বিজ্ঞাপনে নারীবিদ্বেষী অর্ধনগ্ন ছবি দিয়ে বিপাকে ব্রাজিলের ক্লাব

বিজ্ঞাপনে নারীবিদ্বেষী ছবি পোস্ট করে ঝামেলায় ব্রাজিলের ক্লাব সাম্পাইয়ো কোরেয়া।
ছবি: টুইটার

ব্রাজিলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ক্লাব সাম্পাইয়ো কোরেয়া। তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর এক অভিযোগ তুলেছে দেশটির ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এজেন্সি। ক্লাবটির এক বিজ্ঞাপনকে ‘যৌনবৈষম্যবাদী ও নারীবিদ্বেষী’ হিসেবে চিহ্নিত করে তা মুছে ফেলতে বলা হয়েছে।

কোপা দো নর্দেস্তে প্রতিযোগিতায় খেলছে সাম্পাইয়ো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা একটি বিজ্ঞাপন দেয়। যেখানে দেখা যায় একজন অর্ধনগ্ন নারীর ছবি, যিনি সমর্থকদের হোটেলে যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্লাবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ছাড় দেওয়ার কথা বলছেন।

দেখতে কুরুচিকর এ ছবিতে সেই মেয়েটি বলছেন, ‘গোল করো বলিভিয়ানো!’ সাম্পাইয়োর ডাক নাম ‘বলিভিয়ানোস’—হলুদ, সবুজ ও লালের মিশ্রণে ক্লাবটির জার্সির রং বলিভিয়া জাতীয় দলের মতো।

কাল এ বিজ্ঞাপন মুছে ফেলার নির্দেশ দেয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এজেন্সি, জানিয়েছে ইএসপিএন। কিন্তু ক্লাবটির টুইটার অ্যাকাউন্টে গিয়ে দেখা গেছে, বিজ্ঞাপনটি এখনো রাখা হয়েছে বহাল তবিয়তে।

সাম্পাইয়োর কোরেয়ার এই টুইট বিতর্কের ঝড় তুলেছে।
ছবি: টুইটার

ছবিটি পোস্টের কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মারানিয়াও রাজ্যের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এজেন্সি ক্লাবটির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজ্ঞাপনটি মুছে ফেলার নির্দেশ দেয়। সেখানে অন্য কোনো বিজ্ঞাপন দেওয়ার কথাও বলা হয়।

এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সাম্পাইয়ো কোরেয়া ও ওয়েসিস হোটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নারীবিদ্বেষী বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।’

ক্লাবটিকে এ জন্য আইনের আওতায় আনা হতে পারে। ১৪ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নেওয়া হয়নি। বরং আরেকটি পোস্টের ছবিতে বলা হয়, ‘একজন নারী যেখানে থাকতে চায়, সেটাই তার জায়গা।’

সমর্থকদের জন্য ১২ শতাংশ ছাড়ের কথা বলা হয় এই বিজ্ঞাপনে। মন্তব্যের ঘরে আরও একটি পোস্ট করা হয়েছে ক্লাবটির পক্ষ থেকে। ওয়েসিস হোটেল ক্লাবটির অফিশিয়াল স্পনসর। সেখান স্মার্ট টিভিসহ একটি স্যুইট অর্ডার করতে বলা হয়। জনসমাগম এড়িয়ে খাদ্য ও পানীয়র পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার কথাও বলা হয়েছে।

এই পোস্টে সমর্থকেরা অবশ্য ছেড়ে কথা বলেননি। একজনের মন্তব্য, ‘কাল আমরা ফুটবলে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে কথা বলছিলাম আর আজ এই ভয়ংকর পোস্ট। আসলে (নারীর) লড়াইটা কঠিন।’