বার্সার অবদান ভুলতে পারবেন না করোনা আক্রান্ত তারকা

>করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘ যুদ্ধ শেষে এখন আপাতত সুস্থ আছেন বার্সার সাবেক গোলরক্ষক রুস্তু রেকবার। হোম কোয়ারেন্টিনে এখন আছেন এই তারকা
কী ঝড়টাই না গেল গত কয়েক দিন রুস্তু রেকবারের পরিবারের ওপর দিয়ে!
হুট করে জানা গেল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা এই তারকা। অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল, রুস্তু নিজেও বেঁচে থাকার আশা করেননি হয়তো। পরে আস্তে আস্তে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এই তারকা। এখন হাসপাতাল থেকে বাসায় চলে এসেছেন, বিশ্রাম নিচ্ছেন হোম কোয়ারেন্টিনে। অসুস্থবস্থায় নিজের সাবেক ক্লাব বার্সেলোনার ভূমিকা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন এ গোলরক্ষক।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনার প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তুরস্কের হয়ে ২০০২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা এই তারকা, ‘অসুস্থতার সময়ে ও সুস্থ হওয়ার পর বার্সেলোনা কাছ থেকে যে পরিমাণ সাহায্য পেয়েছি, তাতে আমি অভিভূত। কার্লোস নাভাস ও চেমি তেরেস (বার্সার গণসংযোগ বিষয়ক দুই কর্মকর্তা) আমাকে শুভকামনা জানিয়েছে। সভাপতিও তাঁদের মাধ্যমে শুভকামনা জানিয়েছেন আমাকে। এসব সময়ে এমন ছোট ছোট জিনিসগুলোই মনে দাগ কেটে দেয়। আমি কখনই এগুলো ভুলব না। আমি বার্সেলোনার সবাইকে আমার ধন্যবাদ জানাতে চাই, বিশেষ করে ক্লাব সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউকে।’
করোনাভাইরাসের চেয়ে শক্ত প্রতিপক্ষ কখনো পাননি ক্যারিয়ারে, স্বীকার করেছেন এই তারকা, ‘অবশ্যই, এর চেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ আমার জীবনে আর আসেনি। তুরস্কের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ। আমার সঠিক চিকিৎসা করেছেন তাঁরা।’
২০০২ বিশ্বকাপের চমক ছিল তুরস্ক। সেমিফাইনালে ওঠা সেই দলটার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ ছিলেন লম্বা চুলের গোলরক্ষক রুস্তু রেকবার। সে বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে বেশ ভুগিয়েছিলেন তিনি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে ২০০৩ সালে তুরস্কের ক্লাব ফেনেরবাচে থেকে নাম লিখিয়েছিলেন বার্সেলোনায়। গোলপোস্টে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে একের পর এক শট ঠেকিয়ে যেতেন।
২০০৩ সালে বার্সায় এসে রোনালদিনহো-জাভি-পুয়োলদের সতীর্থ ছিলেন রেকবার। স্প্যানিশ বলতে পারতেন না, এই ‘অপরাধে’ তাঁকে দলের মূল গোলরক্ষক বানাতে চাননি তৎকালীন কোচ ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড। ফলে কপাল খুলে যায় স্প্যানিশ গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেসের। তিন বছর বার্সায় থেকে মাত্র চারটা লিগ ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন রেকবার। পরে আবারও ফেনেরবাচেতে ফিরে যান ১৮ বছর ধরে তুরস্কের গোলবার আগলে রাখা এই তারকা।
শুধু বিশ্বকাপই নয়, ২০০৮ ইউরোতেও সমান উজ্জ্বল ছিলেন রেকবার। রেকবারের জাদুতেই কোয়ার্টার ফাইনালে পেনাল্টি শুট আউটে হার মানে ক্রোয়েশিয়া, তুরস্ক ওঠে সেমিতে। ৪৬ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১২০ ম্যাচ।