বার্সেলোনার বিস্ময় বালককেই ভরসা মানছে স্পেন

জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন আনসু ফাতি।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

গত বছর ১৬ বছর বয়সে লা লিগায় অভিষিক্ত হয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল আনসু ফাতি। ১৭ বছরে পা রাখার আগেই বার্সার হয়ে করেছিল জোড়া গোল। সেই থেকেই শুরু হয় এই তরুণ উদীয়মান উইঙ্গারের স্পেন জাতীয় দলের হয়ে খেলার সম্ভাবনার গল্প।

জন্ম গিনি বিসাউয়ে হলেও স্পেনে বসবাস করার সুবাদে তাঁর স্পেনের নাগরিকত্ব পাওয়ায় বাধা ছিল না। আর স্পেনও এমন প্রতিভা হাতছাড়া করতে রাজি হয়নি বলে তড়িঘড়ি করে অনূর্ধ্ব-২১ দলে ডেকে পাঠিয়েছে। এবার তো স্পেন জাতীয় দলেও ডাক পেয়ে গেলেন বার্সেলোনার বিস্ময় বালক।

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখে ২৪ সদস্যের জাতীয় দল ঘোষণা করেছে স্পেন জাতীয় দলের কোচ লুইস এনরিকে। তালিকায় আনসু ফাতির নাম অনেকের চোখ কপালে তুলে দিয়েছে। যদিও তাঁর জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথা নয়। শেষ মৌসুমে বার্সেলোনার জার্সিতে ৩৩ ম্যাচে করেছেন ৮ গোল। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক ও গোল—দুটো রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন।

ফাতি ছাড়া স্পেন দলে আরও দুইটি চমক জাগানিয়া নাম এরিক গার্সিয়া ও অস্কার রদ্রিগেজ। শেষ মৌসুমে দুর্দান্ত খেলার পুরস্কার পেয়েছেন উনাই সিমন, পাও তোরেস এবং ফেরান তোরেস। করোনা পরবর্তী কালে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করবে স্পেন। এর তিন দিন পর ঘরের মাঠে ইউক্রেনের বিপক্ষে মাঠে নামবে ২০১০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা।

বার্সেলোনায় মিনিট প্রতি গোলে ওর চেয়ে এগিয়ে ছিল শুধু মেসি। আমি তাঁকে এখানে দেখতে চাই। কারণ সে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে (ভবিষ্যতে)।
লুইস এনরিকে, স্পেন কোচ

তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় ১৮ বছর বয়সে পা রাখার আগেই ফাতির জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া। ফাতির জাতীয় দলে সফল হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এনরিক, ‘আমি ওকে ভালোভাবেই চিনি। আমি মনে করি আমাদের সঙ্গে খেলার মান ওর আছে। বার্সেলোনায় মিনিট প্রতি গোলে ওর চেয়ে এগিয়ে ছিল শুধু মেসি। আমি তাঁকে এখানে দেখতে চাই। কারণ সে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে (ভবিষ্যতে)।’

৩ সেপ্টেম্বর ফাতির জাতীয় দলে অভিষেক হলে স্পেনের দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম ফুটবলার হবেন ফাতি। এর আগে ১৯৩৬ সালে চেকোস্লোভেকিয়া বিপক্ষে স্পেনের হয়ে অভিষেক হয়েছিল আনহেল জুবিয়েতার। সেদিন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ২৮৩ দিন।