অনলাইন বেটিং বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বাফুফেকেই

দেশের ফুটবলে পড়েছে অনলাইন বেটিংয়ের কালো থাবা। অভিযোগের তির আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের দিকে। ম্যাচ পাতানো, স্পট ফিক্সিং বা অনলাইন বেটিংয়ে যুক্ত থাকার অভিযোগের ব্যাখ্যা চেয়ে ক্লাব দুটিকে চিঠিও পাঠিয়েছে বাফুফে। এ নিয়ে উত্তপ্ত দেশের ফুটবল অঙ্গন। পুরো বিষয়টি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন দেশের সাবেক চার তারকা ফুটবলার, ব্যবস্থা নিতে বলেছেন বাফুফেকে—

গোলাম সারোয়ার টিপু

গোলাম সারোয়ার টিপু

খুবই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি

পত্রিকা পড়ে যা বুঝলাম, এটা নতুন বিষয়। খুবই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। ব্রাদার্সের মতো ঐতিহ্যবাহী ও আরামবাগের মতো এলাকাভিত্তিক দলের বিপক্ষে এ ধরনের অভিযোগ ওঠার চেয়ে খারাপ খবর আর হতে পারে না। এটা সংক্রমিত হলে দেশের ফুটবল একদম বাজে অবস্থায় চলে যাবে। শুধু নিয়মিত খেলোয়াড় নয়, বেঞ্চের খেলোয়াড়দের ওপরও নজর রাখতে হবে, বিশেষ করে গোলরক্ষকদের। এই বিষয়গুলো ক্লাবগুলোকে সততার সঙ্গে দেখভাল করতে হবে। তারা নিজেরাই জড়িয়ে পড়লে তো আরও বিপদ। দু-তিন বছর ধরে ক্লাবগুলো ভালো মানের বিদেশি খেলোয়াড় আনছে। দর্শকেরা খেলা দেখার জন্য মাঠে ফিরতে শুরু করেছে। এই ভালো লক্ষণের মধ্যে এমন কিছু শুরু হলে দর্শকেরা আবার মুখ ফিরিয়ে নেবে।

শেখ মোহাম্মদ আসলাম

শেখ মোহাম্মদ আসলাম

ফুটবলের জন্য অশনিসংকেত

এটা তো ভয়ংকর ব্যাপার। ফুটবল যে ধ্বংসের পথে এগোচ্ছে, এটাই তার প্রমাণ। এত বড় ন্যক্কারজনক ঘটনা বাফুফের নাকের ডগার ওপর দিয়ে করে যাচ্ছে, কারও চোখে পড়ছে না। হতবাক হয়ে যাচ্ছি। ফুটবল একটি পবিত্র জিনিস। এ ধরনের ঘটনার তদন্ত করে শাস্তি দেওয়া উচিত। ফিফার আইন মেনে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আমি মনে করি, এই ঘটনাগুলো একটি দেশের ফুটবল ধ্বংস করে দিতে পারে। খেলোয়াড়দের নৈতিক স্খলন হয়েছে। লজ্জাজনক ঘটনা, এটা স্বপ্নেও ভাবা যায় না। এর চেয়ে বড় অন্যায় আর হতে পারে না। এটা ফুটবলের জন্য অশনিসংকেত। শিগগিরই এটার সমাধান করতে হবে।

রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির

রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির

ফেডারেশনকে আরও কঠোর হতে হবে

হয়তো এ ধরনের বেটিংয়ের জন্য কিছু লোক আছে। ওই জুয়াড়িরাই নতুন করে ব্যবসা শুরু করেছে। ফুটবল যে জনপ্রিয়তা হারিয়েছে, সেটা তো আর পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তারা ভাবছে, এখান থেকে কিছু লাভ বের করে নেওয়া যাক। যারা করছে, তারা হয়তো ব্যক্তিগতভাবেই করছে। ক্লাবগুলো হয়তো বিষয়টি পুরোপুরিভাবে বোঝেও না। কিন্তু বিষয়টিকে এখানেই বন্ধ করতে হবে। ফেডারেশনের যদি পাতানো ম্যাচ নিয়ে কোনো কমিটি থাকে, ওদের উচিত এটা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া। এ ব্যাপারকে এখান থেকে আর বাড়তে দেওয়া যাবে না। ফুটবলে তো এমনিতেই কিছু নেই। এখন এমন কিছু হলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। ফুটবল ফেডারেশনকে আরও কঠোর হতে হবে।

আলফাজ আহমেদ

আলফাজ আহমেদ

খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত

অনলাইন বেটিংয়ের গুঞ্জনটা শুনেছিলাম। তবে বিষয়টি শুরুতে ভালো করে বুঝতে পারিনি, পত্রিকা পড়ে বুঝলাম। আসলে লজ্জাজনক ব্যাপার। এ রকম যদি হয়ে থাকে, শিগগির ব্যবস্থা নিতে হবে। যে দুই ক্লাবের বিপক্ষে অভিযোগ উঠেছে, দুটি ক্লাবের হয়েই আমি খেলেছি। তারা মাঠে খুব খারাপ রেজাল্ট করায় এমনিতেই খারাপ লাগছে। আবার এ ধরনের অভিযোগ ওঠাতে কষ্ট পাচ্ছি, মর্মাহত হয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এখনো লিগের দ্বিতীয় পর্ব আছে। অনেক খেলা বাকি। ক্লাব কর্তারা চাইলে এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো যেতে পারে। সবার আগে তদন্ত করে বিষয়গুলোর সমাধান করতে হবে।