বার্সা, রিয়াল, আতলেতিকো—সমীকরণ কী বলে, সম্ভাবনা কার বেশি?

জমে উঠেছে স্প্যানিশ লিগের দৌড়।ছবি: সংগৃহীত

যে লিগ কারও হাতে ধরা দিতে চায় না!

এবারের স্প্যানিশ লিগের গল্পটা এ রকমই। আগের দিন আতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে বার্সেলোনা গোলশূন্য ড্র করার পর মনে হচ্ছিল, এই তো, লিগটা রিয়াল মাদ্রিদের হয়েই গেল। শুধু নিজেদের বাকি ম্যাচগুলো জিতলেই যে রিয়ালের আর অন্য কোনো দিকে তাকাতে হতো না!

কিন্তু এত সহজেই বোধ হয় এবারের স্প্যানিশ লিগের নিষ্পত্তি হতে দিতে চান না ফুটবলের ভাগ্যবিধাতা। সে কারণেই কিনা কাল রাতে সেভিয়ার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করল রিয়াল। তা-ও কী, সমতাসূচক দ্বিতীয় গোলটা রিয়াল পেয়েছে ৯৪ মিনিটে, করেছেন রিয়ালে একের পর এক সমালোচনায় বিঁধে যাওয়া এডেন হ্যাজার্ড। গোলটা করার সময় তিনি খুব জেনেশুনে গোলটা করেছেন, এমন দাবি নিশ্চইয়ই বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড নিজেও করবেন না! টনি ক্রুসের শট তাঁর গায়ে লেগে শুধু দিক বদলে জালে ঢুকে গেছে।

তা যা-ই হোক, হেরে গেলে রিয়াল শিরোপাদৌড়ে আতলেতিকো-বার্সা দুই দলের চেয়েই পিছিয়ে পড়ত, ড্র করে এখন শুধু আতলেতিকোর চেয়ে পিছিয়ে। শেষ পর্যন্ত আতলেতিকো হোঁচট খেলে আর রিয়াল শিরোপা জিতে গেলে, কে জানে, হ্যাজার্ডের এ গোলই হয়ে যেতে পারে ভাগ্য-নির্ধারক। নাটক আর কাকে বলে!

লিগে আর তিনটি করে ম্যাচ বাকি। শেষ পর্যন্ত এ নাটকের শেষ দৃশ্যে কার উৎসব থাকছে? সমীকরণ কী বলে, সম্ভাবনার নিক্তিতে কাকে এগিয়ে রাখা যায়?

আতলেতিকো সবার শীর্ষে।
ছবি: রয়টার্স

পয়েন্ট তালিকায় কে কোথায়

৩৫টি করে ম্যাচ শেষ হয়েছে তিন দলের। ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে আতলেতিকো শীর্ষে। দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ, তাদের পয়েন্ট ৭৫। ৩ নম্বরে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৭৫-ই। কিন্তু মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকায় রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে পিছিয়ে আছে বার্সা।

তার মানে, তিন দলই যদি নিজেদের বাকি সব ম্যাচ জেতে, তাহলে লিগ জিতবে আতলেতিকো মাদ্রিদ। দ্বিতীয় হবে রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনা হবে তৃতীয়।

মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসাব

স্প্যানিশ লিগে দুটি দলের পয়েন্ট সমান হলে গোলের ব্যবধান নয়, ব্যবধান গড়ে দেয় দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল। আর সেখানে সবচেয়ে এগিয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদ, সবচেয়ে পিছিয়ে বার্সা।

লিগে বার্সার বিপক্ষে দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ, আতলেতিকোর বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটিতে জিতেছে, অন্যটিতে করেছে ড্র। রিয়াল মাদ্রিদের কাছে দুই ম্যাচেই হেরে যাওয়া বার্সেলোনা লিগে আতলেতিকোর বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটিতে হেরেছে, অন্যটিতে করেছে ড্র।

তার মানে, তিন দলের পয়েন্ট যদি সমান হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে লিগ জিতবে রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয় হবে আতলেতিকো মাদ্রিদ। বার্সেলোনা তৃতীয়।

মেসি ও সুয়ারেজ - দুজনার পথ দুদিকে বেঁকে গেছে। এখন লিগ জেতার জন্য একে অন্যের দলের হারও চাইতে হয়।
ছবি: রয়টার্স

কী হলে কে লিগ জিতবে

আতলেতিকো

সহজ হিসাব। বাকি তিন ম্যাচ জিতলেই লিগ নিশ্চিত। রিয়াল আর বার্সা একটি করে ম্যাচে পা হড়কালে কাজটা আরও সহজ হয়ে যাবে। তখন তিন ম্যাচের দুটি জিতলেও হবে, সাত বছর পর লিগ জিতবে দিয়েগো সিমিওনের দল।

রিয়াল মাদ্রিদ

নিজেদের সব ম্যাচ জিততে তো হবেই, পাশাপাশি প্রার্থনা করতে হবে যাতে আতলেতিকো অন্তত একটা ম্যাচে পয়েন্ট হারায়। রিয়াল তিন ম্যাচেই জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ৮৪, আতলেতিকো দুটি জয়ের পাশাপাশি একটি ড্র করলে তাদেরও পয়েন্ট হবে ৮৪। কিন্তু মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় শিরোপা জিতবে রিয়াল।

বার্সেলোনা

বাকি তিন ম্যাচ তো জিততেই হবে, পাশাপাশি ভাগ্যের কাছে একটু বেশিই ধরনা দিতে হবে মেসিদের। আতলেতিকোর অন্তত একটা ম্যাচে হার আর রিয়ালের অন্তত একটা ম্যাচে পয়েন্ট হারানোও (ড্র বা হার যা-ই হোক) কামনা করতে হবে। বার্সা বাকি তিন ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ৮৪।

এর চেয়ে কম পয়েন্ট আতলেতিকোর তখনই হবে যদি তারা একটা ম্যাচে হেরে যায় (বাকি দুই ম্যাচ জিতলেও তখন আতলেতিকোর পয়েন্ট হবে ৮৩)। আর রিয়াল এক ম্যাচে না জিতলেই তাদের আর ৮৪ পয়েন্ট হওয়ার সুযোগ থাকবে না।

সামনের সূচি

প্রতিটি দলেরই তিনটি করে ম্যাচ বাকি।

আতলেতিকোর বাকি তিন ম্যাচ—রিয়াল সোসিয়েদাদ (নিজেদের মাঠে), ওসাসুনা (নিজেদের মাঠে) ও ভায়াদোলিদের (প্রতিপক্ষের মাঠে) বিপক্ষে।

রিয়ালের সূচিটাই কাগজে-কলমে একটু বেশি কঠিন। তাদের তিন ম্যাচ যথাক্রমে গ্রানাদা (প্রতিপক্ষের মাঠে), অ্যাথলেটিক বিলবাও (প্রতিপক্ষের মাঠে) ও ভিয়ারিয়াল (নিজেদের মাঠে)।

বার্সেলোনার বাকি তিন ম্যাচের প্রতিপক্ষ যথাক্রমে লেভান্তে (প্রতিপক্ষের মাঠে), সেলতা ভিগো (নিজেদের মাঠে) ও এইবার (প্রতিপক্ষের মাঠে)।

জিদান টানা দ্বিতীয় লিগ জিতবেন?
ছবি: রয়টার্স

প্রতিপক্ষের খুঁটিনাটি

আতলেতিকো
কাগজে-কলমে আতলেতিকোর বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে কঠিনতম ম্যাচটা আগামী পরশু, বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায় সুয়ারেজদের প্রতিপক্ষ লিগের পয়েন্ট তালিকার ৫ নম্বরে থাকা রিয়াল সোসিয়েদাদ। এ মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে দাভিদ সিলভাকে নিয়ে এসে মৌসুমের শুরুতে জ্বলে ওঠা সোসিয়েদাদের পয়েন্ট এখন ৩৫ ম্যাচে ৫৬।

সেরা চারে থেকে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ আর তাদের নেই। তবে লিগের ৫ ও ৬ নম্বরে থাকা দল যেহেতু ইউরোপা লিগে খেলার সুযোগ পায়, সেটি নিশ্চিত করতেই চাইবে সোসিয়েদাদ। ৬ নম্বরে থাকা ভিয়ারিয়ালের (৩৫ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট) চেয়ে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা হয়তো সোসিয়েদাদকে জয়ের বাড়তি তাড়না জোগাবে।

ওসাসুনা লিগের পয়েন্ট তালিকায় ১২তম, তাদের লিগ থেকে আর তেমন চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। তবে শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ ভায়াদোলিদ হলেও তাদের নিয়ে একটু মাথা ঘামাতে হতে পারে আতলেতিকোকে।

এ মুহূর্তে ৩৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে ভায়াদোলিদ আছে পয়েন্ট তালিকার ১৭ নম্বরে। লিগের ১৮ থেকে ২০—এ তিনটি দল অবনমিত হয়ে যায় সেগুন্দা দিভিসিওনে। আর অবনমন অঞ্চলে থাকা প্রথম দল, অর্থাৎ ১৮তম দল উয়েস্কার পয়েন্ট এ মুহূর্তে ৩৫ ম্যাচে ৩০। ১৯তম দল এলচেরও পয়েন্ট ৩০-ই। ২০ নম্বরে থাকা এইবারের ২৯। সে হিসাবে অবনমন বাঁচানোর জন্য ভায়াদোলিদের ঝাঁপানোর কথা, যা ভোগাতে পারে আতলেতিকোকে।

সাত বছর পর আবার লিগ জয়ের স্বপ্ন আতলেতিকো কোচ সিমিওনের।
ছবি: রয়টার্স

রিয়াল মাদ্রিদ
জিনেদিন জিদানের কপালের ভাঁজ বাড়াবে নাম তিনটি। গ্রানাদা (৩৪ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট) এ মুহূর্তে আছে লিগের পয়েন্ট তালিকার ১০ নম্বরে, বিলবাও ৩৫ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে এ মুহূর্তে আছে ৯ নম্বরে, আর ৬ নম্বরে থাকা ভিয়ারিয়ালের পয়েন্ট ৩৫ ম্যাচে ৫২।

এ মুহূর্তে ভিয়ারিয়াল ‘ইউরোপা লিগ স্পট’-এ আছে, সেটি ধরে রাখার তাড়না তাদের থাকবে। আর কদিন আগে বার্সাকে হারিয়ে লিগ জমিয়ে দেওয়া গ্রানাদা আর বিলবাওয়ের তাড়না থাকবে নিজেদের ম্যাচগুলো জিতে ইউরোপা লিগে জায়গা করে নেওয়ার।

তিনটি দলেরই এ তাড়নার কারণে ম্যাচগুলো কঠিন হয়ে যেতে পারে রিয়াল মাদ্রিদের জন্য।

বার্সেলোনা
কাগজে-কলমে বার্সার রাস্তাই সবচেয়ে সহজ। তবে তিন ম্যাচের মধ্যে হয়তো লেভান্তের বিপক্ষে ম্যাচটিই বেশি সহজ। লিগে ১৪তম লেভান্তের না ইউরোপে যাওয়ার সুযোগ আছে, না আছে অবনমনের শঙ্কা। লিগের পয়েন্ট তালিকায় ৮ নম্বরে থাকা সেলতা ভিগো আছে ইউরোপা লিগে যাওয়ার দৌড়ে, তাই সেই ম্যাচ কঠিন হতে পারে বার্সার জন্য। আর এইবার নামছে অবনমন এড়ানোর মিশনে। লিগে ২০তম হলেও তাই এইবারের বিপক্ষে ম্যাচটাও হতে পারে মেসিদের পচা শামুক।

লিগ না জিতলে হয়তো আগামী মৌসুমে বার্সার কোচই আর থাকবেন না কোমান।
ছবি: রয়টার্স

রেকর্ড কী বলে

আতলেতিকো
রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে লিগে আগের ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে আতলেতিকো। নিজেদের মাঠে লিগে সোসিয়েদাদের কাছে আতলেতিকো সর্বশেষ হেরেছে ২০১২-১৩ মৌসুমে। এরপর থেকে লিগে নিজেদের মাঠে সোসিয়েদাদের ৭ ম্যাচের ৬টিতেই জিতেছে, ড্র করেছে শুধু গত মৌসুমে।

ওসাসুনার বিপক্ষে লিগে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের সব কটিতেই অবশ্য জিতেছে আতলেতি। আর নিজেদের মাঠে সর্বশেষ হেরেছে সেই ২০০৮-০৯ মৌসুমে। এরপর থেকে ৭ ম্যাচে ৬ জয়ের পাশাপাশি আতলেতির একমাত্র ড্র ২০১১-১২ মৌসুমে।

ভায়াদোলিদের বিপক্ষে অবশ্য লিগে ২০০৮-০৯ মৌসুমে সর্বশেষ হারের পর ১১ ম্যাচের ১০টিতেই জিতেছে আতলেতি, একমাত্র ড্র গত মৌসুমে ভায়াদোলিদের মাঠে।

রিয়াল
কী ঘরের মাঠে, কী পরের মাঠে—গ্রানাদার বিপক্ষে লিগে সেই ২০১২-১৩ মৌসুমে একটা হারের পর ১১ ম্যাচের সব কটিই জিতেছে রিয়াল। লিগে সর্বশেষ ১৮ ম্যাচে ১৭ জয়। তবে ২০১২-১৩ মৌসুমে একমাত্র হারটি ছিল গ্রানাদার মাঠে।

বিলবাওয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচেই হেরেছে রিয়াল, তবে সে হার ছিল স্প্যানিশ সুপারকোপার সেমিফাইনালে নিজেদের মাঠে। লিগেও অবশ্য বিলবাওয়ের বিপক্ষে রিয়াল অত দাপুটে নয়। ২০১৪-১৫ মৌসুমের পর হারেনি, তবে এরপর ১১ ম্যাচের ৪টিতে পয়েন্ট হারিয়েছে। এর দুটি বিলবাওয়ের মাঠে। ২০১৫ সালের মার্চে সর্বশেষ হারটিও বিলবাওয়ের মাঠেই।

রিয়ালের শিরোপা জেতার দুই বড় আশা।
ছবি: রয়টার্স

ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে তো রিয়াল যত জেতে, তার চেয়ে বেশি ম্যাচে পয়েন্ট হারায়। সর্বশেষ ১২ ম্যাচের রেকর্ড বলে, এর মধ্যে মাত্র ৪ ম্যাচে জিতেছে রিয়াল, হেরেছে ২টি, ড্র করেছে ৬টি! এই ১২ ম্যাচের সব কটিই ছিল লিগে। নিজেদের মাঠে ম্যাচ বলেও যে রিয়াল স্বস্তিতে থাকবে এমন নয়। নিজেদের মাঠে সর্বশেষ ৫ ম্যাচে ২ জয়ের বিপরীতে ২ ড্র ও ১ হার রিয়ালের।

বার্সেলোনা
লিগে এর পরের ম্যাচটা বার্সাকে খেলতে হবে লেভান্তের মাঠে, এটাই বার্সা সমর্থকদের ঘাম ছুটিয়ে দিতে যথেষ্ট। সেখানে সর্বশেষ ৪ ম্যাচের ৩টিতেই হেরেছে বার্সা! এর দুটি লিগে, অন্য হারটি গত মৌসুমে কোপা দেল রের শেষ ষোলোতে।

লিগে দুই হারের একটি তো বার্সা–সমর্থকদের এখনো পীড়া দেয়! ২০১৭-১৮ মৌসুমে লিগের ৩৭তম ম্যাচে সেদিন বার্সা নেমেছিল ততদিন পর্যন্ত মৌসুমে অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে। কিন্তু মেসিকে ছাড়া খেলতে নেমে সেদিন বার্সার পুরো লিগ মৌসুম অপরাজিত থাকার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় লেভান্তের কাছে ৫-৪ গোলে হেরে! গত মৌসুমেও সেখানে হেরেছে বার্সা।

সেলতা ভিগোর বিপক্ষে বার্সার রেকর্ডও তেমন আহামরি কিছু নয়। বিশেষ করে ২০১৪-১৫ মৌসুমের পর থেকে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নিজেদের মাঠে সেলতার কাছে হেরেছিল বার্সা, সে থেকে এ পর্যন্ত ১৫ ম্যাচে বার্সার জয় ৭টি। ২০১৪ সালের ওই ম্যাচসহ হেরেছে ৪ ম্যাচে।

ম্যাচটা নিজেদের মাঠে, এটা অবশ্য মেসিদের জন্য স্বস্তির হতে পারে। এখানে সর্বশেষ ৩ সাক্ষাতে জয়সহ সর্বশেষ ১১ ম্যাচে ৯ জয় বার্সার, হার একটি-২০১৪ সালে।

এইবারের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত অবশ্য ১৩ ম্যাচে কখনো হারেনি বার্সা। জিতেছে ১১টিতে। তবে দুই ড্রয়ের দুটিই এসেছে দুই দলের সর্বশেষ চার সাক্ষাতে, এটা মেসিদের ভাবাতে পারে।

কিন্তু এত সব হিসাব তো ম্যাচের আগের তথ্য কপচানো। ম্যাচে কী হয়, সেটি আগে বলে দিতে পারলে খেলার দরকার কী! ফুটবলে ভবিষ্যদ্বাণী করা এমনিতেই কঠিন। তবে এবারের স্প্যানিশ লিগে যেকোনো ভবিষ্যদ্বাণীই হয়ে উঠেছে অর্থহীন।