বিতর্কিত বাতিল গোলটি অফসাইড ছিল না

নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানাচ্ছেন হেন্ডারসন।ছবি: রয়টার্স

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চার ম্যাচ খেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে দুইয়ে ছিল এভারটন ও লিভারপুল। মৌসুমের শুরু থেকেই এবার দুর্দান্ত খেলছে কার্লো আনচেলত্তির দল এভারটন। আজ ঘরের মাঠে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকেও আটকে দিয়েছে তারা। সাদিও মানে ও মোহাম্মাদ সালাহর গোলে ম্যাচে দুইবার এগিয়ে গিয়েও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। তবে ২-২ গোলে শেষ হওয়া ম্যাচে খেলার চেয়ে আলোচনা বেশি ছিল রেফারিং নিয়ে।

আজ প্রতিপক্ষের মাঠ গুডিসন পার্কে খেলতে নেমেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডের কড়া ট্যাকলের শিকার হয়ে লিভারপুল ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক মাঠ ছাড়লেও কোনো কার্ড দেখতে হয়নি সেই গোলরক্ষককে। এ ছাড়া ম্যাচের শেষের দিকে লিভারপুলের অধিনায়ক জেরার্ড হেন্ডারসন বল জালে জড়িয়ে গোল উদ্‌যাপনে মাতলেও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট  রেফারিং (ভিএআর) অফসাইড দেওয়া হয়। যদিও সেটি অফসাইড কি না, এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। ম্যাচ শেষে লিভারপুল কোচ ক্লপ তো বলেই দিয়েছেন, তাঁর চোখে সেটি অফসাইড ছিল না।

৮১ মিনিটে এভারটনকে ২-২ গোলে সমতায় ফেরান কালভার্ট লুইন। শেষের দিকে হেন্ডারসন বল জালে জড়ালে মাঠে ও লিভারপুল ডাগ আউটে উল্লাস শুরু হয়ে যায়। কিন্তু ভিএআর বলেছে হেন্ডারসনকে পাস দেওয়া সাদিও মানে অফসাইডে ছিলেন। যদিও সেটি অফসাইড ছিল না বলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মত দিয়েছেন বেশির ভাগ ফুটবল বোদ্ধা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি কিংবা লিভারপুলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরের সব কিংবদন্তি এ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ক্লপও বলছেন তাঁর চোখে সেটি অফসাইড ছিল না, ‘হেন্ডারসনের গোলটি অফসাইড ছিল না। কিন্তু এটি হয়েছে কেউ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াতেই।’

ম্যাচের শুরুতে পিকফোর্ডের ট্যাকলে ফন ডাইক মাঠ ছাড়লেও রেফারি কোনো কার্ড দেখাননি এভারটন গোলরক্ষককে। কারণ অফসাইডে ছিলেন ফন ডাইক। দলের সেরা ডিফেন্ডারকে এভাবে ট্যাকল করে মাঠ থেকে বের করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্লপ, ‘আমি পেছন থেকে দেখিনি। তবে যেহেতু এটি (সিদ্ধান্ত) নিতে সময় নিয়েছিল, তাহলে বড় অফসাইড ছিল না। ফন ডাইককে ম্যাচ থেকে বের করে দিল পিকফোর্ড। আমি সেভাবে দেখতে পাইনি, খুব অল্প দেখতে পেয়েছি।’

রেফারিং নিয়ে অসন্তোষ লুকাননি ক্লপ।
ছবি: রয়টার্স

রেফারিং নিয়ে আপত্তি থাকলেও দলের খেলায় খুব খুশি ক্লপ। তাঁর অধীনে প্রতিপক্ষের মাঠে খেলা লিভারপুলের এই ম্যাচকে সেরা বলছেন এই জার্মান কোচ, ‘খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স খুব ভালো ছিল। বড় ম্যাচে দুই দলই ভালো খেলেছে। পুরো আত্মবিশ্বাস ও পরিকল্পনায় আমরা আধিপত্য নিয়ে খেলেছি। আমার অধীনে লিভারপুলের এটি সেরা অ্যাওয়ে ম্যাচ ছিল।’ তবে জিতলে আরও বেশি খুশি হতে পারতেন, সেটি বলতেও ভুল করেননি ক্লপ, ‘জিতলে আরও খুশি হতাম। তবে আমি দেখতে চেয়েছিলাম আমরা আগের মতোই ভালো খেলছি।’