বার্সা তারকা নিজেকে সবচেয়ে ঘৃণিত ফুটবলারদের একজন মনে করেন

বার্সেলোনার অনুশীলনে মেসির সঙ্গে জর্দি আলবাছবি: টুইটার

মাঠে ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও মারমুখী মেজাজে খেলে থাকেন অনেক ফুটবলার। হোসে লুই চিলাভার্ট, রয় কিন, এরিক ক্যান্টোনা, এডগার ডেভিডসদের পর রিয়াল মাদ্রিদে পেপেকে দেখা গেছে এমন মেজাজে খেলতে।

জর্দি আলবাকে দেখা যাচ্ছে এখন। বার্সেলোনার বাঁ প্রান্তে মেজাজ ও দক্ষতার সমন্বয়ে ‘দেয়াল’ গড়ার চেষ্টায় থাকেন এই লেফটব্যাক। কখনো সফল হন, কখনো ব্যর্থ, কিন্তু আলবার একটি বিষয় কখনো পাল্টায়নি।

ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনোভাব। আর এ কারণেই নিজেকে সবচেয়ে ঘৃণিত ফুটবলারদের একজন বলে মনে করেন ৩১ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।

ভ্যালেন্সিয়া ছেড়ে ২০১২ সালে বার্সায় যোগ দেন আলবা। কাতালান ক্লাবটির জার্সিতে এর মধ্যে ৩৬০ ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে তাঁর।

পাঁচবার লা লিগা জয়ের পাশাপাশি জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। বার্সার রক্ষণে স্তম্ভ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা আলবা মনে করেন, ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মেজাজের জন্য প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়েরা তাঁকে ঘৃণা করেন।

মাঠে ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ মনোভাবে খেলে থাকেন আলবা
ছবি: টুইটার

মুভিস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলবা বলেন, ‘শুধু ফুটবল দিয়ে আমাকে জানার সুযোগ থাকলে লোকে ভাবত, আমি সবচেয়ে ঘৃণিত খেলোয়াড়দের একজন, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এটাই আমার খেলার বৈশিষ্ট্য। আমি এভাবেই এ পর্যন্ত এসেছি।’

তবে মাঠের বাইরের আলবা কিন্তু আলাদা। বার্সা তারকা নিজেই বললেন সে কথা, ‘অন্যরা কিন্তু জানে আমি কেমন। ভীষণ বিনয়ী, যে জীবনে সবকিছুকে মূল্য দেয়।’

আলবা জানালেন, মাঠের প্রতিদ্বন্দ্বী জর্দি আলবা ও মাঠের বাইরের জর্দি আলবা—এ দুজন যেন দুই ভুবনের বাসিন্দা। মানুষ একই, কিন্তু আচার-ব্যবহারে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ, ‘খেলোয়াড় জর্দির সঙ্গে মানুষ জর্দির কোনো সম্পর্ক নেই। হ্যাঁ, আমি এটা বুঝি যে মাঠে যেভাবে খেলি, তাতে লোকে আমার প্রতি ঘৃণা পোষণ করতেই পারে।’

লিওনেল মেসির সঙ্গে মাঠের বোঝাপড়া নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। পেছন থেকে মেসিকে পাস দেওয়া, এমনকি আক্রমণে উঠে মেসিকে বলও জোগান দিয়ে থাকেন আলবা।

দুজনের এই বোঝাপড়ার রসায়নটা আলবা বোঝালেন এভাবে, ‘আমরা এটা নিয়ে আলাদা অনুশীলন করি না। মাঠে আমরা একে অপরের দিকে প্রচুর তাকাই। তাকে বল দিলে জানি বিপদ সৃষ্টি হবেই। তাই যত বেশি সম্ভব পাস দিই। তবে প্রতিপক্ষ তো আমাদের সম্বন্ধে দিনে দিনে অনেক জেনে ফেলছে। তাই অন্য খেলোয়াড়দেরও পাস দিয়ে থাকি। তবে মেসির সঙ্গে আমার বোঝাপড়া দিনে দিনে গড়ে ওঠেনি। এমনিতেই হয়ে গেছে।’