ফুটবলে রিভিউ চালুর প্রস্তাব কনমেবলের

ভবিষ্যতে হয়তো রেফারির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন ফুটবলাররারয়টার্স ফাইল ছবি

আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মনের মতো না হলে ক্রিকেটাররা রিভিউ নিতে পারেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে পারেন টেনিস খেলোয়াড়েরাও। ভলিবল, রাগবি ইউনিয়ন ও রাগবি লিগেও আছে এ সুযোগ। সামনে হয়তো ফুটবল মাঠেও দেখা যাবে এ দৃশ্য—রেফারির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ নিচ্ছেন ফুটবলাররাও!

দক্ষিণ আমেরিকার মহাদেশীয় ফুটবল সংস্থা কনমেবল উদ্যোগ নিয়েছে ফুটবলে রিভিউ চালু করার। কনমেবল ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ভিএআরও সংস্কার করতে চায়। ভিএআরে টাইমআউট চালু করার প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি। রিভিউ ও টাইমআউট নিয়ে নিজেদের প্রস্তাব ফিফা ও ফুটবলের আইনপ্রণেতা সংস্থা আইএফএবিকে পাঠিয়েছে কনমেবল।

আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যেন প্রতিটি ম্যাচে প্রতিটি দল নির্দিষ্টসংখ্যক রিভিউ নিতে পারে। ভলিবল ও টেনিসের মতো অন্য খেলায় যেমনটা আছে, ঠিক তেমনি।
উইলসন সেনেমে, কনমেবল রেফারিং কমিটির সভাপতি

কনমেবলের রেফারিং কমিটির সভাপতি উইলসন সেনেমে গতকাল জানিয়েছেন তাঁদের সংস্কার প্রস্তাবের কথা, ‘আমরা সম্প্রতি বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ও ফুটবলের নিয়মকানুনপ্রণেতা আইএফএবির কাছ কিছু প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আমরা প্রস্তাব করেছি ভিএআরের সময় ঘড়ি বন্ধ রাখা হোক, এতে সময় নিয়ে আর ভাবতে হবে না।’

রিভিউ নিয়ে কী প্রস্তাব করা হয়েছে, সেটিও বিস্তারিত বলেছেন সেনেমে, ‘আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যেন প্রতিটি ম্যাচে প্রতিটি দল নির্দিষ্টসংখ্যক রিভিউ নিতে পারে। ভলিবল ও টেনিসের মতো অন্য খেলায় যেমনটা আছে, ঠিক তেমনি।’

ভিএআর নিয়েও বিতর্ক চলছে
এএফপি ফাইল ছবি

ফুটবলের রেফারিদের সিদ্ধান্তকে আরও নিখুঁত করতেই চালু হয়েছে ভিএআর। ২০১৬ সালে পেশাদার ফুটবলে প্রথম চালু হয় ভিএআর। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপেও ভিএআর চালু করে ফিফা। ইউরোপের মহাদেশীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফা ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগে চালু করে ভিএআর।

তবে এখন ভিএআর নিয়েই উল্টো বিতর্ক চলছে। ভিএআরে সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় লাগছে, সবচেয়ে বড় অভিযোগ এটিই। তা ছাড়া ভিএআরের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে অনেক।

কনমেবলের রেফারিং কমিটির সভাপতি উইলসন সেনেমে
ছবি: এএফপি

ইউরোপের প্রায় সব লিগেই এখন ভিএআর প্রযুক্তি চালু হয়েছে। তবে দক্ষিণ আমেরিকায় শুধু ব্রাজিল, কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়ের লিগে আছে এ প্রযুক্তি।

সেনেমে মনে করেন, সব দেশে যখন ভিএআর চালু হবে, ফুটবল তখন আরও এগিয়ে যাবে, ‘যখন আরও বেশি দেশের লিগে এই প্রযুক্তি চালু হবে, ফুটবল আরও বেশি আধুনিক হবে। আর সে সময়ে ভিএআরের সঙ্গে সবাই আরও বেশি মানিয়ে নিতে পারবে।’