‘বাদল রায়ের ফিরে আসাই সব শেষ করে দিয়েছে’

বাফুফে নির্বাচনে ১ ভোট পেয়েছেন শফিকুল ইসলামছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে বাদল রায় ছিলেন এক গোলক ধাঁধাঁ। কাজী সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সভাপতি পদে মনোনায়নপত্র কিনেও তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় ব্যালট পেপারে থেকে গিয়েছিল তাঁর নাম। তবে নির্বাচনের আগের দিন রাতে হঠাৎ করেই ভোটের লড়াইয়ে ফিরে আসেন তিনি। তাঁর এই ফিরে আসাটাকেই নিজের বড় ক্ষতি মনে করছেন আরেক সভাপতি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম।

বাদল রায় নির্বাচনে লড়ে শেষ পর্যন্ত ৪০ ভোট পেয়েছেন। তবে সাবেক ফুটবলার শফিকুল ইসলামের ভরাডুবিই হয়েছে নির্বাচনে। তিনি পেয়েছেন ১ ভোট। এককভাবেই নির্বাচন করেছিলেন মোহামেডান, ব্রাদার্স ও জাতীয় দলের সাবেক এই তারকা।

বাদল রায়কেই নিজের ভরাডুবির জন্য দুষছেন শফিকুল।
ফাইল ছবি

বাদল রায়ের ফিরে আসাটা ভোটারদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি করেছে বলে মনে করেন শফিকুল, ‘নির্বাচনের আগের রাতে বাদল দা’র ফিরে আসাটাই নির্বাচন শেষ করে দিয়েছে। আমার তো একটা প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বাদল দা’র জন্য ভোটাররা দ্বিধায় পড়ে গিয়েছেন কাকে ভোট দেবেন ! শেষ পর্যন্ত অনেক ভোটার দ্বিধায় পড়ে সালাউদ্দিন ভাইকেই বেছে নিয়েছেন।’

বাফুফে নির্বাচনে ‘গিভ এন্ড টেক’ এর বিষয়ও ছিল বলে অভিযোগ শফিকুলের, ‘নির্বাচনে অনেক কিছুই ঘটেছে। গিভ এন্ড টেকের একটা ব্যাপার অবশ্যই ছিল। এর প্রভাব ছিল। সালাউদ্দিন সাহেব ও তাঁর লোকজন নির্বাচনের ব্যাপারে অভিজ্ঞ। সে অভিজ্ঞতাকেই তাঁরা কাজে লাগিয়েছে।’

ভোট গোনার সময় উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি। এ নিয়েও ক্ষোভ আছে তাঁর মনে, ‘ যখন ভোট গ্রহণ চলছিল, তখন সেখানে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। কিন্তু গণনার সময় একজন প্রার্থীকে অবশ্যই উপস্থিত থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। কারণ ভোট গণনা ঠিক হচ্ছে কিনা, কে দেখবে?নির্বাচনে আমার কোন প্রতিনিধি ছিল না। আমি যেহেতু “ওয়ান ম্যান আর্মি” তাই চেয়েছিলাম সেখানে উপস্থিত থাকতে। কিন্তু আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এটা আমার প্রতি অবিচার বলেই মনে করি আমি।’