নেইমারদের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি

নেইমার।ছবি: রয়টার্স

খেলোয়াড়দের বাড়িঘরের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ফরাসি ফুটবল ক্লাব পিএসজি। না বাড়িয়ে অবশ্য উপায় ছিল না। এ বছর বেশ কবারই যে পিএসজির ম্যাচ চলাকালে চুরি–ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ফুটবলারদের বাড়িতে।

সর্বশেষ ফ্রান্সের লিগ ‘আঁ’তে নঁতে–পিএসজির ম্যাচ চলাকালে ডাকাতি হয়েছে আনহেল দি মারিয়ার বাড়ি ও মার্কিনিওসের বাবার বাড়িতে। এর আগে নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পেরা নিজেদের উদ্যোগে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে নিজ নিজ বাড়িতে নিরাপত্তা বাড়িয়ে নিয়েছেন।

প্যারিসের নাঁতেরের প্রসিকিউটরস অফিসের মহাসচিব জেনারেল ম্যারিয়ন শালু গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দি মারিয়াদের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার তদন্ত করছে বিশেষ পুলিশ ইউনিট।

বিশেষ এই পুলিশ ইউনিট এর আগে মাউরো ইকার্দি ও সের্হিও রিকোর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার তদন্তও করেছে। ফ্রান্সের লে’কিপ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে আনহেল দি মারিয়ার বাড়িতে থেকে ডাকাতেরা ৫ লাখ ইউরো দামের স্বর্ণালংকার লুট করেছে।

দি মারিয়ার বাড়ি থেকে ডাকাতরা ৫ লাখ ইউরো দামের স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে।
ছবি: রয়টার্স

যখন দি মারিয়ার বাড়িতে ডাকাতি চলে, একই সময়ে আরেক দল ডাকাত পিএসজি অধিনায়ক মার্কিনিওসের বাবার বাড়িতেও ঢোকে। এই দুই দলের মধ্যে কোনো যোগসাজশ আছে কি না, তদন্তকারী পুলিশ ইউনিট সেটাও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এ ঘটনার পর মার্কিনিওস ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে বলেন, ‘ওই ম্যাচ চলার সময় তাঁর মা–বাবা বাড়িতেই ছিলেন। তবে তাঁরা বেশ ভয় পেয়েছিলেন। ফরাসি কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।’

লা পারিসিয়ান পত্রিকার খবর অনুসারে শাতু শহরের ডাকাতদের ওই বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময়ে মার্কিনিওসের বাবাকে কিছু সময়ের জন্য আটকে রাখা হয়েছিল। ওই সময় তাঁদের মূল্যবান ব্যাগ, স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য জিনিসপত্র এবং ২ হাজার নগদ ইউরো ডাকাতেরা নিয়ে যায়।

লে’কিপ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে মার্কিনিওসের বাবার মুখে ও বুকে বেশ কয়েকবার আঘাত করে ডাকাতেরা। এই ঘটনা ভার্শেইয়ের প্রসিকিউটররা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে লা পারিসিয়ান বলছে, ডাকাতেরা ভুল করে মার্কিনিওসের বাবার বাড়িতে ঢুকেছিল। ওরা ভেবেছিল, এটাই মার্কিনিওসের বাড়ি। মার্কিনিওস ও মা–বাবা অবশ্য একই এলাকায় কাছাকাছি বাড়িতে থাকেন।

মার্কিনিওসের বাবার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।
ছবি: রয়টার্স

অবনমনের তালিকায় থাকা নঁতের কাছে ২-১ গোলে হারের ওই ম্যাচে ক্লাব কর্মকর্তারা দি মারিয়াকে দ্বিতীয়ার্ধে তুলে নিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। ডাকাতির ঘটনা জেনে ক্লাবের পরিচালক লিওনার্দোর সঙ্গে আলোচনা করেন কোচ পচেত্তিনো। এরপরই তাঁকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয়। দি মারিয়ার সঙ্গে ওই সময় ড্রেসিংরুম পর্যন্ত যান টটেনহাম হটস্পারের সাবেক এই কোচ।

কয়েক বছর আগে যখন দি মারিয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলতেন, তখনও এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল। ২০১৫ সালে দি মারিয়ার পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতি করতে যাচ্ছিল দুর্বৃত্তরা। কিন্তু ওই সময় বাড়ির নিরাপত্তা–ঘণ্টা বেজে ওঠায় ডাকাতেরা আর বাড়ির ভেতরে ঢুকতে পারেনি।