‘প্রতারণা’ করে পেনাল্টি পেয়েছে নেপাল

মন খারাপ করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশের সমর্থকদেরছবি: বাফুফে

২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শেষবারের মতো ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। ১৬ বছর পরে আরও একটি সাফের ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। আজ নেপালকে হারাতে পারলেই ফাইনালে উঠত বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় ফাইনালে উঠেছে নেপাল। ফাইনালে খেলাতে না পারার কারণ মূলত দুটি— বাংলাদেশের গোলকিপার আনিসুর রহমানের লাল কার্ড দেখা ও নেপালের পাওয়া পেনাল্টি।

ম্যাচ শেষে ১-১ গোলে ড্র মানতে পারছিলেন না বাংলাদেশ দলের কোচ অস্কার ব্রুজোন। যে পেনাল্টি নিয়ে এত সমালোচনা, সে প্রসঙ্গে রেফারির দিকে তির ছুড়লেন ব্রুজোন, ‘রেফারিং নিয়ে আবার কিছু বললে হয়তো নিষিদ্ধই হয়ে যাব। তাই বেশি কিছু বলতে চাই না।’

নেপালের খেলোয়াড়েরা প্রতারণা করে পেনাল্টি নিয়েছে। রেফারি অন্যায্য পেনাল্টি দিয়েছেন। এটা মানা যায় না। এখন ফাইনালটা হবে অন্যায্য।’
অস্কার ব্রুজোন, বাংলাদেশের কোচ

তবে শেষ পর্যন্ত মুখও বন্ধ রাখতে পারেননি বাংলাদেশ কোচ। ব্রুজোন বলেন, ‘আমার ছেলেরা অবিশ্বাস্য খেলেছে। মাঠে যা ঘটেছে, সেটা অবিশ্বাস্য। আমরা ফাইনাল খেলার যোগ্য দাবিদার ছিলাম। নেপালের খেলোয়াড়েরা প্রতারণা করে পেনাল্টি নিয়েছে। রেফারি অন্যায্য পেনাল্টি দিয়েছেন। এটা মানা যায় না। এখন ফাইনালটা হবে অন্যায্য।’

আনিসুরের লাল কার্ডেও আপত্তি আছে ব্রুজোনের, ‘জিকোর (আনিসুর) পায়ে বল লেগেছিল। পা থেকে বল আসে হাতে। তবু রেফারি লাল কার্ড দিলেন!’

রাকিব হোসেন জানালেন ড্রেসিংরুমে কান্নাকাটি করেছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা
ছবি: বাফুফে

সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন। তিনি বলেন, ‘ড্রেসিংরুমে আমরা সব খেলোয়াড়েরা কান্নাকাটি করেছি। আমরা অনেক পরিশ্রম করেও ফল পেলাম না। আমাদের কেউ ফাউল করেনি নেপালের ফুটবলারকে। ও ডাইভ দিয়েছে।’

ম্যাচ শেষে নেপালের কোচ আবদুল্লাহ আল মুত্তারিও জোর দিয়ে বলতে পারেননি পেনাল্টিটি ন্যায্য ছিল। এ নিয়ে তাঁর কৌশলী উত্তর, ‘আমি নিশ্চিত নয়, এটা পেনাল্টি কি না! আমার মনে হয়, এটা পেনাল্টি।’