বাফুফেকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে নেওয়ার হুমকি সাইফেরও

বাফুফেকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবফাইল ছবি

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বিরুদ্ধে কদিন আগেই আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে নানা অভিযোগ ঠুকেছে বসুন্ধরা কিংস। সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই এবার বাফুফেকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে (কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস) নেওয়ার হুমকি দিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।

গতকাল প্রিমিয়ার লিগে মুন্সিগঞ্জের মাঠে মোহামেডানের কাছে ২-০ গোলে হারের জন্য রেফারিকে দায়ী করে আজ এ হুমকি দিল ক্লাবটি। চলমান প্রিমিয়ার লিগে রেফারিরা ঠিকঠাক বাঁশি না বাজালে ফিফা, এফসির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতেও (সিএসএ) যাওয়ার কথা বলেছে গত প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থ হওয়া সাইফ স্পোর্টিং।

মুন্সিগঞ্জে নিজেদের আগের ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কাছে সাইফ হেরেছিল ১-০ গোলে। সেই ম্যাচে রেফারি বিতর্কিত পেনাল্টি দিয়েছেন বলে বাফুফের কাছে অভিযোগ তুলেছে ক্লাবটি। সেই ম্যাচে সাইফের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া রেফারিকে লাথি মারেন বলে রেফারি ও ম্যাচ কমিশনারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

কিন্তু জামাল বলেছেন, তিনি লাথি মারেননি। ভিডিও দেখেও বিষয়টা পরিষ্কার হওয়া যায়নি। সেই লাথি–বিতর্কের অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে। তবে সেদিন ম্যাচে আরও কিছু ঘটনায় সাইফকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বাফুফের শৃঙ্খলা কমিটি। এর রেশ কাটতে না কাটতেই আজ আবার রেফারিং নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলল ক্লাবটি।

বল দখলের লড়াইয়ে সাইফ স্পোর্টিংয়ের এমেকা ওগবুগ (বামে) ও মোহামেডান স্পোর্টিং লিমিটেডের অ্যারন জন
ছবি: সংগৃহীত

বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বরাবর দেওয়া চিঠিতে সাইফ স্পোর্টিংয়ের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান লিখেছেন,‌ ‘আমরা রেফারিদের বারবার ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি দুর্ভাগ্যজনকভাবে। গত ১৮ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সাইফ-মোহামেডান ম্যাচে ৬৪, ৬৭ ও ৮৮ মিনিটে সাইফের খেলোয়াড় এমেকাকে প্রতিপক্ষের বক্সের ভেতর ফাউল করা হলেও রেফারি পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন। ৬৪ মিনিটে মোহামেডানের জাসমিন বক্সের ভেতর সাইফের এমেকাকে পাশ থেকে হাত দিয়ে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। রেফারি পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘৬৭ মিনিটে আবারও এমেকা বক্সের ভিতর ঢুকে পড়লে মোহামেডানের গোলকিপার সুজন পা দিয়ে তাঁকে ফেলে দেয়। এবারও রেফারি পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন। ৮৮ মিনিটে গফুরভকে বক্সের ভেতরে পেছন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এবারও রেফারি পেনাল্টি না দিয়ে বক্সের বাইরে ফাউলের সিদ্ধান্ত দেন। তিনটি ঘটনাই খালি চোখে স্পষ্ট পেনাল্টি ছিল, যা খেলার ভিডিও থেকেও প্রমাণিত।’

সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের প্রায় প্রতিটি ম্যাচে রেফারি এ রকম ভুল সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন বলে দাবি ক্লাবটির। এতে খেলার ফল প্রভাবিত হচ্ছে বলেও মনে করে সাইফ। রেফারিদের এ ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত দেওয়া থেকে বিরত রাখার আবেদন জানিয়ে ক্লাবটি চিঠির শেষে বলেছে,‘আমাদের এ দাবির প্রতিকার না হলে আমরা ফিফা, এএফসিসহ সিএসএর কাছে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি সহকারে প্রতিকার চাইতে বাধ্য হব। আমাদের বিশ্বাস ফিফা, এএফসি এবং সিএএস বিষয়টি অনুধাবন এবং সঠিক প্রমাণাদির ওপর ভিত্তি করে প্রতিকার প্রদান করবে।’