প্রথমবারের মতো মাঠে নামছেন মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেত্রয়ী
ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে পিএসজির একাদশ দেখে ক্লাব ব্রুজেসের খেলার ইচ্ছা আর আছে কি না কে জানে।
এক নেইমারের পেছনে না হয় কয়েকজনকে লেলিয়ে দিয়ে সামলানো যায়। নেইমারের সঙ্গে এমবাপ্পে থাকলে বাকি সবাইকে বাদ দিয়ে এই দুজনের ওপর নজর রাখলে তাও হয়তো পারা যায়। কিন্তু নেইমার, এমবাপ্পের সঙ্গে যখন মেসিও মাঠে নামেন, সেই অপ্রতিরোধ্য শক্তিকে রোখার তরিকা কী?
কেউ জানে না। কারও জানার কথাও না। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ ঘটনা ঘটছে যে আজ! অবশ্য মেসি যখন পিএসজিতে নাম লেখালেন, এমন ঘটনা যে ঘটবে, সেটা তখন বোঝাই গিয়েছিল। মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেকে দেখা যাবে একই একাদশে। এত দিন তিনজনের একজন বা দুজন মাঠে থাকলেও তিনজনকে একই সঙ্গে মূল একাদশে দেখা যায়নি।
আজ ক্লাব ব্রুজেসের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে সেটাই ঘটছে। লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপ্পে; সর্বশক্তির আক্রমণভাগ নিয়েই মাঠে নামছে পিএসজি। ক্লাব ব্রুজেসের খেলার ইচ্ছা উবে গেলেও তাই দোষ দেওয়া যায় না!
শুধু আক্রমণভাগ বলেই নয়; মোটামুটি সব মিলিয়ে শক্তিশালী দল নিয়েই নামছে পিএসজি। গোলবারের নিচে কেয়লর নাভাসের সামনে আছে আশরাফ হাকিমি, মার্কিনিওস, প্রেসনেল কিমপেম্বে ও আবদু দিয়ালোর রক্ষণভাগ।
মাঝমাঠে আছেন জর্জিনিও ভাইনালডম, লিয়ান্দ্রো পারেদেস ও আন্দের এরেরা। সবার লক্ষ্য একটাই, সামনে থাকা মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেত্রয়ীকে যথাসম্ভব গোলের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া!
শুধু পিএসজিই নয়; রাত একটায় মাঠে নামছে লিভারপুল, এসি মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান, ম্যানচেস্টার সিটি, লাইপজিগের মতো ক্লাবগুলোও। তবে যে ম্যাচে একই সঙ্গে মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে খেলবেন, নিরপেক্ষ ফুটবলভক্তদের চোখ কি আর অন্য কোনো ম্যাচের দিকে যেতে পারে?