পেলের চেয়ে মেসির গোল বেশি এখন

জোড়া গোল করেছেন মেসিছবি : রয়টার্স

১৭ বছর আগে ঠিক আজকের দিনেই চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেক হয়েছিল লিওনেল মেসির। ঝাঁকড়া চুলের স্বপ্নালু চোখের সেই ছেলেটা কি ভেবেছিল ১৭ বছর পর কী দুর্দান্ত এক রেকর্ড সঙ্গী হবে তাঁর?

১৭ বছর আগে বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা মেসি এখন পিএসজির। ফরাসি ক্লাবটার হয়ে মাঠে নেমেছিলেন বেলজিয়ান ক্লাব ব্রুগার বিপক্ষে। ম্যাচে করেছেন জোড়া গোল। দ্বিতীয় গোল করেই টপকেছেন কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার পেলেকে। ফুটবলের ইতিহাস, বই–পুস্তক ও পরিসংখ্যান–পোকাদের হিসাবে অফিশিয়াল ম্যাচে পেলের গোলসংখ্যা ৭৫৭। আজ দুই গোল করে ক্যারিয়ারে নিজের গোলসংখ্যা ৭৫৮ করে ফেলেছেন মেসি। ১৭ বছর আগে এমন দিনের কথা কী ভেবেছিলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা?

দুই গোল করেছেন এমবাপ্পেও
ছবি : রয়টার্স

মেসির আলো ছড়ানোর ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পেও ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়েছেন। দুই গোল তিনিও করেছেন। শুধু মেসি একা রেকর্ড করবেন, এমবাপ্পে করবেন না, তা কি হয়? মেসি যেখানে পেলেকে রেকর্ড বইয়ের এক পাতা থেকে মুছেছেন, আরেক পাতা থেকে এমবাপ্পে মুছেছেন খোদ মেসিকেই। দুই গোলের প্রথমটা করে চ্যাম্পিয়ন লিগ ক্যারিয়ারে নিজের ৩০ গোল পেয়ে গেছেন এমবাপ্পে। তাঁর চেয়ে কম বয়সে চ্যাম্পিয়নস লিগে আর কেউ ৩০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি। এমবাপ্পের আগে এই রেকর্ডটা মেসিরই ছিল। ৩০ গোল করার সময় মেসির বয়স ছিল ২৩ বছর ১৩১ দিন, আজ এমবাপ্পের বয়স ২২ বছর ৩৫২ দিন।

দুজনের তাণ্ডবেই পিএসজি জিতেছে ৪-১ গোলে। ব্রুগার হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোলটা করেছেন মাৎস রিৎস। নেইমার ছিলেন না। নেইমারহীন পিএসজিতে মেসি-এমবাপ্পের জুটিটা যেন দিন দিন আরও বেশি মজবুত হচ্ছে। তর্কসাপেক্ষে এই জুটি পিএসজির জার্সিতে আজই সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলল।

দুই মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। লেফটব্যাক নুনো মেন্দেসের এক শট আটকাতে না পেরে এমবাপ্পের সামনে বল দিয়ে দেন ব্রুগার গোলরক্ষক সিমোন মিনিওলেই। সেখান থেকে দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে। সাত মিনিটে দি মারিয়ার কাছ থেকে ভেসে আসা এক বলে ভলি করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে।

এরপরেই শুরু হয় মেসি-ঝলক। ৩৮ মিনিটে এমবাপ্পের কাছ থেকে বল নিয়ে দূরপাল্লার এক শটে মিনিওলেইকে পরাস্ত করেন মেসি। ৬৮ মিনিটে ডাচ ফরোয়ার্ড নোয়া লাংয়ের কাছ থেকে বল পেয়ে ব্যবধান কমান রিৎস।

৭৫ মিনিটে ডিবক্সে মেসিকে ফাউল করা হলে পেনাল্টি পায় পিএসজি। সেখান থেকে গোল করে স্কোরলাইন ৪-১ করে ফেলেন মেসি।

আর সে গোলেই নিশ্চিত হয়, পেলেকে টপকে যাচ্ছেন মেসি।