ফুঁসছেন মরিনিও, স্বস্তিতে গার্দিওলা

ফিল ফোডেনের (ডানে)একমাত্র গোলে ব্রাইটনকে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।রয়টার্স

রাখঢাক রেখে কথা বলার অভ্যাস নেই জোসে মরিনিওর। পর্তুগিজ কোচ যা বলার সরাসরিই বলেন। আর টটেনহাম হটস্পার তো নিজের দল। সেই দলের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতা মুখ বুজে মেনে নেওয়ার মতো মানুষ তো মরিনিও নন। কাল রাতে ফুলহামের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর দলের রক্ষণ সামলানো নিয়ে ক্ষোভ উগড়েছেন স্পার কোচ। ২৫ মিনিটে হ্যারি কেনের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ৭৪ মিনিটে গোল খেয়ে পয়েন্ট হারিয়েছে মরিনিওর দল।

কাল দিনের অন্য ম্যাচে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ আলবিয়নকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ৪৪ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেছেন ফিল ফোডেন। রাহিম স্টার্লিং পেনাল্টি মিস না করলে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত সিটি। এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে উঠে এসেছে সিটি।

জয়ের পর ফোডেনের প্রশংসায় রীতিমতো পঞ্চমুখ স্প্যানিশ কোচ, ‘আরেকটা দারুণ পারফরম্যান্স। গোলের কাছাকাছি ভয়ংকর হওয়াটা তো তার সহজাত প্রবৃত্তি। শুধু বাঁ পায়েই নয়, ডান পায়েও সে দারুণ। দলে থাকাটা তার প্রাপ্য। তার মান খুব উঁচুতে।’

লিগে টানা চার ম্যাচ জিতেছে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি।
ছবি: রয়টার্স

ফোডেন দিনকে দিন কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠছেন, সেটিও বলেছেন গার্দিওলা, ‘আমি দিন ধরে ধরে পারফরম্যান্স বিচার করতে চেষ্টা করি। আমার মনে হয় সে (ফোডেন) ফুটবলেই ২৪ ঘণ্টা কাটায়। আজকাল মনোযোগ বিচ্যুতির কত–কী আছে, কিন্তু ওর মুখের দিকে তাকালেই বোঝা যায় সে অনুশীলনে ও খেলায় কতটা সুখী থাকে।’

গতকালের জয়ে শিরোপা লড়াইয়েও দারুণভাবে ফিরে এসেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষ দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে দলটি। মৌসুমে প্রথমবারের মতো টানা চার ম্যাচ জেতা দলটির সামনের সূচিও মোটামুটি সহজ। লিগে পরের পাঁচ ম্যাচে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দশে থাকা দলের মধ্যে শুধু অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গেই খেলা আছে সিটির। অন্য চার প্রতিপক্ষের তিনটি ওয়েস্ট ব্রমউইচ, শেফিল্ড ইউনাইটেড ও বার্নলি আছে তলানির পাঁচে। সিটি পরের ম্যাচটি খেলবে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে।

তবে গার্দিওলা এখনই শিরোপার লড়াই নিয়ে ভাবতে রাজি নন, ‘আমার প্রথম চিন্তা প্যালেসকে নিয়ে, পয়েন্ট তালিকায় নিয়ে নয়। ব্রাইটন কী মানসিকতা নিয়েই না খেলেছে। আমাদের এ ধরনের ম্যাচে জিততে হবে। ভালো শিক্ষা হয়েছে। সব ম্যাচই এমন হওয়ার কথা।’ ম্যাচের শেষ দিকে সিটিকে বেশ চাপে ফেলেছিল ব্রাইটন, গার্দিওলা সতর্ক সে কারণেই।

দিনটা ভালো কাটেনি জোসে মরিনিওর টটেনহামের।
ছবি: রয়টার্স

অন্যদিকে, মরিনিও চিন্তিত দলের এগিয়ে যাওয়ার পর গোল খাওয়া নিয়ে। গতকালের ম্যাচের আগে নিউক্যাসল ইউনাইটেড, ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেড ও ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষেও শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার সুফল শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি স্পার।


মরিনিও মনে করেন, এভাবে বারবার প্রতিপক্ষকে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া যায় না, ‘দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচটি শেষ করে দেওয়ার মতো বড় সুযোগ পেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু যখন তা পারা যায়নি, তখন এভাবে গোল খাওয়ার বিলাসিতা করা যায় না। মৌসুমের শুরু থেকেই এমনটা হয়ে আসছে।’

টটেনহামের দুই ডিফেন্ডার দাভিনসন সানচেজ ও এরিক ডায়ারকে শূন্যে পরাস্ত করে ফুলহামকে সমতা এনে দেন কাভালেইরো। পয়েন্ট হারিয়ে শীর্ষ পাঁচ থেকে ছিটকে গেছে টটেনহাম। ১৭ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে দলটি আছে ষষ্ঠ স্থানে।