বাবা হওয়া নিয়ে ইউনাইটেড কোচকে খোঁচা মরিনিওর

কাল কথার লড়াই চলেছে সুলশার ও মরিনিও–র।ছবি: এএফপি

শীর্ষ চারে জায়গা করে নেওয়ার পেছনে ছুটছে টটেনহাম হটস্পার্স। কাল এ লক্ষ্যে আরেকটু এগিয়ে যেতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়েছিল জোসে মরিনিওর দল। কিন্তু এগিয়ে থেকেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি টটেনহাম। উল্টো ৩-১ গোলের দারুণ জয়ে মাঠ ছেড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

ম্যাচে বিতর্ক ছড়িয়েছে দুই দলের কোচের কথার লড়াই। ইউনাইটেড কোচ ওলে গুনার সুলশারের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল টটেনহাম কোচ মরিনিওর। ৩৪ মিনিটে ইউনাইটেড স্ট্রাইকার এদিনসন কাভানির বাতিল হওয়া গোলে মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি কোচ সুলশার। পল পগবার পাস থেকে বল জালে পাঠান উরুগুয়ে স্ট্রাইকার।

তার আগে খেলাটা তৈরির সময় ইউনাইটেডের স্কটিশ মিডফিল্ডার স্কট ম্যাকটমিনে বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবেই তাঁর হাত লেগেছিল টটেনহাম উইঙ্গার সন হিউং-মিনের চোখে। দক্ষিণ কোরিয়ার তারকা মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছিলেন।

ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) মাঠের রেফারি ক্রিস কাভানার সঙ্গে যোগাযোগের পর থামানো হয় খেলা। ভিডিও রিপ্লেতে কাভানা দেখতে পান, ম্যাকটমিনের হাত সনের চোখে লেগেছিল।

সেটা দেখেই গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে কথা বলেছেন সুলশার। ম্যাচ জিতলেও সে সিদ্ধান্তে যে মোটেও খুশি হননি, সেটা স্কাই স্পোর্টসকে জানিয়েছেন এই নরওয়েজিয়ান কোচ, ‘খেলাটা শেষ হয়ে গেছে। এটা অবশ্যই ভুল। গোলটা নিখুঁত ছিল। আমাদের ভুল বুঝে থাকা ঠিক হবে না। আমার সন্তান যদি তিন মিনিট ধরে পড়ে থাকত এবং তাকে তুলতে ১০ জন সতীর্থের দরকার পড়ত, সে কিন্তু কোনো খাবার পেত না। আমাদের ভুল বোঝানো যায়নি, তবে রেফারিকে ভুল বোঝাতে সফল হয়েছে সে।’

অর্থাৎ সুলশার বুঝিয়েছেন, সন হিউং-মিন মাঠে পড়ে গিয়ে অফিশিয়ালদের বোকা বানিয়েছেন।

নিজের দলের খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে এমন কথা শোনার পর চুপ করে থাকতে পারেননি মরিনিও, ‘প্রথম কথা হলো আমি খুব অবাক হয়েছিল। কারণ, ওলে সনকে নিয়ে এমন মন্তব্যের পর কথাটা আমার কানে আসেনি। এটা যদি আমি হতাম এবং অন্য কোনো দলের যেকোনো খেলোয়াড় হতো কিংবা আমার সন্তান হতো, রাতে তাকে খেতে দিতাম না। ব্যাপারটা হতো খুব দুঃখজনক। তাই আমি বলতে চাই, সন (সন হিউং-মিন) খুব ভাগ্যবান, কারণ তার বাবা সুলশারের চেয়ে ভালো। আমি নিজেও একজন বাবা। আমি মনে করি, বাবা হিসেবে ছেলেকে খাওয়ানোটা দায়িত্ব। তারা কী করল, সেটা কোনো বিষয় না। সন্তানের জন্য খাবার চুরি করতে হলেও সমস্যা নেই। চুরি করতে হবে। আমি খুব খুব হতাশ হয়েছি (সুলশারের কথায়)।’

৩২ ম্যাচে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৩১ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে। তাদের সমান ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে সাতে টটেনহাম।