বসুন্ধরার নতুন আর্জেন্টাইন ফুটবলার কেমন?

রাউল বেসেরা এবার খেলবেন বসুন্ধরা কিংসে।ছবি: টুইটার

আক্রমণভাগে খেলানোর জন্য বরাবরই আটলান্টিকের ওপারের খেলোয়াড় পছন্দ করেছে বসুন্ধরা কিংস। সেটা কোস্টারিকার হয়ে বিশ্বকাপে খেলা তারকা দানিয়েল কলিনদ্রেস হোক, কিংবা আর্জেন্টিনা দল লিওনেল মেসির সঙ্গে খেলা হার্নান বার্কোসই হোক। এবারের মৌসুমে বাংলাদেশের লিগজয়ীদের আক্রমণকে শক্তিশালী করতে আনা হয়েছে রাউল বেসেরাকে।

তাঁকে আর্জেন্টাইনও বলা যায়, চিলিয়ানও বলা যায়। লাতিন দুই দেশেরই নাগরিকত্ব আছে তাঁর। জন্মসূত্রে আর্জেন্টিনার নাগরিক বেসেরা পরে চিলির নাগরিকত্বও নেন।

বেসেরার আগে বার্কোসের আগমন রোমাঞ্চ ছড়িয়েছিল বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। বার্কোসও সে রোমাঞ্চটা উসকে দিয়েছিলেন ভালোভাবেই। মাঠে নেমেই মাত করে দিয়েছিলেন। গত মার্চে এএফসি কাপের ম্যাচে ঢাকায় মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকসহ করলেন ৪ গোল।

কিন্তু করোনাভাইরাস বার্কোসের জাদু উপভোগ করতে দেয়নি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে। অসমাপ্ত লিগে মেসির সতীর্থ হয়ে রইলেন এক দীর্ঘশ্বাসের নাম। আপাতত বার্কোস চলে গেছেন ইতালির চতুর্থ বিভাগের ক্লাব এফসি মেসিনায়।

বসুন্ধরা নতুন মৌসুমে কলিনদ্রেস-বার্কোসকে না পেলেও হাত বাড়িয়েছে মানসম্মত বিদেশি ফুটবলারদের দিকে। কিছুদিন আগে ব্রাজিল থেকে আনা হয়েছে উইঙ্গার রবসন দে আজেভাদো রবিনিওকে। এবার নেওয়া হলো রাউল বেসেরাকে। ৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলারের সঙ্গে বসুন্ধরার চুক্তি এক বছরের। তবে আর্জেন্টনা বা চিলি কোনো জাতীয় দলে খেলা হয়নি তাঁর।

ক্লাব ক্যারিয়ার বার্কোসের মতো অত বর্ণাঢ্য নয় বেসেরার। আর্জেন্টিনা, কাতার, চিলি, ইকুয়েডরে খেলা এই ফুটবলার সবচেয়ে বেশি খেলেছেন নিজের জন্মভূমি আর্জেন্টিনায়।

আর্জেন্টিনায় জন্ম নেওয়া বেসেরা চিলিরও নাগরিক।
ছবি: টুইটার

আর্জেন্টিনার প্রথম বিভাগ থেকে শুরু করে ষষ্ঠ বিভাগ পর্যন্ত আতলেতিকো নুয়েভা শিকাগো, হুভেন্তুদ দে পেরগামিনো, হুরাকান, বোকা গালেগোস, হুভেন্তুদ আলিয়াঞ্জার মতো ক্লাবে খেলেছেন বেসেরা। তবে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স, কোলন ও ক্লাব আলমাগ্রোর মতো নামকরা তিন আর্জেন্টাইন ক্লাবেও খেলেছেন বেসেরা।

আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সে এর আগে খেলে গেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা, হোসে পেকেরমান, ফের্নান্দো রেদোন্দো, উবালদো ফিলোল, এস্তেবান কাম্বিয়াসো, ফরিদ মনদ্রাগন, লুকাস বারিওস ও লুকাস বিলিয়ার মতো খেলোয়াড়েরা।

এখন আতালান্তায় খেলা সেন্টার হোসে লুইস পালোমিনো এককালে বেসেরার সতীর্থ ছিলেন আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সে। সেবার ১৩ ম্যাচ খেলে একটা গোলও করতে পারেননি বেসেরা।

সর্বশেষ কাতারের শীর্ষ লিগের ক্লাব উম সালাল স্পোর্টস ক্লাবের স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছিলেন বেসেরা। ১১ ম্যাচে করেছিলেন ৫ গোল। সেখানে সাবেক ভ্যালেন্সিয়া, মোনাকো ও মার্শেইয়ের তিউনিসিয়ান সেন্টারব্যাক আয়মেন আবদেননুরকে পেয়েছিলেন সতীর্থ হিসেবে। ডান পায়ের এই খেলোয়াড় আক্রমণভাগের যেকোনো জায়গায় খেলতে স্বচ্ছন্দ।

এখন দেখার অপেক্ষা বেসেরো বাংলাদেশে স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারেন কি না!