পিএসজিকে একেবারে না বলে দেননি জিদান

রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক কোচ জিনেদিন জিদানফাইল ছবি

ফ্রান্স দলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন দেখেন জিনেদিন জিদান। ২০২২ বিশ্বকাপ শেষে ফ্রান্স দলের দায়িত্ব তিনি নেবেন বলেই ধারণা। রিয়াল মাদ্রিদের পদ ছেড়ে দেওয়ার পর এক বছর হয়ে গেছে, কিন্তু এখনো তাঁকে কোনো ক্লাবে না দেখার কারণ নাকি এটাই। রিয়াল মাদ্রিদকে দুটি লা লিগা ও টানা তিন চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো এক কোচের এভাবে বসে থাকার অন্য কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া তো কঠিনই।

আরও পড়ুন

একদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানোর জন্য বিখ্যাত জিদান। ওদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার জন্য হন্যে হয়ে উঠেছে পিএসজি। মাত্রই মরিসিও পচেত্তিনোকে বিদায় করা দলটির পছন্দের তালিকায় ভালোভাবেই ছিলেন জিদান। কিন্তু শোনা যায়, রিয়াল মাদ্রিদ ও নিজের সবচেয়ে প্রিয় ক্লাব মার্শেইয়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে পিএসজিকে না বলে দিয়েছেন জিদান। কখনো পিএসজির কোচ হবেন না, এমন কথাও  শোনা যায়। কিন্তু জিদান নিজেই বলছেন, পিএসজিকে একেবারে না বলতে চান না তিনি।

আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়ালের খেলা দেখতে মাঠে ছিলেন জিদান
ফাইল ছবি : রয়টার্স

আজ জিনেদিন জিদানের ৫০তম জন্মদিন। জন্মদিন উপলক্ষে লে’কিপে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্রান্স দলের কোচ হওয়ার ইচ্ছার কথা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন জিদান, ‘অবশ্যই আমি সেটা চাই। আশা করি, একদিন আমি জাতীয় দলের কোচ হব। সেটা কখন হবে? তা তো আর আমার ওপর নির্ভর করে না! তবে ফ্রান্স জাতীয় দলে আমি চক্রটা পূরণ করতে চাই।’

আরও পড়ুন

চক্র তো বটেই। ফ্রান্স দলের হয়ে অভিষেকের মুহূর্ত এখনো মনে গেঁথে রেখেছেন। বিশ্বকাপ জিতেছেন, জিতেছেন ইউরো। একবার অবসর নিয়েও দলের প্রয়োজনে ফিরেছেন। বিশ্বকাপ জিতে বিদায় নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু একমুহূর্তের রাগে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার থিয়েরি গিলার্দি যেমন বলেছিলেন, ‘এভাবে নয়...।’ লে’কিপকে জিদান বলেছেন, ‘এ কারণেই আমি বলি ফ্রান্স দলে আমার গল্প এখনো শেষ হয়নি। এভাবে এটা শেষ হোক, আমি চাই না। আমার গল্পটা শেষ হয়নি।’ কোচ হিসেবে ফ্রান্স দলে যোগ দিয়ে এবং দলকে কিছু জিতিয়ে তবেই চক্রটা পূরণ করবেন বলে আশায় আছেন জিদান।

আরও পড়ুন

তার মানে কি পিএসজির তাঁকে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। মার্শেইয়ে বড় হয়েছেন। তাঁর ছোটবেলার সব ফুটবল আদর্শ তো মার্শেইয়েরই। এই ক্লাবের সঙ্গে পিএসজির আবার দা-কুমড়া সম্পর্ক। ওদিকে রিয়ালের সঙ্গেও ইদানীং পিএসজির সম্পর্কটা তেতো হয়ে উঠেছে। নিজের সবচেয়ে কাছের দুটি ক্লাবকে দুঃখ দিতে চান না বলেই নাকি কাতারের প্রিন্সের অনুরোধেও রাজি হননি জিদান। একসময় এস্পানিওলের কোচ ছিলেন বলে পচেত্তিনো যেমন বলেছিলেন বার্সেলোনার কোচ হওয়ার চেয়ে আর্জেন্টিনায় গিয়ে খামার দেবেন!

আরও পড়ুন

লে’কিপের প্রশ্নের মুখে জিদান অবশ্য এমন কিছু বলেননি। বরং যা বলেছেন তাতে আশাবাদী হয়ে উঠতে পারেন পিএসজি সমর্থকেরা। এখন না হোক, ফ্রান্স দলের চক্র পূরণ করে হলেও জিজু হয়তো তাদের ক্লাবে পা রাখবেন, ‘আপনার কখনোই বলা উচিত না “কখনো না।” বিশেষ করে বর্তমানের একজন কোচের। তবে এই প্রশ্নটাই অবান্তর। যখন খেলোয়াড় ছিলাম, তখন প্রায় যেকোনো দলেই যেতে পারতাম। একজন কোচ হিসেবে, আমার পক্ষে যাওয়া সম্ভব এমন পঞ্চাশটি ক্লাব নেই। বেশি হলে দুই বা তিনটি আছে। এটাই বাস্তবতা। খেলোয়াড়ের চেয়ে কোচ হিসেবে আপনার সুযোগ আরও কম। আমি যদি কোনো ক্লাবে যাই, জিততেই যাব। আমি বিনয়ের সঙ্গে বলছি। এ কারণেই যেখানে খুশি সেখানে যাচ্ছি না। আর অন্য কারণ বলতে গেলে, হয়তো সব জায়গায় যাওয়া সম্ভবও না।’

আরও পড়ুন