বাফুফে নির্বাচনে নীরব ভোট বিপ্লবের আশা ভোটারের

বাফুফে নির্বাচন ঘিরে আজ সকাল থেকে উৎসব মুখর পরিবেশ। সাবেক তারকা ফুটবলার, বিভিন্ন পর্যায়ের সংগঠক ছাড়াও অনেক লোকের সমাবেশ। টিভি চ্যানেলগুলো লাইভে নির্বাচনের প্রতি মুহূর্তের খবর জানাতে ব্যস্ত। আগামী চার বছর কাদের হাতে থাকবে দেশের ফুটবল, সেই ভাগ্য নির্ধারণ নিয়ে মানুষের আগ্রহের যেন কমতি নেই।

নির্বাচনে ভোটার ১৩৯ জন। ভোটাররা কী বলছেন ? ভোট দিয়ে বের হয়ে আসা দুই ভোটারের বক্তব্য প্রায় এক। স্বাভাবিকভাবেই পিছিয়ে পড়া ফুটবলের উন্নয়ন দেখতে চার তাঁরা। এদের একজন রাজশাহী বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহফুজুল আলম মনে করেন নীরব ভোট বিপ্লবও হতে পারে।

ভোটের আগে অনেক কিছু বলে, কিন্তু ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ফোনও ধরে না।
মাহফুজুল আলম, রাজশাহী বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন

টানা চতুর্থবারের মতো বাফুফে নির্বাচনে ভোট দেওয়া মাহফুজুলের ফুটবল কর্তাদের ওপর ক্ষোভের কমতি নেই। নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে কর্তারা ফোন ধরেন না বলে তাঁর অভিযোগ। তাই ভোট বিপ্লবের প্রত্যাশী মাহফুজুল, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। রাজশাহীতে ভালো মাঠ ও পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও আমাদের খেলার আয়োজন করার সুযোগ দেওয়া হয় না। ভোটের আগে অনেক কিছু বলে, কিন্তু ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ফোনও ধরে না। যেই ক্ষমতায় আসুক আমরা এবার ভেন্যু চাইব। এবার নীরব ভোট বিপ্লব ঘটতে পারে।’

নির্বাচনের আগে বাফুফের এজিএম হয়েছে।
ছবি: বাফুফে

এবার নির্বাচন বড় পদে প্রার্থীর হওয়ার কথা ছিল তরফদার রুহুল আমিনের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন তিনি। ভোটার হলেও ভোট দিতে আসেননি। তবে সাইফ স্পোর্টিং যুব দলের ডেলিগেট হিসেবে ভোট দিয়েছেন তাঁর ছেলে তরফদার রুহুল সাইফ। নির্বাচিতদের কাছে ফুটবল টেনে তুলার আহবান জানিয়েছেন তিনি, ‘খুব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোট দিয়েছি। যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন তাদের কাছের প্রত্যাশা, দেশ ও দেশের ফুটবলের জন্য কাজ করবেন। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ফুটবল অনেক নিচে আছে। এখান থেকে উঠে আসতে হবে।’ এবারই প্রথম ভোট দিয়েছেন তিনি।