বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ লড়াইয়ের মান পড়ে গেছে

রিয়াল-বার্সেলোনার লড়াইয়ের দিকে চেয়ে থাকে ফুটবল বিশ্ব।ফাইল ছবি: রয়টার্স

ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ দ্বৈরথ মানেই যেন ধ্রুপদি ম্যাচ। যে ম্যাচ ঘিরে সব সময়ই অন্য রকম একটা আবেদন রয়েছে ফুটবল বিশ্বে। কিন্তু সেই রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার লড়াইটা নাকি এখন আর মানুষকে আকর্ষণ করে না! বায়ার্ন মিউনিখের প্রধান নির্বাহী কার্ল হেইঞ্জ রুমেনিগে মনে করেন রিয়াল-বার্সার লড়াইয়ের চেয়ে বুন্দেসলিগার ম্যাচ দেখা অনেক ভালো। বিশেষ করে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড আর বায়ার্ন মিউনিখের লড়াইটাকেই বরং বেশি ভালো লাগে রুমিনিগের।

ডর্টমুন্ড ও বায়ার্ন মিউনিখের লড়াইটাও ধ্রুপদি ম্যাচ। বায়ার্ন অবশ্য ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে। শেষ দুই ম্যাচেই মীমাংসা হয়েছে ৩-২ গোলে। ডর্টমুন্ডের সর্বশেষ জয় প্রায় দেড় বছর আগে। তবু এ ম্যাচগুলোই রুমিনিগের চোখে স্প্যানিশ এল ক্লাসিকোর চেয়েও দারুণ।  

রুমিনিগে রিয়াল-বার্সার ম্যাচের সঙ্গে নিজেদের লড়াইয়ের তুলনা করতে গিয়ে বলেন, ‘এটা সত্যিকার অর্থেই একটা ক্লাসিক ম্যাচ হয়ে ওঠে। যখন বার্সা ও রিয়াল পরস্পরের সঙ্গে স্প্যানিশ ক্লাসিকো খেলে তখন আমরা একটু বেশিই ঈর্ষান্বিত হয়ে স্পেনের দিকে তাকাই। কিন্তু আমি মনে করি, ডর্টমুন্ড-বায়ার্ন এমনিতেই ক্লাসিকের মর্যাদা পেয়ে গেছে। আমরা সম্প্রতি যে ম্যাচ দেখেছি, সেটা ছিল অসাধারণ ম্যাচ। এটার স্কোর ছিল ৩-২। কিন্তু এটা ৫-৪ ও হতে পারত। এটা ছিল অসাধারণ খেলা। এবং শেষ পর্যন্ত আমার মনে হয়েছে, মানের দিক দিয়ে রিয়াল ও বার্সার সঙ্গে তুলনা করা যাবে না এটার। তাই আপনি বলতেই পারেন, এই মুহূর্তে বুন্দেসলিগার সংস্করণ সবার চেয়ে ওপরে আছে।’

বরুসিয়া ডর্টমুন্ড-বায়ার্ন মিউনিখ লড়াইটাও এখন অনেকে এল ক্লাসিকোর চেয়ে বেশি উপভোগ্য মনে করেন।
ফাইল ছবি: রয়টার্স

বায়ার্ন ও ডর্টমুন্ড গত কয়েক বছরে দল গড়ার ক্ষেত্রে যেসব ফুটবলার নিয়েছে, সেটাও সব মহলে বেশ প্রশংসা পেয়েছে। হান্সি ফ্লিক ২০১৯-২০ মৌসুমে বেশ দাপটের সঙ্গেই খেলিয়েছে বায়ার্নকে। সে দলকে আরও ভালো খেলানো অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছিল।

কিন্তু লিরয় সানের মতো খেলোয়াড়কে দলে টেনে আরও শক্তিশালী হয়েছে হয়েছে বায়ার্ন, ‘এই সময়ে যখন অর্থকড়ির টানাটানি চলছে, তারপরও আমরা একটা ভালো দলবদল করেছি। কোনো সন্দেহ নেই যে আমরা থিয়াগোর মতো গুরুত্বপূর্ণ এক ফুটবলারকে হারিয়েছি। কিন্তু এটা ওর ইচ্ছাতেই হয়েছে। কেউ যেতে চাইলে তাকে বিদায় বলার সুযোগ দেওয়া উচিত। বলতেই হবে। আমরা লিরয় সেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে পেয়েছি। কিন্তু কোচ ধারে খেলা ফুটবলারদের (ফিলিপ কুতিনিও ও ইভান পেরিসিচের চলে যাওয়া) ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে চেয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমরা চিন্তা করলাম ডগলাস কস্তা ও নিরয়কে দিয়ে আমরা এমন দুজন পাচ্ছি যে মানটা আমাদের দরকার।’