পুলিশকে প্রথম জয় উপহার পুডার

গোলের সে মুহূর্ত।ছবি: প্রথম আলো

বেশির ভাগ সময়ই বক্সে ঢুকে এলোমেলো শট মেরেছেন ফ্রেডেরিক পুডা। বারবার সুযোগ নষ্ট করে নিশ্চয়ই নিজের ওপর বিরক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের আইভরি কোস্টের মিডফিল্ডার। অবশেষে ম্যাচ শেষের ৯ মিনিট আগে পুডা পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত গোল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগে পুডার এই গোলেই উত্তর বারিধারাকে হারিয়েছে পুলিশ।

লিগে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে পুলিশ। আগের দুটি ম্যাচেই হার। প্রথম ম্যাচে আবাহনীর কাছে হারের ব্যবধান ছিল ১-০ গোলের। পরের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরেছিল ২-১ গোলে। বারিধারার এটা দ্বিতীয় ম্যাচ। দুটি ম্যাচেই হেরে এখনো পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে বারিধরা। প্রথম ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের কাছে বারিধারা হেরেছিল ২-০ গোলে।

লিগে বড় দুটি দলের বিপক্ষে গত ম্যাচগুলো হেরেছিল পুলিশ। কিন্তু শেষ মিনিট পর্যন্ত পুলিশকে কখনোই হাল ছাড়তে দেখা যায়নি। আর আজ তো শুরু থেকেই জয়ের ক্ষুধাটা টের পাওয়া গেছে। কোচ পাকির আলী এবং পুলিশের খেলোয়াড়দের জন্য এ যেন আত্মবিশ্বাস বাড়ানো জয়।

উত্তর বারিধারার চেয়ে তুলনামূলক বেশি আক্রমণাত্মক খেলেছে পুলিশ। গোটা তিনেক গোল নিয়ে ফিরতেই পারত দলটি। ম্যাথিউজ বাবলু, পুডা, বাল্লো ফামোসার আক্রমণ বেশ কয়েকবার ভীতি ছড়িয়েছে বারিধারার বক্সে। ম্যাচের ১৩ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যেতে পারত পুলিশ। কিন্তু বাল্লো ফামোসার শট বারিধারার গোলরক্ষক মামুন আলিফ ফিস্ট করে বাঁচিয়েছেন। ২১ মিনিটে বাবলু চমৎকার ক্রস ফেলেন বক্সে, বলটাতে পুলিশের ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ স্বাধীনের শুধু পা ছোঁয়ালেই চলত। কিন্তু বল ধরতে গিয়ে স্বাধীন পড়ে গেলেন বক্সের সামনে।

বারিধারার উজবেক মিডফিল্ডার এভেগেনি কোহেনেভ আর ফরোয়ার্ড আবদুল খালেক অবশ্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছেন গোল করতে। তা ছাড়া কোচ জাহিদুর রহমান আস্থা রেখেছিলেন জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ফরোয়ার্ড সুমন রেজার ওপরও। কিন্তু সুমন হতাশই করেছেন আজ।

পুডার সুবাদেই প্রথম জয় পেল পুলিশ।
ছবি: প্রথম আলো

সময় যতই গড়িয়েছে, গোলের নেশায় ততই বেশি করে ছুটেছে পুলিশ। অবশেষে ৮১ মিনিটে সফল হয়েছে দলটি। ডান প্রান্ত থেকে ফয়সাল আহমেদ চমৎকার ক্রস ফেলেন বক্সে। একটু নিচু হয়ে আসা বলটি ড্রাইভ দিয়ে মাথা ছোঁয়ান পুডা। বল জালে জড়াতেই পুডাকে ঘিরে উল্লাসে মেতে ওঠে পুলিশের সতীর্থরা।

যোগ করা সময়ে গোল শোধের দারুণ একটা সুযোগ পায় উত্তর বারিধারা। বক্সের একেবারে সামনে থেকে পাওয়া ফ্রি–কিক নেন মোস্তফা। ওই সময় বারিধারার গোলপোস্ট থেকে বেরিয়ে পুলিশের বক্সে উঠে আসেন গোলরক্ষক মামুন। কিন্তু গোল করতে পারেনি বারিধারা। অবশ্য ম্যাচের শেষ দিকে বারবার মাঠে পড়ে গিয়ে অহেতুক সময় নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন পুলিশের খেলোয়াড়েরা। এতে বেশ বিরক্তই হচ্ছিল বারিধারা। আর ম্যাচ শেষে তো রেফারি চৌধুরী নয়নকে ঘিরে ধরেন গোলরক্ষক মামুন, কোহেনেভ। দায়িত্বরত পুলিশের সহায়তায় শেষ পর্যন্ত মাঠ ছেড়ে বের হন রেফারিরা।