বসুন্ধরার সামনে উড়ে গেল আবাহনী

হেসেখেলে জিতেছে বসুন্ধরা।ছবি: প্রথম আলো

এ ম্যাচটিকে বলা হচ্ছিল আবাহনীর লিগ দৌড়ে টিকে থাকার লড়াই। সেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই বিধ্বস্ত আকাশি নীলরা। প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের আগুনে আজ রীতিমতো পুড়ে গেল আবাহনী। বসুন্ধরা কিংসের কাছে আজ ৪-১ গোলে হেরেছে আবাহনী। বসুন্ধরার হয়ে জোড়া গোল করেছেন রাউল বেসেরা। ১টি করে গোল করেছেন জোনাথন ফার্নান্দেজ ও খালেদ শাফি। আবাহনীর গোলটি কারভেন্স বেলফোর্টের।

প্রিমিয়ার লিগে বসুন্ধরার কাছে এটাই আবাহনীর সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার। আর এ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট ও লিগ মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে বসুন্ধরার কাছে হারল ধানমন্ডির দলটি।

দুর্দান্ত ফর্মে আছেন রবিনিও।
ছবি: প্রথম আলো

ম্যাচের ২৫ মিনিটেই দুটো হাস্যকর গোল খেয়ে বসে আবাহনী! ১৮ মিনিটে রবিনিওর দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট সাইড পোস্টে লেগে ফেরে। ফিরতি বল থেকে রাউল বেসেরা করেন ১-০। ২৫ মিনিটে রবসনের কর্নার থেকে ব্যাক হিলে খালেদ শাফি যে শট নেন, সেটা প্রথম দফায় ধরতে পারেননি শহীদুল আলম। পরে ফিরিয়েছেন কিন্তু এর আগেই গোললাইন অতিক্রম করায় রেফারি গোলের সিদ্ধান্ত দেন।

৪৩ মিনিটে জুয়েল রানার ক্রস থেকে পা ছোঁয়াতে পারলেন না ফ্রান্সেসকো তোরেস। না হলে ব্যবধান কমিয়ে নিতে পারত আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার বসুন্ধরার দাপট। ৫০ মিনিটে রাউল বেসেরার বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে জোনাথন ঠান্ডা মাথায় করলেন ৩-০। এরপর ৭৫ মিনিটে জোনাথনের দারুণ এক ক্রস থেকে হেডে রাউল বেসেরা করেন ৪-০। ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে পেনাল্টি থেকে একটা গোল শোধ করেন বেলফোর্ট।

জোড়া গোল করেছেন বেসেরা।
ছবি: প্রথম আল

বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে আবাহনীর বড় পার্থক্য বিদেশিতে। বসুন্ধরা কিংসের ব্রাজিলিয়ান রবিনিও, জোনাথনদের কাছে অনেক পিছিয়ে আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফ্রান্সিসকো তোরেস, রাফায়েল অগুস্তোরা। বসুন্ধরার আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার রাউল আর ডিফেন্ডার খালেদ শাফির সঙ্গেও মাঠের লড়াইয়ে পিছিয়ে আবাহনীর কারভেন্স বেলফোর্ট ও মাসিহ সাইগানি। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে তো আবাহনীর কোচ মারিও লেমোস বলেই দিলেন, ‘রবিনিও ইউরোপের লিগে খেলার মতো ফুটবলার। ও একাই যে কোনো ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।’

একে তো আবাহনী দলে চোটজর্জর অবস্থা। এর ওপর তাদের রিজার্ভ বেঞ্চও নড়বড়ে। চোটের কারণে মৌসুম শেষ নাবিব নেওয়াজের। চোটের জন্য আজ খেলতে পারেননি ডিফেন্ডার রায়হান হাসান। বেলফোর্ট তো কাল অনুশীলনই করেননি। পুরো ফিট যে ছিলেন না এই হাইতির ফরোয়ার্ড ম্যাচে, সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। এর সঙ্গে ভাগ্যটাও যেন পক্ষে ছিল না বেলফোর্টের। গোটা দুই শট ক্রসবারে লেগে ফিরেছে!

এই জয়ে লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে অনেকখানি এগিয়ে গেল বসুন্ধরা কিংস। ১২ ম্যাচে ১১ জয় ১ ড্রয়ে ৩৪ পয়েন্ট তাদের। আর ১১ ম্যাচে ৬ জয় ও ৪ ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আবাহনী। তাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশাটাও অনেকটা ক্ষীণ হয়ে গেল এই হারে।