পর্যাপ্ত সম্মান না দেওয়ায় মন খারাপ তাঁর

জর্জিনিও।ছবি: টুইটার

২০১৮ সালে ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলি থেকে চেলসিতে যোগ দেন ইতালিয়ান ফুটবলার জর্জিনিও। কোচ মরিসিও সারি নাপোলি থেকে চেলসির কোচ হয়েই তাঁর কৌশলের সেরা অস্ত্র হিসেবে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন ব্রাজিলে জন্ম নেওয়া জর্জিনিওকে। এর আগে সারির অধীনে নাপোলির প্রাণ ছিলেন এই মিডফিল্ডার। চেলসির জার্সিতে গোল দিয়েই অভিষেক হয়েছিল এই মিডফিল্ডারের।

সারির অধীনে মূল খেলোয়াড় হিসেবেই দলে ছিলেন। কিন্তু প্রিয় কোচ বিদায় নেওয়ার পর থেকে গত দেড় মৌসুমে আর আলোচনায় নেই ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। চেলসিতে খেলে নিজের প্রত্যাশা অনুযায়ী সম্মান পাচ্ছেন না বলেও দাবি করেছেন জর্জিনিও।

ইতালিতে ফেরার ইচ্ছার কথা জনাইয়েছেন জর্জিনিও।
ছবি: এএফপি

চেলসিতে তৃতীয় মৌসুম খেলছেন জর্জিনিও। চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে চেলসির হয়ে ম্যাচ খেলেছেন ৩৩টি। এতেই বোঝা যাচ্ছে চেলসির জার্সিতে প্রায় নিয়মিতই মাঠে নামছেন এবং নিজের পারফরম্যান্সেও তিনি খুশি। কিন্তু তাঁর পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার অভাব আছে বলে মনে করে ইংলিশ গণমাধ্যম। ডেইলি মেইল-এর এমন প্রশ্নের বিপরীতে নিজেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন জর্জিনিও, ‘উত্থান-পতন? আপনি সংখ্যার দিকে তাকান। সংখ্যা কিন্তু তা বলছে না।’

এরপর নিজের ক্ষোভ ঝেড়েছেন জর্জিনিও। ইতালি জাতীয় দলের এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘আমাকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে এবং আমি তা মেনে নিয়েছি। সবারই নিজস্ব মতামত রয়েছে। সেগুলোর সঙ্গে আমি একমত না হলেও আমি সম্মান জানাই। সমালোচনা আমাকে আরও ভালো করার জন্য পরিশ্রম করতে ও তাদের ভুল প্রমাণ করতে অনুপ্রেরণা জোগায়। কিছু সময় মনে হয় আমাকে পর্যাপ্ত সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু আমি কখনোই হতাশ হই না। এটা আমার ও দলের জন্য দারুণ মুহূর্ত। কিন্তু সব সময় স্বাচ্ছন্দ্যে থাকা যায় না।’

গত বছরের শেষ দিকে ধুঁকছিল চেলসি। এই বছর জানুয়ারিতে কোচ ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের জায়গায় থমাস টুখেল দায়িত্ব নেওয়ার পর হাসতে শুরু করেছে অল ব্লুজরা। দলের এই বদলে যাওয়ার পেছনে টুখেলের অবদান দেখছেন জর্জিনিও, ‘দলে তিনি বড় প্রভাব ফেলেছেন। বুঝতে পেরেছিলেন আমাদের সঙ্গে কীভাবে কাজ করতে হবে এবং কীভাবে আমাদের থেকে সেরাটা বের করে আনতে হবে। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন কী বলতে হবে এবং খেলোয়াড়দের কাছে থেকে কী প্রত্যাশা করা যায়।’