বায়ার্নকে বিদায়ী উপহার দিয়ে গেলেন তিনি

পার কাপটাই বাকি ছিল, সেটাও জেতা হয়ে গেল বায়ার্নের।ছবি: রয়টার্স

সেবার কিংবদন্তি মার্সেলো বিয়েলসার ছোঁয়ায় বিশ্বমানের এক খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছিলেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হাভি মার্তিনেজ। আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে ইউরোপা লিগ বা বার্সেলোনাকে হারিয়ে কোপা দেল রে'র শিরোপা না জেতা হলেও, অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মার্তিনেজের ওপর চোখ পড়েছিল অনেকের। তাদের মধ্যে ছিল বায়ার্ন মিউনিখও। সে মৌসুমের শেষেই চার কোটি ইউরোর গোটা রিলিজ ক্লজ পরিশোধ করে মার্তিনেজকে দলে আনে তাঁরা।

বিদায়টা রাঙালেন মার্তিনেজ জয়সূচক গোলে।
ছবি: রয়টার্স

এসেই বাজিমাত। বায়ার্নকে ট্রেবল জেতানোয় রাখলেন বিরাট ভূমিকা। এক-দুই মৌসুম মূল একাদশের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন। আস্তে আস্তে ফর্ম পড়তে লাগল। মার্তিনেজ দলে আসার আট বছর পর এবার বায়ার্ন যখন আরেকটা ট্রেবল পেল, সে স্কোয়াডে মার্তিনেজ ছিলেন বেঞ্চের মানুষ। তত দিনে তাঁর জায়গায় চলে এসেছে জোশুয়া কিমিখ, থিয়াগো আলকানতারা, লেওন গোরেৎস্কা, বেঞ্জামিন পাভার, নিকলাস সুলা— কত কে! চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে, ফিসফিস শোনা যাচ্ছে, সাবেক ক্লাব বিলবাওতেই ফিরবেন হয়তো। চুক্তি শেষের আগে শেষ ম্যাচ ছিল এই সুপার কাপ। যথারীতি মূল একাদশে ছিলেন না। ম্যাচে ১-১ গোলের সমতা। এই অবস্থায় বিকল্প হিসেবে নামলেন মার্তিনেজ। নেমেই গোল। শেষ ম্যাচে দলকে বিদায়ী উপহার হিসেবে এর চেয়ে ভালো কিছু কী দিতে পারতেন মার্তিনেজ?

মার্তিনেজের গোলেই অতিরিক্ত সময়ে সেভিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে সুপার কাপের শিরোপা জিতে নিয়েছে বায়ার্ন।

বায়ার্নের হয়ে প্রথম গোলটা গোরেৎস্কার। ছ
ছবি : রয়টার্স

তবে গোটা ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলেছে সেভিয়া। ইউরোপা লিগের সেমিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ফাইনালে ইন্টার মিলানকে হারানো এই দল গত রাতেও হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট অ্যারেনায় নিয়মিত চোখ রাঙাচ্ছিল বায়ার্নকে। ১১ মিনিটে বার্সা থেকে সদ্যই সেভিয়ায় ফেরা ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার ইভান রাকিতিচকে বায়ার্নের ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা ডি-বক্সে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় সেভিয়া। সেখান থেকে গোল করতে সমস্যা হয়নি আর্জেন্টাইন উইঙ্গার লুকাস ওকাম্পোসের। ৩৪ মিনিটে লেওন গোরেৎস্কার গোলে সমতায় ফেরে বায়ার্ন। এর পরে আর গোল হয়নি। অতিরিক্ত সময়ে মার্তিনেজের ওই গোলেই নির্ধারিত হয় শিরোপা-ভাগ্য।

শুরুর এই আনন্দ ম্যাচ শেষে টেকেনি সেভিয়া সমর্থকদের।
ছবি : রয়টার্স

ম্যাচের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ দিক, চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো দর্শকশূন্য ছিল না স্টেডিয়াম। ৬৭ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে দর্শক ছিল সাড়ে ১৫ হাজারের মতো। ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন সেভিয়ার সমর্থনে স্পেন থেকে আসে শ পাঁচেক দর্শক। ওদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নের সমর্থনে জার্মানি থেকে আসে হাজারখানেক দর্শক।

ট্রেবলের পর এবার সুপার কাপ, নতুন মৌসুমে বায়ার্নের জন্য অনুপ্রেরণার ঘাটতি হচ্ছে না!