আগস্টে শুরু হবে এএফসি কাপ। নিজেদের ‘ডি’ গ্রুপের খেলার আয়োজক হওয়ার জন্য এএফসির কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশের প্রতিনিধি বসুন্ধরা কিংস। আজ আবেদনের শেষ দিনে নিজেদের পরিকল্পনা লিখিত আকারে জমা দিয়েছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কারকাজ চলায় ভেন্যু হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামকে।
এএফসি কাপে আগে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলা হতো। করোনার জন্য একটি ভেন্যুতে হবে টুর্নামেন্টটি। সেটিরই আয়োজক হওয়ার পরিকল্পনা বসুন্ধরা কিংসের। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে সঙ্গে করে ২০২১ সালের এএফসি কাপের দক্ষিণ জোনের খেলা আয়োজন করতে আগ্রহী বসুন্ধরা কিংস। বসুন্ধরা কিংস বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকেও জানিয়েছে। কাগজপত্রের কাজ শেষ করে আবেদনটি আজই এএফসিকে জমা দেবে বাফুফে। ভেন্যু থাকছে সিলেট জেলা স্টেডিয়াম।’
বসুন্ধরা কিংসের জন্য বড় এক আক্ষেপের নাম হয়ে আছে এএফসি কাপ। ২০২০ সালের মার্চে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে এএফসি কাপে তাদের অভিষেকটা হয়েছিল দুর্দান্ত। কিন্তু করোনার কারণে বাতিল হয়ে যায় টুর্নামেন্টটি। এ বছর মে মাসে পুরোদমে প্রস্তুতি নিয়ে এএফসি কাপ খেলতে মালদ্বীপে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল তারা। বিমানবন্দরে রওনা হওয়ার আগে খবর আসে স্থগিত করা হয়েছে টুর্নামেন্টটি। পরে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছর আগস্টে সূচি চূড়ান্ত করে এএফসি।
গ্রুপে বসুন্ধরার সঙ্গে আছে ভারতের মোহনবাগান, মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস ক্লাব। চতুর্থ নম্বর দলটি হবে ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠেয় ভারতের বেঙ্গালুরু এফসি ও মালদ্বীপের ঈগলস ক্লাবের মধ্যকার প্লেঅফ বিজয়ী দল। গ্রুপ পর্বের খেলা হবে ১৮ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত। ১৮ ও ২১ আগস্ট যথাক্রমে বসুন্ধরার প্রতিপক্ষ মাজিয়া ও প্লেঅফ বিজয়ী দল। শেষ দিনে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারতের দুটি দল বসুন্ধরা ও মোহনবাগান।