প্রতিপক্ষ ভারত বলেই প্রেরণার অভাব দেখছেন না জামাল ভূঁইয়া

অনুশীলনে বাংলাদেশের ফুটবলারদের কিছু একটা বোঝাচ্ছেন কোচ জেমি ডে।ফাইল ছবি

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়েছে ২০১৯ সালেই। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এখন এশিয়ান কাপের লড়াইয়ে টিকে থাকায় চোখ। ফিরতি পর্বে ম্যাচ বাকি আছে আফগানিস্তান, ভারত ও ওমানের বিপক্ষে। এর মধ্যে ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের আশা আগেই জানিয়েছেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। আজ তিনি বললেন, ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামলে এমনিতেই প্রেরণা চলে আসে। জামালের ভাষায় যা, ‘ভারতের সঙ্গে তো এমনিতেই মোটিভেশন (প্রেরণা) আসবে।’

২০১৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গ্রুপিং চূড়ান্ত হওয়ার পর আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে জয়কে পাখির চোখ করেছিল বাংলাদেশ। র‌্যাঙ্কিংয়ে এ দুটি দল অনেক এগিয়ে থাকলেও পাঁচ দলের গ্রুপে শক্তিমত্তায় কেবল তারাই বাংলাদেশের ধরাছোঁয়ার মধ্যে। বাছাইপর্বের প্রথম পর্বে জামাল ভূঁইয়াদের খেলায় তা ফুটেও উঠেছে। ৫ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের সবেধন নীলমণি অর্জন ১ পয়েন্ট এসেছে ভারতের বিপক্ষে ড্রয়ে। কলকাতায় অনুষ্ঠিত সে ম্যাচে জিততে জিততে শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়েন জামালরা। এর আগে দুশানবেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করে ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।
ফাইল ছবি

র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০৫তম ভারত ও ১৪৯-এ অবস্থান করা আফগানিস্তানকে ফিরতি পর্বে হারাতে চায় বাংলাদেশ। কিন্তু সেই শক্তিমত্তা কি আছে? মাঠে সব খেলোয়াড় নিজেদের শতভাগ দিতে পারলেই সম্ভব হতে পারে সেটি। আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে এমন প্রশ্নের জবাবে জামাল বলেন, ‘কাজটি কঠিন। সবাইকে শতভাগ দিতে হবে। একজন ৫০ শতাংশ দিলে হবে না। সবাই এক সঙ্গে শতভাগ দিতে হবে। তারপর জিততে পারব। ভারতের বিপক্ষে এমনিতেই প্রেরণা আসবে।’

ভারতের বিপক্ষে বাড়তি প্রেরণার কারণ ব্যাখ্যা করলেন জামাল, ‘আমরা কাছাকাছি দেশ। কাছাকাছি থাকি। কলকাতার মানুষ বাংলায় কথা বলে। তাদের সঙ্গে ইতিহাস আছে। আমরা চাচ্ছি এগিয়ে যেতে। ওরাও তা–ই।’ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি ৭ জুন। এর আগে ৩ জুন আফগানিস্তান ও ১৭ জুন শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ ওমান। সব কটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে কাতারে।