‘নেইমারের পার্টি’ আসলে নেইমারের নয়

নেইমারের এখন সময় কাটছে নিজের দেশ ব্রাজিলেছবি: টুইটার

ফুটবল ও পার্টি—দুটোই মিশে আছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের রক্তে। দু-একজন হয়তো ব্যতিক্রম, কিন্তু ব্যতিক্রম দিয়ে তো আর উদাহরণ চলে না।

পার্টি, হইহুল্লোড় ভালোবাসা ফুটবলারদের মধ্যে নেইমার অবশ্য বড় উদাহরণ। বল পায়ে তিনি যেমন মসৃণ, পার্টিতেও ছলকে ওঠে রক্ত। তাতে বিতর্কও এড়াতে পারেন না।

পিএসজি তারকার পার্টিতে মজে থাকা নিয়েই খবর বেরিয়েছিল, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্রাজিলে নিজের বাসায় বড়সড় এক পার্টির আয়োজন করছেন নেইমার। করোনা মহামারির মধ্যে এ খবর বিতর্ক উসকে দেয়।

কিন্তু নেইমারের আইনজীবী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই পার্টির সঙ্গে তাঁর মক্কেলের কোনো সম্পর্ক নেই। পার্টিটি আয়োজন করছে এজেন্সিয়া ফ্যাব্রিকা নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

চোটে পড়া নেইমার ফ্রান্স ছেড়ে ব্রাজিলে এসেছেন বেশ কিছুদিন হলো। বড়দিনের ছুটি কাটিয়েছেন নিজের দেশেই। কিছুদিন আগে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ জানিয়েছিল, বড়দিন উদযাপনে ৫০০ জনকে নিয়ে পার্টি করেছেন ব্রাজিল তারকা।

গোপন এই পার্টিতে নেইমার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন, যেন ডিসকোর শব্দ বাইরে থেকে কেউ না শুনতে পায়।

কিন্তু এজেন্সিয়া ফ্যাব্রিকা জানায়, বড়দিন নয়, বরং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পার্টি করবেন নেইমার আর এই পার্টিতে ৫০০ জন নন, আসবেন ১৫০ জনের মতো অতিথি।

করোনার মধ্যে সব স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখেই নাকি পার্টির আয়োজন করা হবে। পার্টি চলবে পাঁচ দিন ধরে।

কিন্তু নেইমারের আইনজীবীর দাবি, পার্টির সঙ্গে ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের কোনো সম্পর্কই নেই, ‘এটা ফ্যাব্রিকার আয়োজন। নেইমারের এর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। নতুন বছর আসার লগ্নে তিনি (নেইমার) নিজের পরিবার ও ফিজিওর সঙ্গে থাকবেন।’

করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত সময় পার করছে ব্রাজিল। প্রায় দুই লাখের মতো মানুষ মারা গেছেন দেশটিতে। ব্রাজিলে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত, বিশ্বের মধ্যে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। আর মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে শুধু যুক্তরাষ্ট্রই তাদের চেয়ে এগিয়ে।

ফরাসি লিগে লিওঁর বিপক্ষে ম্যাচে পায়ে চোট পান নেইমার। এরপর থেকেই তিনি মাঠের বাইরে। ৬ জানুয়ারি নতুন বছরে পিএসজির প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার সম্ভাবনা আছে নেইমারের। আর এর মধ্যেই তাঁকে ঘিরে পাঁচ দিনের পার্টির বিতর্ক।

নেইমারের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের অবস্থান পরিষ্কার করে দেওয়ার পর অবশ্য বিতর্কটা থামার কথা।