পিএসজির সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর ইচ্ছা নেই এমবাপ্পের
দলে তারকা থাকার এই এক সমস্যা। মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে যতটা আলোচনা হয়, মাঠের বাইরেও তাঁদের নিয়ে কথাবার্তা কম হয় না। পিএসজি সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। দলে যে নেইমার আর কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো দুজন তারকা আছেন!
এই দুজন যেদিন থেকে পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন, বলতে গেলে সেদিন থেকেই তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। কেউ নেইমারকে বার্সেলোনায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন, কেউ এমবাপ্পেকে রিয়াল মাদ্রিদে। তাঁরা নিজেরাও যে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে আলোচনার রসদ দেননি, সেটাও বলা যাবে না।
নেইমারের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাও সম্প্রতি আলোচনার মাত্রাটা কমেছে একটু। কিন্তু এমবাপ্পে? কমার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না!
সেই জল্পনার-কল্পনার আগুনে আরেকটু ঘি ঢালল স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা। আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে তাঁদের সাংবাদিক হোসে ফেলিক্স দিয়াজ—তিনি জানিয়েছেন, পিএসজির সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর ইচ্ছা নেই এমবাপ্পের। ২০২২ সালে চলতি চুক্তি শেষ হলেই ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ক্লাব ছাড়তে চান তিনি।
নিজের এ সিদ্ধান্তের কথা এর মধ্যেই পিএসজির কোচ মরিসিও পচেত্তিনোকে জানিয়ে দিয়েছেন এমবাপ্পে, এমনটাই দাবি করেছেন দিয়াজ। ইউরো শেষে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন এমবাপ্পে। ছুটি কাটিয়ে ক্লাবের অনুশীলনে যোগ দিয়েই কোচকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি, এমনটাই বক্তব্য দিয়াজের।
তবে ক্লাব ছাড়ার জন্য পিএসজির সঙ্গে মন কষাকষি করবেন না এমবাপ্পে। এখনই ক্লাব ছাড়তে চাইছেন না তিনি, অপেক্ষা করছেন চলতি চুক্তি শেষ হওয়ার। চুক্তি শেষ হলেই পিএসজি ছাড়ার ইচ্ছা তাঁর। তবে চুক্তি শেষে কোথায় যাবেন, সেটা নিশ্চিত নয় এখনো।
রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুলের মতো ক্লাবগুলো যে এমবাপ্পের ব্যাপারে আগ্রহী, সে কথা আজকের নয়। রিয়ালই দৌড়ে এগিয়ে। তবে রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সঙ্গে পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফির সম্পর্ক বেশ ভালো। এমবাপ্পের জন্য সে সম্পর্ক খারাপ করতে রাজি নন পেরেজ, এটাও জানিয়েছেন দিয়াজ।