলের তিয়াগো জালোর সঙ্গে মারামারি করে পেয়েছিলেন দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার শাস্তি। স্নায়ুক্ষয়ী সেই ম্যাচের শেষ দিকে মেজাজ গরম করে জালোকে ধাক্কা দিয়ে লাল কার্ড দেখেছিলেন পিএসজি তারকা। ফ্রেঞ্চ কাপের সেমিফাইনালে তেমন গুরুতর কিছু করেননি, তাই শুধু হলুদ কার্ড দেখেছেন। কিন্তু ফেডারেশন নেইমারকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, ওই ঘটনার পরই ব্রাজিল তারকাকে সাবধান করা হয়েছে, একই ধরনের কোনো ঘটনায় জড়ালে শাস্তি পাবেন।

ফেডারেশনের এমন যুক্তি কোনোভাবেই মানতে পারছেন না নেইমার। কাল ইনস্টাগ্রামে জ্বালাময়ী এক বার্তা দিয়েছেন। ফেডারেশনের নিষেধাজ্ঞার নিয়ম আর তাঁকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত যিনি নিয়েছেন, তাঁর উদ্দেশে ক্ষোভ ঝেড়েছেন, ‘ফ্রান্সে নিষিদ্ধ করার ব্যাপার যিনি দেখভাল করেন, তাঁর চিন্তাভাবনা করার প্রক্রিয়াটা বুঝতে চাই আমি! এটা (তাঁকে ফাইনালে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত) হাততালির যোগ্য। কী অবস্থা!’ এর সঙ্গে তিনবার মাথা চাপড়ানোর ইমোজি দিয়ে তাঁর রাগ–ক্ষোভ নিয়ে কারও সন্দেহ থাকলে সেটা দূর করে দিয়েছেন নেইমার।

আরেকটি ইনস্টাগ্রামবার্তায় ষড়যন্ত্রের তির ছুড়েছেন সেমিফাইনালের রেফারি জেরেমি পিনার্দের দিকে, ‘আমি পাঁচ মিনিট খেললাম, একটা ফাউল করলাম, আর কোনো চিন্তা না করেই আমাকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে দিলেন। ফাইনালে আমাকে নিষিদ্ধ করার জন্য ধন্যবাদ। আমার মনে হয় এটি ব্যক্তিগত (আক্রোশ)।’