পুলিশের ওপর ঝাল মেটাল রাসেল

পুলিশকে কোনো সুযোগ দেয়নি শেখ রাসেল (নীল-সাদা জার্সি)।ছবি: প্রথম আলো

আগের ম্যাচে উত্তর বারিধারার কাছে হার। এর আগের ম্যাচেই বসুন্ধরা কিংসের কাছে রীতিমতো গোল উৎসবের শিকার হয়েছিল শেখ রাসেল। চার গোল হজম করতে হয়েছিল রক্ষণের জন্য বিখ্যাত দলটিকে। টানা দুই ম্যাচে হারের ঝালটা আজ বাংলাদেশ পুলিশের ওপর মেটাল শেখ রাসেল।

আইভরি কোস্টের মিডফিল্ডার ফ্রেডরিক পুদাকে বলা যায় বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের মেরুদণ্ড। পুলিশের প্রায় প্রতিটা আক্রমণই শুরু হয় পুদার পা থেকে। আবার প্রতিপক্ষের আক্রমণ গুঁড়িয়ে দিতেও জুড়ি নেই তাঁর। আজ পুদাকে ছাড়া খেলতে নেমে তাঁর অভাবটা ভালোভাবেই টের পেয়েছে পুলিশ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কাছে ৫–০ গোলে উড়ে গেছে তারা। এবারের লিগে পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় হার।

জোড়া গোল করেছেন আবদুল্লাহ।
ছবি: প্রথম আলো

আজকের আগে পুলিশ ম্যাচ খেলেছে ১১টি। সব কটি ম্যাচেই পুরো সময় খেলেছিলেন পুদা আর সব মিলিয়ে পুলিশ গোল হজম করেছিল ১৭টি। আজ পুদাকে ছাড়া এক ম্যাচেই গোল হজম করল ৫টি। এই ৫ গোলের দুটি করেছেন শেখ রাসেলের বাংলাদেশের খেলোয়াড় মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। একটি করে গোল করেছেন তিন বিদেশি ওবি মনেকে, জিয়ানকার্লো লোপেজ ও সিওভুশ আশরোরোভ।

শেখ রাসেলের সামনে কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি পুলিশ। এবারের মৌসুমে পুলিশের জার্সিতে আজই প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন গোলরক্ষক সাইফুল ইসলাম খান। দিনটি খুবই বাজে গেছে তাঁর। রাসেলকে একটি গোল যেন উপহার দিয়েছেন তিনি! ৬৯ মিনিটে আবদুল্লাহর দ্বিতীয় গোলে তাঁর না যতটা অবদান, এর চেয়ে অনেক বেশি দায় গোলরক্ষক সাইফুলের। আবদুল্লাহর ক্রস আটকাতে গিয়ে বল গ্রিপে নিতে পারেননি। উল্টো পোস্টের বাইরের বল ঢুকিয়ে দিয়েছেন জালে।

শুরুতেই দলকে এগিয়ে দিয়েছেন মনেকে।
ছবি: প্রথম আলো

শেখ রাসেলের গোলবন্যার শুরু ওবি মনেকেকে দিয়ে। ৬ মিনিটে হাবীবুর রহমান নোলকের লম্বা থ্রোয়ে হেডে গোলটি করেন নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার। পরের গোলটি ব্রাজিলিয়ান জিয়ানকার্লো লোপেজকে দিয়ে করিয়েছেন মনেকে। অ্যাটাকিং থার্ডে প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে থ্রু দিলে বক্সের মধ্যে থেকে কোনাকুনি শটে দূরের পোস্টে জালে জড়িয়েছেন লোপেজ। ৩৬ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে খালেকুজ্জুমান সবুজের ক্রসে দূরের পোস্ট থেকে পা ছুঁয়ে দলের তৃতীয় গোলটি করেছেন জাতীয় দলের এই মিডফিল্ডার।

৬৯ মিনিটে তো মেঘ না চাইতেই জলের মতো গোল পেয়ে যান আবদুল্লাহ। পুলিশকে বাগে পেয়ে গোল করতে ছাড়েননি শেখ রাসেলের ডিফেন্ডার আশরোরোভও। ৮৪ মিনিটে লোপেজের কাটব্যাক থেকে দলের শেষ গোলটি করেছেন তাজিকিস্তানের এই ডিফেন্ডার। ম্যাচে পুলিশের উল্লেখযোগ্য গোলের সুযোগ বলতে একটিই, তা–ও সেটি শেখ রাসেলের সেন্টারব্যাক আসাদুজ্জামান বাবলুর ভুলের সুযোগে। কিন্তু বক্সের মধ্যে থেকে পুলিশের এম এস বাবলু পোস্টের অনেক উঁচু দিয়ে বল মেরে সে সুযোগটি নষ্ট করেছেন।

এই জয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে লিগের প্রথম পর্ব শেষ করল শেখ রাসেল। পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে আছে তারা। ১২ পয়েন্ট নিয়ে পুলিশের অবস্থান ৮ নম্বরে।